Ajker Patrika

বিদ্রোহী নিয়ে অস্বস্তিতে আ.লীগ

তেরখাদা প্রতিনিধি
আপডেট : ০৮ নভেম্বর ২০২১, ১৯: ০৪
বিদ্রোহী নিয়ে অস্বস্তিতে আ.লীগ

আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে তেরখাদায় আওয়ামী লীগ দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থীদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থীরা। বিদ্রোহী প্রার্থীদের দাপটে দলও পড়েছে অস্বস্তিতে। এ ছাড়া নির্বাচন ঘিরে দলে বেড়েছে অভ্যন্তরীণ কোন্দল। এ কারণে উপজেলার ৬টি ইউনিয়নেই ভোটাররা ভুগছেন সহিংসতার আশঙ্কায়।

তৃতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী তেরখাদার ৬টি ইউপিতে আগামী ২৮ নভেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। জানা গেছে, ৬টি ইউপিতেই ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রার্থিতা চূড়ান্ত করলেও সব কয়টি ইউনিয়নে একই দলের নেতা-কর্মীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন।

বিএনপি সরাসরি অংশ না নিলেও দলটির কয়েকজন নেতা দুয়েকটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র পরিচয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। যেখানে ক্ষমতাসীন একাধিক প্রার্থী রয়েছে, সেসব ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে সক্রিয় রয়েছে বিএনপি।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী এফ এম অহিদুজ্জামান বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান তেরখাদা সদর ইউনিয়নসহ ৬টি ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থীদের নির্বাচনে জয়ী করতে নানা ধরনের কৌশল অবলম্বন করে চলেছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, ইউপি নির্বাচনে বিধিমালাকে কোনো প্রার্থী তোয়াক্কা করছেন না। এমন অভিযোগ নির্বাচনের প্রতিটি পদের প্রার্থীর বিরুদ্ধে। ভোটের সময় যত ঘনিয়ে আসছে ততই সৃষ্টি হচ্ছে উত্তেজনা। বাড়ছে দ্বন্দ্ব, সংঘাত। উপজেলার ৬টি ইউপিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ২০ জন, বিএনপি, জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনের ৪ জন। বিএনপি এই নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিলেও দুয়েকটি ইউনিয়নে বিএনপির নেতা-কর্মীরা স্বতন্ত্র হিসেবে প্রার্থী রয়েছেন।

এদিকে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন না থাকায় তারা এই নির্বাচনে ভিন্ন উপায়ে প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নজরদারি অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।

খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও তেরখাদা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. সরফুদ্দিন বিশ্বাস বলেন, প্রধানমন্ত্রী মনোনীত মনোনয়ন বোর্ডের সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গেলে তাঁকে বহিষ্কার করা হবে। তিনি আরও বলেছেন, কিছু নেতা আছেন নৌকার বিপক্ষে কাজ করছেন, যা দলের জন্য অস্বস্তিকর। তাই এখনো সময় আছে। যাঁরা নৌকার বিরোধিতা করছেন তাঁদের দলের পক্ষে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. রাজিবুল হাসান বলেন, কোনো প্রার্থী যদি আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে তবে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, বিশৃঙ্খলা করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। থানা-পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। তৃতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী তেরখাদার ৬টি ইউপিতে ২৮ নভেম্বর ভোট গ্রহণ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে স্টারলিংকের প্রস্তাবিত কার্যক্রমের বিস্তারিত চায় ভারত

নির্দেশনা মানেননি পাইলট, মদিনা–ঢাকা ফ্লাইটকে নামতে হলো সিলেটে

ভারত–বাংলাদেশ বাণিজ্য বিধিনিষেধের মূল্য গুনছেন ব্যবসায়ীরা

সরকারি মাধ্যমিকের সহকারী শিক্ষকেরা পাচ্ছেন গেজেটেড মর্যাদা

যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে আরেকটি প্রক্সি ওয়ারে জড়াতে চায়: ফরহাদ মজহার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত