Ajker Patrika

শীতে পিঠা বিক্রি করেই সংসার চলে সাহেরার

মতলব দক্ষিণ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২১, ১৩: ৩২
শীতে পিঠা বিক্রি করেই সংসার চলে সাহেরার

শীত মৌসুম এলেই সামনে আসে পিঠাপুলির কথা। শীতের সকালে হরেক রকম পিঠা-পুলির আয়োজন থাকে গ্রামবাংলার ঘরে ঘরে। গ্রামের অলিগলিতেও জমে ওঠে মৌসুমি পিঠার দোকান। এই পিঠা কারও বাড়তি আয়ের উৎস, কারোবা জীবিকার প্রধান মাধ্যম।

চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের চাপাতলি বাজারে এমনই একটি পিঠার দোকান সাহেরা বেগমের। পিঠা বিক্রি করেই চলে তাঁর সংসার। বিকেল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চিতই ও ভাপা পিঠা বিক্রি করেন তিনি। প্রতিদিন ক্রেতার ভিড় লেগেই থাকে তাঁর দোকানে। কেউ খাচ্ছেন, কেউবা কাগজের ঠোঙায় মুড়িয়ে পিঠা নিয়ে যাচ্ছেন বাড়িতে।

সাহেরা বেগমের স্বামী মোবারক হোসেন পেশায় একজন কৃষক। দুই ছেলে, দুই মেয়ের সংসার তাঁদের। প্রতিদিন আড়াই থেকে তিন হাজার টাকার পিঠা বিক্রি করেন তিনি।

সাহেরা বেগম বলেন, এই পিঠা বিক্রি করেই সংসার চলে। এখন শীতের মৌসুম। প্রতিবছর এ সময় থেকে পিঠা বিক্রি শুরু করা হয়। বিকেল থেকে শুরু হয় ক্রেতার ভিড়।

শীতের শুরু থেকে গ্রামের পাশাপাশি শহরেও পাওয়া যায় বিভিন্ন পদের পিঠা। শীতে বিভিন্ন বাজার ও রাস্তায় পিঠা বানিয়ে বিক্রি করে সংসার চলে অনেকের। এই শীতে মতলব পৌরসভার বিভিন্ন অলি-গলিসহ বেশকিছু জায়গায় মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বসেছেন পিঠা বিক্রি করতে। শীতজুড়ে চলে তাঁদের এই পিঠার ব্যবসা।

মতলব দক্ষিণের এই বাজারগুলোতে ভাপা পিঠা, চিতই, ডিম চিতই, পাটিসাপটা পিঠা তৈরি করতে দেখা যায়। একেক ধরনের পিঠার দাম একেক রকম। এসব ভ্রাম্যমাণ দোকানে চিতই পিঠা বিক্রি হয় হরেক রকমের ভর্তা দিয়ে। শুঁটকি, মরিচ, ধনেপাতা, সরিষার ভর্তা দিয়ে বিক্রি হচ্ছে এই পিঠা। গ্রামাঞ্চলে শীতের পিঠা তৈরিকে যেমন উৎসব হিসেবে গণ্য করা হয়, সে তুলনায় শহরে খুব কমই চোখে পড়ে পিঠা-পুলির বাহার।

মতলব বাজারের পিঠা ব্যবসায়ী মজিব বলেন, চালের দাম কম থাকলে পিঠা বিক্রি করে আরও লাভ হতো। চিতই পিঠা আকারভেদে ১০-১৫ টাকা, ডিম পিঠা ২০, ভাপা পিঠা ১০ টাকা দামে হরদম বিক্রি হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত