Ajker Patrika

ক্রেতা আছে, কিনছে কম

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ক্রেতা আছে, কিনছে কম

কথায় বলে, সকাল দেখেই বোঝা যায় দিনটা কেমন যাবে। আর ঈদের বেচাকেনা কেমন যাবে সেটা বোঝার জন্য রমজানের প্রথম শুক্রবারের অপেক্ষায় থাকেন ব্যবসায়ীয়া। গতকাল ছিল সেই প্রথম শুক্রবার। এ দিনের ক্রেতা সমাগম পর্যবেক্ষণ করে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকা ও বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সের ব্যবসায়ীরা জানালেন, এবার মোটামুটি ভালো কেনাবেচার আভাস মিলছে।

করোনা মহামারির কারণে পরপর দুই বছর ঈদের ব্যবসায় মন্দা গেছে। বাংলা নববর্ষেও তাই। তবে এবার সেই সংকট নেই। তাই ঈদ ও নববর্ষকে ঘিরে ব্যবসা জমে উঠবে বলে মনে করছেন বিক্রেতারা।

রমজানের প্রথম শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন দোকানপাট ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতা সমাগম আছে, কিন্তু কেনাকাটা করছে কম। তবে এ নিয়ে বিক্রেতাদের মধ্যে অসন্তুষ্টি নেই। তাঁরা বলছেন, রমজানের শুরুর দিনগুলোয় মানুষ এভাবেই সব কিছু ঘুরেফিরে দেখে বোঝার চেষ্টা করে। মূল কেনাকাটা শুরু হয় ১৫ রোজার পর। সে হিসেবে প্রথম শুক্রবারে ক্রেতারা কম কেনাকাটা করলেও তাঁরা যে দোকানপাটে আসছেন, এটাই অনেক বেশি আশাজাগানিয়া।

নিউমার্কেট এলাকার প্রিয়াঙ্গন শপিং সেন্টারে কথা হয় খাদি ঘরের স্বত্বাধিকারী সুমন খালাসীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ক্রেতা এবার স্বাভাবিকভাবেই গত দুই বছরের চেয়ে বেশি। এ বছর কোনো লকডাউন নাই, করোনার ভয়ও নাই। এ জন্যই আমরা আশা করতেছি, এবার গত দুই বছরের ক্ষতিটা পোষাইয়া নেওয়া যাবে। বাকিটা আল্লাহ ভরসা।’

একই এলাকার খান প্লাজা শপিং সেন্টারের এফ আর ফ্যাশনের কর্ণধার আমিনুল ইসলাম সাজু বলেন, ‘মানুষ মোটামুটি আসতেছে, কিন্তু কিনছে কম। তারপরও আমরা আশাবাদী। মানুষ যেহেতু আসতেছে, কেনাকাটাও করবে।’

করোনার ভয় আর লকডাউনের কারণে গত দুই বছর অনেকেই কেনাকাটা করেননি। যাঁরা করেছেন, তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগই একা এসে কেনাকাটা করে বাসায় ফিরেছেন। কিন্তু এবার করোনার ভয় না থাকায় পরিবার-পরিজন নিয়েই ঈদের কেনাকাটায় বেরোচ্ছে মানুষ। গতকাল বসুন্ধরা কমপ্লেক্স আর নিউমার্কেট ঘুরে দেখা যায়, এবার বেশির ভাগ মানুষই পরিবার-পরিজন নিয়ে কেনাকাটা করতে গিয়েছেন সেখানে।

মোহাম্মদপুর থেকে সপরিবারে বসুন্ধরা সিটিতে আসা মিজানুর রহমান বলেন, ‘গত দুই বছর একা একাই সব কিছু কিনেছি। বাসায় নেওয়ার পর দেখেছি, কোনোটা কারও গায়ে বড় হচ্ছে, কোনোটা ছোট। তাই এবার আবার আগের মতো বৌ-বাচ্চা—সবাইকে নিয়েই আসলাম। সবাই ভ্যাকসিন নিয়েছি। আর কোনো ভয় নাই।’

বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সের একাধিক দোকান মালিকও একই রকম কথা বললেন। তবে অনলাইনে কেনাকাটার প্রতি মানুষের ঝুঁকে পড়াটা তাঁদের কিছুটা চিন্তায় ফেলছে। বসুন্ধরার জর্ডানা ক্লাবের অন্যতম কর্ণধার মমতাজ চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘করোনার কারণে অনলাইনে কেনাকাটা বেড়েছে। তবে এর জন্য দোকানে এসে কেনাকাটা কমে গেছে, সেটা বলার এখনো সময় আসেনি। আমরা এখনো দেখছি। তবে এই বিষয়টা আমাদের ভাবাচ্ছে।’

অন্যদিকে নিউমার্কেট এলাকার কয়েকজন ব্যবসায়ী জানালেন অনলাইনে মানুষের কেনাকাটা নিয়ে তাঁরা একেবারেই চিন্তিত নন। কারণ, নিউমার্কেট এলাকায় এসে যাঁরা কেনাকাটা করেন তাঁরা পণ্য হাত দিয়ে ধরে দেখে তারপর কিনতে অভ্যস্ত। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

এনবিআর চেয়ারম্যানের কক্ষের সামনে কর্মকর্তাদের অবস্থান

বন্ধুকে ছাত্রলীগ সাজিয়ে পুলিশে দিয়ে তাঁর প্রেমিকাকে ধর্ষণ করলেন ছাত্রদল নেতা

মানিকগঞ্জে রাতের আঁধারে স্থানান্তর করা বিদ্যালয় ভবন পরিদর্শনে কর্মকর্তারা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত