Ajker Patrika

নদীভাঙনের মুখে ঘর, মাথা গোঁজার ঠাঁই চান মাহমুদা

মুলাদী প্রতিনিধি
আপডেট : ০৬ জুন ২০২২, ১০: ৫৯
নদীভাঙনের মুখে ঘর, মাথা গোঁজার ঠাঁই চান মাহমুদা

স্বামীর মাত্র ৬ শতাংশ জমি ছিল জয়ন্তী নদীর পাড়ে। সেই জমির সাড়ে ৫ শতাংশ ইতিমধ্যে নদীভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। বাকি আধা শতাংশও নদীগর্ভে যাওয়ার পথে। সেখানেই বাস করছেন স্বামীহারা মাহমুদা বেগম। যেকোনো সময় হারিয়ে যেতে পারে বসতভিটা। তাই নতুন করে থাকার জন্য মাথা গোঁজার ঠাঁই চান তিনি।

মাহমুদা বেগম মুলাদী উপজেলার বাটামারা ইউনিয়নের চরবাটামারা গ্রামের মৃত ফেরদৌস মোল্লার স্ত্রী। স্বামী থাকতে কষ্টে দিন কাটিয়ে ছিলেন, এখনো অর্ধাহারে দিন কাটছে। তিন মেয়ে নিজ নিজ সংসার নিয়ে ঢাকায় থাকেন।

জানা গেছে, দীর্ঘ দিন জয়ন্তী নদীর ভাঙনে বাটামারা, চরবাটামারা এলাকার অনেক এলাকা বিলীন হয়ে গেছে। যাঁদের সামর্থ্য আছে তাঁরা আগেভাগেই অন্য জায়গা জমি রেখে বাড়িঘর করেছেন। কিন্তু অসহায় মাহমুদা বেগম এখনো নদীর পাড়ে বাস করছেন।

মাহমুদা বেগম বলেন, ‘২০১৮ সালে স্বামী ফেরদৌস মোল্লা মারা যান। তিনি বেঁচে থাকতেই নদীভাঙনে চাষযোগ্য জমি শেষ হয়ে গিয়েছিল। পরে তিন মেয়ে নিয়ে অন্যের বাড়িতে কাজ করে কোনোমতে চলেছি। পরে তিন মেয়ে ঢাকায় গিয়ে কাজ শুরু করে। প্রথম দিকে খোঁজ নিলেও বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর আর খোঁজ নিচ্ছে না। এখন কোনো মতে চললেও ভিটেমাটি নদীতে বিলীন হলে কোথায় থাকব সেই চিন্তায় রাতে ঘুম আসে না।’

মাহমুদা বেগমের প্রতিবেশী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত চরবাটামারা গ্রামের আবদুল জব্বার বলেন, ‘জয়ন্তী নদীর ভাঙনে অনেকেই ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন। আমরা জমি কিনে নতুন বাড়ি করেছি। কেউ কেউ ঢাকায় চলে গেছেন। মাহমুদা বেগম এখনো নদীর কিনারে বাস করছেন। কিন্তু প্রতি বছর নদী ভাঙছে। বর্ষার শুরু ও শেষে ভাঙন বেড়ে যায়। তাই আগামী বর্ষা মৌসুমে তাঁর ঘর নদীতে ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।’

বাটামারা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. সালাহ উদ্দীন অশ্রু বলেন, ‘অসহায় এই নারীকে চাল, ডাল, চিনিসহ ত্রাণসহায়তা দেওয়া হয়েছে। মাহমুদা বেগমের ঘর ও ভিটে নদীভাঙনের মুখে রয়েছে। কিন্তু বাটামারা ইউনিয়নে খাসজমি না পাওয়ায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মিত হয়নি। তবে তাঁকে জমিসহ একটি ঘর বরাদ্দ দেওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আবেদন করা হবে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ হোসাইনী বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানের আবেদন পেলে ওই নারীকে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের জমিসহ ঘর দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত