এস এম নূর মোহাম্মদ, ঢাকা
সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলসংক্রান্ত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে করা রিভিউর চার বছরেও শুনানি হয়নি। ২০১৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর সরকার এই রিভিউ করেছিল। রিভিউ নিষ্পত্তি না হওয়ায় ঝুলে আছে তিন বিচারপতি ও নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগও। যদিও সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল এখনো বহাল রয়েছে বলে আইনজ্ঞরা জানিয়েছেন।
সংবিধানের ৯৬(৩) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, একটি সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল থাকবে। বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি এবং অন্যান্য বিচারপতির মধ্যে যে দুজন কর্মে প্রবীণ, তাঁদের নিয়ে এই কাউন্সিল গঠিত হবে। মূলত এই কাউন্সিল সাংবিধানিক পদধারীদের বিষয়ে কোনো অভিযোগ উঠলে তা তদন্ত করবে এবং রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ পাঠাবেন। আর রাষ্ট্রপতি সুপারিশ অনুযায়ী পদক্ষেপ নেবেন।
জানতে চাইলে প্রবীণ আইনজীবী ও সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, রিভিউ
নিষ্পত্তি না হলেও আপিল বিভাগের রায় এখনো বহাল। তার মানে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল বলবৎ আছে। তাই তিন বিচারপতির বিষয়টি আর ঝুলিয়ে রাখা উচিত না। এটির সুরাহা হওয়া দরকার বলে মনে করেন তিনি।
হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী, বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের বিরুদ্ধে গুরুতর অসদাচরণের অভিযোগ ওঠে। ২০১৯ সালের ২২ আগস্ট থেকে তাঁদের বিচারকাজ থেকে বিরত রাখা হয়েছে।
তিন বিচারপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর ওই সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তৎকালীন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছিলেন, প্রধান বিচারপতি তিন বিচারপতির ব্যাপারে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সেটা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেই করা হয়েছে। আইনজীবীরা চান আদালত সব বিতর্কের ঊর্ধ্বে থাকুক। যাতে বিচার বিভাগকে কলুষমুক্ত রাখা যায়।
এ বিষয়ে সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, দীর্ঘদিন বিচারকাজ থেকে বিরত রাখা কোনো সমাধান না। তাঁরা তো বেতনসহ সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন। তাহলে তাঁরা কেন বিচারপ্রার্থীদের সেবা দেবেন না? সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল এখনো বহাল রয়েছে। তাই তিন বিচারপতি ও নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগ দ্রুত নিষ্পত্তি করা উচিত।
এদিকে বর্তমান নির্বাচন কমিশনারদের বিরুদ্ধেও আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি এবং অর্থসংশ্লিষ্ট গুরুতর অসদাচরণের অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দেন দেশের বিশিষ্ট ৪২ নাগরিক। গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর ও চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি দুই দফার চিঠিতে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করতে বলা হয়। যদিও ওই চিঠির বিষয়ে এখনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
জানতে চাইলে সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক বলেন, রিভিউ আবেদন দায়ের করার ফলে আগের রায় স্থগিত হয়েছে, এ রকম মনে করার আইনগত কোনো ভিত্তি নেই। সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল অবশ্যই বহাল রয়েছে। তাই তিন বিচারপতি এবং নির্বাচন কমিশনের বিষয়টি সুরাহা করতে কোনো বাধা নেই।
তিন বিচারপতির বিষয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, এটি কেবল প্রধান বিচারপতিই বলতে পারবেন। কেননা এই বিষয়ে সরকারকে লিখিত কোনো কিছু জানানো হয়নি। সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র সাইফুর রহমান বলেন, তিনি এই বিষয়ে কোনো কিছুই জানেন না।
এদিকে জাতীয় পার্টির এমপি মুজিবুল হক চুন্নু সংসদ অধিবেশনে ষোড়শ সংশোধনী মামলার রিভিউ শুনানির সর্বশেষ অবস্থা জানতে চেয়েছিলেন। জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সংসদে বলেন, শিগগিরই শুনানি হবে।
১৯৭২ সালের সংবিধানে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের হাতে ছিল। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সময় চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে এই ক্ষমতা দেওয়া হয় রাষ্ট্রপতিকে। তবে ১৯৭৮ সালে জিয়াউর রহমান সামরিক ফরমান জারি করে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলকে এই ক্ষমতা দেন, যা সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হয়। আর ২০১৪ সালে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর মাধ্যমে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা আবার সংসদ সদস্যদের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। তবে রিট করার পর তা বাতিল করে দেন হাইকোর্ট। আর আপিল বিভাগেও এটি বহাল থাকে। এরপর তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের প্রথম বৈঠক। বৈঠকে আপিল বিভাগের তখনকার জ্যেষ্ঠ বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা ও বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন। তবে রায় দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তড়িঘড়ি করে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের বৈঠককে তখন দুঃখজনক বলেছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলসংক্রান্ত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে করা রিভিউর চার বছরেও শুনানি হয়নি। ২০১৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর সরকার এই রিভিউ করেছিল। রিভিউ নিষ্পত্তি না হওয়ায় ঝুলে আছে তিন বিচারপতি ও নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগও। যদিও সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল এখনো বহাল রয়েছে বলে আইনজ্ঞরা জানিয়েছেন।
সংবিধানের ৯৬(৩) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, একটি সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল থাকবে। বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি এবং অন্যান্য বিচারপতির মধ্যে যে দুজন কর্মে প্রবীণ, তাঁদের নিয়ে এই কাউন্সিল গঠিত হবে। মূলত এই কাউন্সিল সাংবিধানিক পদধারীদের বিষয়ে কোনো অভিযোগ উঠলে তা তদন্ত করবে এবং রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ পাঠাবেন। আর রাষ্ট্রপতি সুপারিশ অনুযায়ী পদক্ষেপ নেবেন।
জানতে চাইলে প্রবীণ আইনজীবী ও সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, রিভিউ
নিষ্পত্তি না হলেও আপিল বিভাগের রায় এখনো বহাল। তার মানে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল বলবৎ আছে। তাই তিন বিচারপতির বিষয়টি আর ঝুলিয়ে রাখা উচিত না। এটির সুরাহা হওয়া দরকার বলে মনে করেন তিনি।
হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী, বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের বিরুদ্ধে গুরুতর অসদাচরণের অভিযোগ ওঠে। ২০১৯ সালের ২২ আগস্ট থেকে তাঁদের বিচারকাজ থেকে বিরত রাখা হয়েছে।
তিন বিচারপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর ওই সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তৎকালীন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছিলেন, প্রধান বিচারপতি তিন বিচারপতির ব্যাপারে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সেটা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেই করা হয়েছে। আইনজীবীরা চান আদালত সব বিতর্কের ঊর্ধ্বে থাকুক। যাতে বিচার বিভাগকে কলুষমুক্ত রাখা যায়।
এ বিষয়ে সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, দীর্ঘদিন বিচারকাজ থেকে বিরত রাখা কোনো সমাধান না। তাঁরা তো বেতনসহ সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন। তাহলে তাঁরা কেন বিচারপ্রার্থীদের সেবা দেবেন না? সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল এখনো বহাল রয়েছে। তাই তিন বিচারপতি ও নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগ দ্রুত নিষ্পত্তি করা উচিত।
এদিকে বর্তমান নির্বাচন কমিশনারদের বিরুদ্ধেও আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি এবং অর্থসংশ্লিষ্ট গুরুতর অসদাচরণের অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দেন দেশের বিশিষ্ট ৪২ নাগরিক। গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর ও চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি দুই দফার চিঠিতে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করতে বলা হয়। যদিও ওই চিঠির বিষয়ে এখনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
জানতে চাইলে সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক বলেন, রিভিউ আবেদন দায়ের করার ফলে আগের রায় স্থগিত হয়েছে, এ রকম মনে করার আইনগত কোনো ভিত্তি নেই। সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল অবশ্যই বহাল রয়েছে। তাই তিন বিচারপতি এবং নির্বাচন কমিশনের বিষয়টি সুরাহা করতে কোনো বাধা নেই।
তিন বিচারপতির বিষয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, এটি কেবল প্রধান বিচারপতিই বলতে পারবেন। কেননা এই বিষয়ে সরকারকে লিখিত কোনো কিছু জানানো হয়নি। সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র সাইফুর রহমান বলেন, তিনি এই বিষয়ে কোনো কিছুই জানেন না।
এদিকে জাতীয় পার্টির এমপি মুজিবুল হক চুন্নু সংসদ অধিবেশনে ষোড়শ সংশোধনী মামলার রিভিউ শুনানির সর্বশেষ অবস্থা জানতে চেয়েছিলেন। জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সংসদে বলেন, শিগগিরই শুনানি হবে।
১৯৭২ সালের সংবিধানে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের হাতে ছিল। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সময় চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে এই ক্ষমতা দেওয়া হয় রাষ্ট্রপতিকে। তবে ১৯৭৮ সালে জিয়াউর রহমান সামরিক ফরমান জারি করে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলকে এই ক্ষমতা দেন, যা সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হয়। আর ২০১৪ সালে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর মাধ্যমে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা আবার সংসদ সদস্যদের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। তবে রিট করার পর তা বাতিল করে দেন হাইকোর্ট। আর আপিল বিভাগেও এটি বহাল থাকে। এরপর তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের প্রথম বৈঠক। বৈঠকে আপিল বিভাগের তখনকার জ্যেষ্ঠ বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা ও বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন। তবে রায় দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তড়িঘড়ি করে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের বৈঠককে তখন দুঃখজনক বলেছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫