সাইফুল মাসুম, ঢাকা
পরিবার নিয়ে পরিকল্পিত সুন্দর নগরীতে বসবাস করার ইচ্ছা ছিল মোহাম্মদ বিল্লালের (৫২)। এ জন্য রামপুরাসংলগ্ন মহানগর আবাসিক প্রকল্পে প্লটও কিনেছিলেন। বেসরকারি প্রকল্পটির মালিক ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেড। প্লট বিক্রির সময় সরকারি নিয়ম মেনে কোম্পানিটি গ্রাহকদের নানা সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার কথা বলেছিল। কিন্তু প্লট কেনার ২৬ বছর পেরিয়ে গেলেও কোনো নাগরিক সুবিধা পাননি বলে অভিযোগ করেছেন বিল্লালসহ আরও অনেকে।
আজকের পত্রিকাকে বিল্লাল বলেন, ‘মহানগর প্রজেক্টে প্রায় ৩ হাজার পরিবারে ১০ হাজারের বেশি মানুষ বসবাস করছে। কিন্তু এত বড় প্রকল্প এলাকায় কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নেই, নেই খেলার মাঠ। অথচ প্লট বিক্রির সময় এমন সব নাগরিক সুবিধা দেওয়ার কথা বলেছিল কোম্পানিটি। ২৬ বছরেও আমরা তা পাইনি।’
স্থানীয় লোকজন জানান, বিক্রির সময় থেকে শুরু করে দীর্ঘদিন স্কুলের জায়গার সাইনবোর্ডে লেখা ছিল, ‘ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেডের নিজস্ব সম্পত্তি (রাজউক কর্তৃক স্কুলের জন্য নির্ধারিত)’। অথচ সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, আগের সাইনবোর্ড সরিয়ে স্কুলের পরিবর্তে ‘বিনা অনুমতিতে প্রবেশ নিষেধ’ লেখা সাইনবোর্ড স্থাপন করা হয়েছে।
রাজউক অনুমোদিত মহানগর আবাসিক প্রকল্পের নকশা অনুযায়ী, প্রকল্পটির বি ব্লকের বি ১০৬ প্লটটি বরাদ্দ করা হয়েছে স্কুলের জন্য। আর মাঠের জন্য বরাদ্দ, বি ৮৭ প্লটটি। স্কুল ও খেলার মাঠ মিলিয়ে জায়গার পরিমাণ ৭০ কাঠা। এ ছাড়া নকশায় প্রকল্পের এফ ব্লকে নানা সেবার কথা উল্লেখ থাকলেও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ১৯৮৭ সালে বেসরকারি প্রকল্পটিতে এক থেকে দেড় লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে জায়গার কাঠা। পরবর্তী ২০০০ সালের দিকে প্রতি কাঠা জায়গার দাম ছিল দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা। বর্তমানে এই এলাকায় প্রতি কাঠা জায়গার মূল্য প্রায় এক থেকে দেড় কোটি টাকা। সেই হিসেবে বি ব্লকের খেলার মাঠ ও স্কুলের ৭০ কাঠা জায়গার বর্তমান বাজারমূল্য রয়েছে প্রায় ১০৫ কোটি টাকা। অভিযোগ রয়েছে, হাউজিং কোম্পানিটি বড় অঙ্কের টাকা হাতছাড়া না করতে খেলার মাঠ ও স্কুলের জায়গা বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সম্প্রতি মহানগর আবাসিক সমাজ কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. সুলাইমান এ বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়রের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। যেখানে লেখা রয়েছে, ‘প্রকল্পের প্লট বিক্রির সময় যে সকল সুযোগ-সুবিধা উল্লেখ করে ক্রেতাদের প্রলোভন দেখানো হয়েছিল। বর্তমানে স্কুল ও খেলার মাঠের জন্য বরাদ্দ করা জায়গা সীমানাপ্রাচীর দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও ইস্টার্ন হাউজিং এলাকাবাসীকে এসব বুঝিয়ে দিচ্ছে না। এমনকি স্কুল ও খেলার মাঠের জায়গা অন্য ব্যক্তির কাছে বিক্রির প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।’ অথচ বেসরকারি আবাসিক প্রকল্পের ভূমি উন্নয়ন বিধিমালা, ২০০৪ অনুসারে, বেসরকারি আবাসিক প্রকল্প অনুমোদনের শর্তাবলির মধ্যে স্কুল, খেলার মাঠসহ প্রকল্প এলাকার ৩০ (ত্রিশ) ভাগ জমি নাগরিক সুবিধাদির জন্য সংরক্ষিত রাখার কথা বলা হয়েছে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা বলেন, ‘আমরা ইস্টার্ন হাউজিংকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়েছি। এটা নিয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর সঙ্গেও আমরা কথা বলেছি। এসব প্রতারণার জন্য রাজউক ইস্টার্ন হাউজিংয়ের ব্যবসা বাতিল করে দিলেই পারে।’
অভিযোগ নিয়ে জানতে চাইলে ইস্টার্ন হাউজিংয়ের মহানগর প্রজেক্ট ম্যানেজার শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘স্কুলের জায়গা বিক্রি করা হচ্ছে এটা ঠিক। আপাতত আনসার ক্যাম্প করা হয়েছে নিরাপত্তার জন্য। আমরা মেয়রের চিঠির উত্তর দেব। তবে এফ ব্লকে আর্মি ক্যাম্প রয়েছে, তা সরানো হলে সেখানেও স্কুল করা যাবে।’
নকশায় থাকা স্কুলের জায়গা ও খেলার মাঠ বিক্রি করলে তা প্রতারণা করা হবে জানিয়ে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, ‘নকশা পরিবর্তন করে স্কুল ও খেলার মাঠ বিক্রির সুযোগ নেই। কোনো আবাসিক কোম্পানি এমনটা করলে, তা প্রমাণ হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পরিবার নিয়ে পরিকল্পিত সুন্দর নগরীতে বসবাস করার ইচ্ছা ছিল মোহাম্মদ বিল্লালের (৫২)। এ জন্য রামপুরাসংলগ্ন মহানগর আবাসিক প্রকল্পে প্লটও কিনেছিলেন। বেসরকারি প্রকল্পটির মালিক ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেড। প্লট বিক্রির সময় সরকারি নিয়ম মেনে কোম্পানিটি গ্রাহকদের নানা সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার কথা বলেছিল। কিন্তু প্লট কেনার ২৬ বছর পেরিয়ে গেলেও কোনো নাগরিক সুবিধা পাননি বলে অভিযোগ করেছেন বিল্লালসহ আরও অনেকে।
আজকের পত্রিকাকে বিল্লাল বলেন, ‘মহানগর প্রজেক্টে প্রায় ৩ হাজার পরিবারে ১০ হাজারের বেশি মানুষ বসবাস করছে। কিন্তু এত বড় প্রকল্প এলাকায় কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নেই, নেই খেলার মাঠ। অথচ প্লট বিক্রির সময় এমন সব নাগরিক সুবিধা দেওয়ার কথা বলেছিল কোম্পানিটি। ২৬ বছরেও আমরা তা পাইনি।’
স্থানীয় লোকজন জানান, বিক্রির সময় থেকে শুরু করে দীর্ঘদিন স্কুলের জায়গার সাইনবোর্ডে লেখা ছিল, ‘ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেডের নিজস্ব সম্পত্তি (রাজউক কর্তৃক স্কুলের জন্য নির্ধারিত)’। অথচ সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, আগের সাইনবোর্ড সরিয়ে স্কুলের পরিবর্তে ‘বিনা অনুমতিতে প্রবেশ নিষেধ’ লেখা সাইনবোর্ড স্থাপন করা হয়েছে।
রাজউক অনুমোদিত মহানগর আবাসিক প্রকল্পের নকশা অনুযায়ী, প্রকল্পটির বি ব্লকের বি ১০৬ প্লটটি বরাদ্দ করা হয়েছে স্কুলের জন্য। আর মাঠের জন্য বরাদ্দ, বি ৮৭ প্লটটি। স্কুল ও খেলার মাঠ মিলিয়ে জায়গার পরিমাণ ৭০ কাঠা। এ ছাড়া নকশায় প্রকল্পের এফ ব্লকে নানা সেবার কথা উল্লেখ থাকলেও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ১৯৮৭ সালে বেসরকারি প্রকল্পটিতে এক থেকে দেড় লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে জায়গার কাঠা। পরবর্তী ২০০০ সালের দিকে প্রতি কাঠা জায়গার দাম ছিল দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা। বর্তমানে এই এলাকায় প্রতি কাঠা জায়গার মূল্য প্রায় এক থেকে দেড় কোটি টাকা। সেই হিসেবে বি ব্লকের খেলার মাঠ ও স্কুলের ৭০ কাঠা জায়গার বর্তমান বাজারমূল্য রয়েছে প্রায় ১০৫ কোটি টাকা। অভিযোগ রয়েছে, হাউজিং কোম্পানিটি বড় অঙ্কের টাকা হাতছাড়া না করতে খেলার মাঠ ও স্কুলের জায়গা বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সম্প্রতি মহানগর আবাসিক সমাজ কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. সুলাইমান এ বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়রের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। যেখানে লেখা রয়েছে, ‘প্রকল্পের প্লট বিক্রির সময় যে সকল সুযোগ-সুবিধা উল্লেখ করে ক্রেতাদের প্রলোভন দেখানো হয়েছিল। বর্তমানে স্কুল ও খেলার মাঠের জন্য বরাদ্দ করা জায়গা সীমানাপ্রাচীর দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও ইস্টার্ন হাউজিং এলাকাবাসীকে এসব বুঝিয়ে দিচ্ছে না। এমনকি স্কুল ও খেলার মাঠের জায়গা অন্য ব্যক্তির কাছে বিক্রির প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।’ অথচ বেসরকারি আবাসিক প্রকল্পের ভূমি উন্নয়ন বিধিমালা, ২০০৪ অনুসারে, বেসরকারি আবাসিক প্রকল্প অনুমোদনের শর্তাবলির মধ্যে স্কুল, খেলার মাঠসহ প্রকল্প এলাকার ৩০ (ত্রিশ) ভাগ জমি নাগরিক সুবিধাদির জন্য সংরক্ষিত রাখার কথা বলা হয়েছে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা বলেন, ‘আমরা ইস্টার্ন হাউজিংকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়েছি। এটা নিয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর সঙ্গেও আমরা কথা বলেছি। এসব প্রতারণার জন্য রাজউক ইস্টার্ন হাউজিংয়ের ব্যবসা বাতিল করে দিলেই পারে।’
অভিযোগ নিয়ে জানতে চাইলে ইস্টার্ন হাউজিংয়ের মহানগর প্রজেক্ট ম্যানেজার শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘স্কুলের জায়গা বিক্রি করা হচ্ছে এটা ঠিক। আপাতত আনসার ক্যাম্প করা হয়েছে নিরাপত্তার জন্য। আমরা মেয়রের চিঠির উত্তর দেব। তবে এফ ব্লকে আর্মি ক্যাম্প রয়েছে, তা সরানো হলে সেখানেও স্কুল করা যাবে।’
নকশায় থাকা স্কুলের জায়গা ও খেলার মাঠ বিক্রি করলে তা প্রতারণা করা হবে জানিয়ে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, ‘নকশা পরিবর্তন করে স্কুল ও খেলার মাঠ বিক্রির সুযোগ নেই। কোনো আবাসিক কোম্পানি এমনটা করলে, তা প্রমাণ হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
২০ ঘণ্টা আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
২১ ঘণ্টা আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
১ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫