শেখ আবু হাসান, খুলনা
খুলনা মহানগরীতে খেলাধুলা ও বড় সভা-সমাবেশের অন্যতম বড় স্থান সার্কিট হাউস ময়দান। একে খুলনার ফুসফুসও বলা হয়ে থাকে। এই ময়দানকে কেন্দ্র করে একসময় তৈরি হয়েছে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের বহু খেলোয়াড়। কিন্তু বর্তমানে ময়দানটি তার ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। প্রতি বছর এ ময়দানে বাণিজ্যমেলা আয়োজনে ব্যাপক খোঁড়াখুঁড়ি করা হয়। এর ফলে মাঠের অবস্থা বেহাল হয়ে পড়ে। সংকুচিত হয়ে যায় খেলার স্থান।
বর্তমানে মাঠের একটি বড় অংশই উঁচু-নিচু। বাকি অংশে বালু দিয়ে ভরাট করে কোনো রকমে খেলার উপযোগী রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু এত কম জায়গায় খেলাধুলা অসম্ভব হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। ময়দানটিকে তার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে নগরীর সব ক্লাব, খেলোয়াড়, সংগঠক ও ক্রীড়ামোদী এবং সচেতন মানুষ দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন।
খুলনার ঐতিহ্যবাহী সার্কিট হাউস ময়দানের অবস্থান যশোর রোডের শেষদিকে। এর পশ্চিম দিকের শেষ মাথায় লাল রঙের একতলা পুরোনো সার্কিট হাউস ভবন। পরে এর পেছন দিকে একটি দোতলা নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। তার কাছাকাছি হেলিপ্যাড। ভবন ও হেলিপ্যাডসহ ময়দানের মোট আয়তন সাড়ে ৭ একর। ময়দানটি জেলা প্রশাসনের অধীনে। একসময় বিস্তীর্ণ ময়দানটি সবুজ ঘাসে মোড়ানো ছিল। ব্রিটিশ আমল থেকেই দিনের আলো ফোটার আগেই সেখানে ভিড় করতেন বিভিন্ন বয়সের ফুটবলার ও ক্রিকেটাররা।
সকাল-সন্ধ্যা বিভিন্ন বয়সের স্বাস্থ্যসচেতন মানুষও সার্কিট হাউস ময়দানে হাঁটাচলা করেন। প্রতিবছর নগরীর প্রধান দুটি ঈদ জামাত এখানে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এ ছাড়া সামাজিক বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও রাজনৈতিক সভা-সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
গত সোম, মঙ্গল ও বুধবার সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে নগরীর বিভিন্ন ফুটবল ও ক্রিকেট একাডেমির কিশোর-তরুণদের সার্কিট হাউস ময়দানে খেলাধুলা করতে দেখা যায়। অনেককে খেলার জন্য সুযোগের অপেক্ষায় থাকতে দেখা যায়। মাঠের পশ্চিম ও উত্তর দিকের অসমতল অংশ বড় বড় ঘাসে ছেয়ে আছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, প্রতি বছর ময়দানের বিভিন্ন জায়গায় পানি জমে থাকে। এ অবস্থা গত ২০-২২ বছর ধরে। সার্কিট হাউস ময়দানে কথা হয় খুলনা মোহামেডানের সাবেক তারকা খেলোয়াড় ও বর্তমানে ক্লাবটির কর্মকর্তা জাহাঙ্গীরের সঙ্গে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘খুলনার খেলাধুলার প্রধান ময়দানটি বাণিজ্যমেলার কারণে ধ্বংস হওয়ার পথে। মাঠে খেলাধুলা করার মতো পরিবেশ নেই।’ তিনি বলেন, ‘খুলনার ক্লাবগুলো এ মাঠে মেলা আয়োজন না করতে দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু সে দাবিকে আমলে নেওয়া হচ্ছে না।’
ব্রাদার্স ইউনিয়ন ফুটবল টিমের অধিনায়ক আসাদুজ্জামান মুরাদ বলেন, ‘খুলনার মাঠ বলতে এই ময়দানকেই বোঝায়। এখানে খেলাধুলা করেই অনেকে জাতীয় পর্যায়ে সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু গত দেড় যুগেরও বেশি সময় মেলার কারণে মাঠটি সারা বছরই খেলার অনুপযোগী থাকে।’ এ বিষয়ে খুলনা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক এস এম মোয়াজ্জোম রশিদী দোজা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অনূর্ধ্ব-১৩, স্কুল ক্রিকেট টুর্নামেন্ট, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেট লীগ এই মাঠেই অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। প্রতিবছর এক থেকে দেড় মাস মেলার পর মাঠ ঠিক হতে আরও ৩ থেকে ৪ মাস সময় লেগে যায়। তবে তাতেও মাঠ খেলার জন্য পুরোপুরি উপযোগী হয় না।’
মাঠের বিষয়ে জানতে চাইলে খুলনার জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনা মেনে খুলনার ঐতিহ্যবাহী সার্কিট হাউস ময়দানটি সংরক্ষণে প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে। বর্তমানে মাঠের যে অংশটি খেলার অনুপযোগী হয়ে রয়েছে, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে তা সংস্কার করা হবে। এ ছাড়া খুব শিগগির চারদিকে বাউন্ডারির ব্যবস্থা করা হবে। মাঠে বাণিজ্যমেলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নগরবাসী যা চাইবে সেটিই হবে।’
খুলনা মহানগরীতে খেলাধুলা ও বড় সভা-সমাবেশের অন্যতম বড় স্থান সার্কিট হাউস ময়দান। একে খুলনার ফুসফুসও বলা হয়ে থাকে। এই ময়দানকে কেন্দ্র করে একসময় তৈরি হয়েছে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের বহু খেলোয়াড়। কিন্তু বর্তমানে ময়দানটি তার ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। প্রতি বছর এ ময়দানে বাণিজ্যমেলা আয়োজনে ব্যাপক খোঁড়াখুঁড়ি করা হয়। এর ফলে মাঠের অবস্থা বেহাল হয়ে পড়ে। সংকুচিত হয়ে যায় খেলার স্থান।
বর্তমানে মাঠের একটি বড় অংশই উঁচু-নিচু। বাকি অংশে বালু দিয়ে ভরাট করে কোনো রকমে খেলার উপযোগী রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু এত কম জায়গায় খেলাধুলা অসম্ভব হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। ময়দানটিকে তার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে নগরীর সব ক্লাব, খেলোয়াড়, সংগঠক ও ক্রীড়ামোদী এবং সচেতন মানুষ দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন।
খুলনার ঐতিহ্যবাহী সার্কিট হাউস ময়দানের অবস্থান যশোর রোডের শেষদিকে। এর পশ্চিম দিকের শেষ মাথায় লাল রঙের একতলা পুরোনো সার্কিট হাউস ভবন। পরে এর পেছন দিকে একটি দোতলা নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। তার কাছাকাছি হেলিপ্যাড। ভবন ও হেলিপ্যাডসহ ময়দানের মোট আয়তন সাড়ে ৭ একর। ময়দানটি জেলা প্রশাসনের অধীনে। একসময় বিস্তীর্ণ ময়দানটি সবুজ ঘাসে মোড়ানো ছিল। ব্রিটিশ আমল থেকেই দিনের আলো ফোটার আগেই সেখানে ভিড় করতেন বিভিন্ন বয়সের ফুটবলার ও ক্রিকেটাররা।
সকাল-সন্ধ্যা বিভিন্ন বয়সের স্বাস্থ্যসচেতন মানুষও সার্কিট হাউস ময়দানে হাঁটাচলা করেন। প্রতিবছর নগরীর প্রধান দুটি ঈদ জামাত এখানে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এ ছাড়া সামাজিক বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও রাজনৈতিক সভা-সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
গত সোম, মঙ্গল ও বুধবার সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে নগরীর বিভিন্ন ফুটবল ও ক্রিকেট একাডেমির কিশোর-তরুণদের সার্কিট হাউস ময়দানে খেলাধুলা করতে দেখা যায়। অনেককে খেলার জন্য সুযোগের অপেক্ষায় থাকতে দেখা যায়। মাঠের পশ্চিম ও উত্তর দিকের অসমতল অংশ বড় বড় ঘাসে ছেয়ে আছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, প্রতি বছর ময়দানের বিভিন্ন জায়গায় পানি জমে থাকে। এ অবস্থা গত ২০-২২ বছর ধরে। সার্কিট হাউস ময়দানে কথা হয় খুলনা মোহামেডানের সাবেক তারকা খেলোয়াড় ও বর্তমানে ক্লাবটির কর্মকর্তা জাহাঙ্গীরের সঙ্গে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘খুলনার খেলাধুলার প্রধান ময়দানটি বাণিজ্যমেলার কারণে ধ্বংস হওয়ার পথে। মাঠে খেলাধুলা করার মতো পরিবেশ নেই।’ তিনি বলেন, ‘খুলনার ক্লাবগুলো এ মাঠে মেলা আয়োজন না করতে দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু সে দাবিকে আমলে নেওয়া হচ্ছে না।’
ব্রাদার্স ইউনিয়ন ফুটবল টিমের অধিনায়ক আসাদুজ্জামান মুরাদ বলেন, ‘খুলনার মাঠ বলতে এই ময়দানকেই বোঝায়। এখানে খেলাধুলা করেই অনেকে জাতীয় পর্যায়ে সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু গত দেড় যুগেরও বেশি সময় মেলার কারণে মাঠটি সারা বছরই খেলার অনুপযোগী থাকে।’ এ বিষয়ে খুলনা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক এস এম মোয়াজ্জোম রশিদী দোজা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অনূর্ধ্ব-১৩, স্কুল ক্রিকেট টুর্নামেন্ট, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেট লীগ এই মাঠেই অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। প্রতিবছর এক থেকে দেড় মাস মেলার পর মাঠ ঠিক হতে আরও ৩ থেকে ৪ মাস সময় লেগে যায়। তবে তাতেও মাঠ খেলার জন্য পুরোপুরি উপযোগী হয় না।’
মাঠের বিষয়ে জানতে চাইলে খুলনার জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনা মেনে খুলনার ঐতিহ্যবাহী সার্কিট হাউস ময়দানটি সংরক্ষণে প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে। বর্তমানে মাঠের যে অংশটি খেলার অনুপযোগী হয়ে রয়েছে, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে তা সংস্কার করা হবে। এ ছাড়া খুব শিগগির চারদিকে বাউন্ডারির ব্যবস্থা করা হবে। মাঠে বাণিজ্যমেলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নগরবাসী যা চাইবে সেটিই হবে।’
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫