জসিম উদ্দিন, নীলফামারী
অস্বাভাবিক হারে কাঁচামালের দাম বৃদ্ধিতে নীলফামারীতে বিপাকে পড়েছেন বেকারি শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। অনেক বেকারি ইতিমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। বন্ধের পথে রয়েছে আরও ১০টি প্রতিষ্ঠান। বেকারি ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে পণ্যের দাম বাড়ানো ছাড়া বিকল্প দেখছেন না ফ্যাক্টরি মালিকেরা।
বেকারি মালিক সমিতি সূত্রে জানা যায়, জেলায় ৪৫টি বেকারি নিজস্ব ফ্যাক্টরিতে পণ্য উৎপাদন করে। করোনাকালে আংশিক বন্ধ ও শ্রমিক ছাঁটাই করে কোনোরকমে ব্যবসা টিকেয়ে রেখেছেন মালিকেরা। করোনাকালের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে যখন বেকারি মালিকেরা তাঁদের ফ্যাক্টরি চালু করেছেন ঠিক সে সময়ে দফা দফায় বেকারির কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কারণে ফ্যাক্টরি টিকিয়ে রাখা দায় হয়ে পড়েছে। বর্তমান বাজার দরে উৎপাদন খরচের তুলনায় পণ্য বিক্রি লাভজনক না হওয়ায় ফ্যাক্টরি চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।
বেকারি মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পাঁচ বছর আগের দামেই এখনো বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন বেকারি পণ্য। এতে ফ্যাক্টরি চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় ফ্যাক্টরি মালিকেরা বেকারি পণ্যের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। নানা সংকটে ইতিমধ্যে জেলার পুষ্প, রজনীগন্ধা, মক্কা, সুমন ও আল মদিনা নামের বেকারি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।
বন্ধ হয়ে যাওয়া রজনীগন্ধা বেকারির মালিক মজিবর রহমান বলেন, ‘করোনার সময়েও ফ্যাক্টরি চালু রেখেছি। শ্রমিকেরাও করোনার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে মনেপ্রাণে কাজ করছিলেন। কিন্তু গত দুই মাস থেকে বেকারির কাঁচামালের দাম দফায় দফায় বৃদ্ধি পাওয়ায় উৎপাদন খরচ উঠছে না। তাই লোকসানের হাত থেকে রক্ষা পেতে বন্ধ করে দিয়েছি প্রতিষ্ঠানটি। এখন পেশা বদল করে জীবিকা নির্বাহ করছেন বলে জানান তিনি।
গাউসিয়া কনফেকশনারির মালিক মো. আওরঙ্গজেব বলেন, লোকসানের বোঝা বইতে বইতে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে আমাদের। তাই বেকারি শিল্প টিকিয়ে রাখতে কাঁচামালের মূল্য কমাতে সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ প্রয়োজন।
তিনি জানান, বর্তমান বাজারে ১৮৬ কেজির এক ড্রাম পাম ওয়েল তেল ২৬ হাজার ৩০০ টাকা, ১৬ কেজির এক কার্টুন ডালডা ২ হাজার ৩৭০ টাকা, ৫০ কেজির এক বস্তা চিনি ৩ হাজার ৮০০ টাকা, ৭৪ কেজির এক বস্তা ময়দা ৩ হাজার ২০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। এক মাস আগে এসব পণ্য ৩০০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা কমে বিক্রি হতো। এর বাইরেও রয়েছে নানা প্রকার রাসায়নিক দ্রব্য (ফুড গ্রেড) ও পণ্যের প্যাকেজিং সামগ্রী। এগুলোর মূল্যও অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়াও রয়েছে জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও শ্রমিকের মজুরির খরচ। এতে উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করে ফ্যাক্টরি টিকিয়ে রাখা লাভজনক হচ্ছে না।
বাংলাদেশ রুটি, বিস্কুট ও কনফেকশনারি প্রস্তুতকারক সমিতি, নীলফামারী জেলা শাখার সভাপতি মো. আখতার সিদ্দিকী পাপ্পু জানান, করোনাকালের ব্যবসায়িক মন্দা ও কাঁচামালের উচ্চমূল্যের কারণে ফ্যাক্টরিগুলো সংকটে পড়েছে। উৎপাদন খরচের তুলনায় পণ্য বিক্রির আয় দিয়ে পোষাচ্ছে না ফ্যাক্টরি মালিকদের। অনেক ক্ষেত্রে লোকসান গুনছে ফ্যাক্টরিগুলো। বেকারি ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে পণ্যের দাম বাড়ানোর বিকল্প নেই। অন্যথায় জেলার ৮০ ভাগ ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে যাবে। একই সঙ্গে কর্মহীন হয়ে পড়বে হাজারো মানুষ।
অস্বাভাবিক হারে কাঁচামালের দাম বৃদ্ধিতে নীলফামারীতে বিপাকে পড়েছেন বেকারি শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। অনেক বেকারি ইতিমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। বন্ধের পথে রয়েছে আরও ১০টি প্রতিষ্ঠান। বেকারি ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে পণ্যের দাম বাড়ানো ছাড়া বিকল্প দেখছেন না ফ্যাক্টরি মালিকেরা।
বেকারি মালিক সমিতি সূত্রে জানা যায়, জেলায় ৪৫টি বেকারি নিজস্ব ফ্যাক্টরিতে পণ্য উৎপাদন করে। করোনাকালে আংশিক বন্ধ ও শ্রমিক ছাঁটাই করে কোনোরকমে ব্যবসা টিকেয়ে রেখেছেন মালিকেরা। করোনাকালের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে যখন বেকারি মালিকেরা তাঁদের ফ্যাক্টরি চালু করেছেন ঠিক সে সময়ে দফা দফায় বেকারির কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কারণে ফ্যাক্টরি টিকিয়ে রাখা দায় হয়ে পড়েছে। বর্তমান বাজার দরে উৎপাদন খরচের তুলনায় পণ্য বিক্রি লাভজনক না হওয়ায় ফ্যাক্টরি চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।
বেকারি মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পাঁচ বছর আগের দামেই এখনো বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন বেকারি পণ্য। এতে ফ্যাক্টরি চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় ফ্যাক্টরি মালিকেরা বেকারি পণ্যের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। নানা সংকটে ইতিমধ্যে জেলার পুষ্প, রজনীগন্ধা, মক্কা, সুমন ও আল মদিনা নামের বেকারি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।
বন্ধ হয়ে যাওয়া রজনীগন্ধা বেকারির মালিক মজিবর রহমান বলেন, ‘করোনার সময়েও ফ্যাক্টরি চালু রেখেছি। শ্রমিকেরাও করোনার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে মনেপ্রাণে কাজ করছিলেন। কিন্তু গত দুই মাস থেকে বেকারির কাঁচামালের দাম দফায় দফায় বৃদ্ধি পাওয়ায় উৎপাদন খরচ উঠছে না। তাই লোকসানের হাত থেকে রক্ষা পেতে বন্ধ করে দিয়েছি প্রতিষ্ঠানটি। এখন পেশা বদল করে জীবিকা নির্বাহ করছেন বলে জানান তিনি।
গাউসিয়া কনফেকশনারির মালিক মো. আওরঙ্গজেব বলেন, লোকসানের বোঝা বইতে বইতে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে আমাদের। তাই বেকারি শিল্প টিকিয়ে রাখতে কাঁচামালের মূল্য কমাতে সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ প্রয়োজন।
তিনি জানান, বর্তমান বাজারে ১৮৬ কেজির এক ড্রাম পাম ওয়েল তেল ২৬ হাজার ৩০০ টাকা, ১৬ কেজির এক কার্টুন ডালডা ২ হাজার ৩৭০ টাকা, ৫০ কেজির এক বস্তা চিনি ৩ হাজার ৮০০ টাকা, ৭৪ কেজির এক বস্তা ময়দা ৩ হাজার ২০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। এক মাস আগে এসব পণ্য ৩০০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা কমে বিক্রি হতো। এর বাইরেও রয়েছে নানা প্রকার রাসায়নিক দ্রব্য (ফুড গ্রেড) ও পণ্যের প্যাকেজিং সামগ্রী। এগুলোর মূল্যও অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়াও রয়েছে জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও শ্রমিকের মজুরির খরচ। এতে উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করে ফ্যাক্টরি টিকিয়ে রাখা লাভজনক হচ্ছে না।
বাংলাদেশ রুটি, বিস্কুট ও কনফেকশনারি প্রস্তুতকারক সমিতি, নীলফামারী জেলা শাখার সভাপতি মো. আখতার সিদ্দিকী পাপ্পু জানান, করোনাকালের ব্যবসায়িক মন্দা ও কাঁচামালের উচ্চমূল্যের কারণে ফ্যাক্টরিগুলো সংকটে পড়েছে। উৎপাদন খরচের তুলনায় পণ্য বিক্রির আয় দিয়ে পোষাচ্ছে না ফ্যাক্টরি মালিকদের। অনেক ক্ষেত্রে লোকসান গুনছে ফ্যাক্টরিগুলো। বেকারি ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে পণ্যের দাম বাড়ানোর বিকল্প নেই। অন্যথায় জেলার ৮০ ভাগ ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে যাবে। একই সঙ্গে কর্মহীন হয়ে পড়বে হাজারো মানুষ।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫