Ajker Patrika

উপসর্গ আছে, নমুনা পরীক্ষায় অনীহা

রামগড় (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি
আপডেট : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৪: ০০
উপসর্গ আছে, নমুনা পরীক্ষায় অনীহা

খাগড়াছড়ির রামগড়ে করোনা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে আসা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। জ্বর-সর্দি-কাশি নিয়ে চিকিৎসা নিতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও চিকিৎসকের কাছে ভিড় করছেন রোগীরা। তাঁদের প্রায় বেশির ভাগই করোনার নমুনা পরীক্ষায় অনাগ্রহী। স্থানীয় ফার্মেসি থেকে জ্বর-সর্দির ওষুধ সেবন করছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, জ্বর-সর্দি-কাশি নিয়ে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ জন রোগী আসেন। তাঁদের বেশির ভাগের জ্বর ও শ্বাসকষ্ট আছে। প্যারাসিটামল ও মোনাস ট্যাবলেট নিয়ে তারা চলে যান। করোনা পরীক্ষা করতে বললেও করছেন না।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামাল উদ্দীন জানান, গত সাত দিনে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দিয়েছেন শুধু ছয়জন।

চিকিৎসা নিতে আসা কালাডেবা এলাকার আবু বক্কর বলেন, ‘প্রতি শীতে এ রকম জ্বর, সর্দি সবার হয়। পরীক্ষা করার প্রয়োজন নেই। ওষুধ খেলে চার-পাঁচ দিনে সুস্থ হয়ে যাব।’

জাহেদা আক্তারের ছেলের পর মেয়ে ও স্বামী সর্দি-কাশি-জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন।

তাঁদের জ্বর ১০০ ডিগ্রির নিচে নামছে না, সঙ্গে কাশিও রয়েছে। চিকিৎসকের পরামর্শে স্থানীয় ফার্মেসিতে জ্বর ও ঠান্ডাজনিত সমস্যার ওষুধ নিতে এসেছেন তিনি। আক্রান্তদের করোনা পরীক্ষা কেন করছেন না—এমন প্রশ্নের জবাবে জাহেদা আক্তার বলেন, পরিবারের সবাই দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন। এ জন্য তিনি পরীক্ষা করবেন না।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কমিউনিটি মেডিকেল কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, প্রতিদিন করোনার উপসর্গ নিয়ে অনেকে চিকিৎসা নিতে আসেন। করোনা পরীক্ষার জন্য বলা হলেও তাঁরা অনীহা প্রকাশ করেন। জ্বর এবং ঠান্ডাজনিত রোগের ওষুধ নিয়ে তাঁরা চলে যান।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপসহকারী চিকিৎসা কর্মকর্তা বিজয় মজুমদার জানান, আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত কারণে হাসপাতালে কয়েক দিন ধরেই জ্বর-সর্দি-কাশির রোগীর চাপ বেড়েছে। এ আবহাওয়া মানিয়ে নিতে কিছুদিন সময় লাগবে। বেশির ভাগের করোনা উপসর্গ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে অবহেলার সুযোগ নেই। করোনা পরীক্ষা করলে সংক্রমণের ঝুঁকি কমে যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত