Ajker Patrika

মাথার ওপর ছাদ নেই

রাজবাড়ী প্রতিনিধি
আপডেট : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৭: ০৪
মাথার ওপর ছাদ নেই

রাজবাড়ী সদর উপজেলার চর সিলিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন গত শুক্রবার পদ্মা নদীতে বিলীন হয়েছে। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় ওই বিদ‍্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে খোলা আকাশের নিচে।

মাথার ওপর ছাদ না থাকায় কোমলমতি শিক্ষার্থীরা অনেক কষ্টে পড়াশোনা করছে।

চরসিলিমপুর সরকারি সরকারি প্রাথমিক বিদ‍্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, ধ্বংসস্তূপের মতো পড়ে আছে বিদ‍্যালয়ের অর্ধেক অংশ। ওই স্থান থেকে দু শ মিটার দূরে খোলা আকাশের নিচেই চলছে পাঠদান কার্যক্রম। প্রচণ্ড গরমে গাছতলায় ওই বিদ‍্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাঠদান করছেন শিক্ষকেরা।

চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী রোমানা আক্তার বলে, ‘স্কুল নদীতে ভেঙে গেছে। তাই গাছতলায় ক্লাস করছি। মাঝে মাঝে রোদ লাগছে গায়ে, তখন খুবই গরম লাগে।’

পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী আয়শা খাতুন বলে, ‘গাছতলায় ক্লাস করতে ভালো লাগছে না। পড়ার সময় গাছ থেকে একটি পাখি গায়ে বাথরুম করে দেয়। একটা ভবন হলে আমাদের ভালো হতো।’

জানা গেছে, বিদ‍্যালয়টি স্থাপিত হয় ১৯৮৯ সালে। প্রথম দফায় নদী ভাঙনের কারণে চরসিলিমপুর এলাকায় স্থানান্তর করা হয়। এক দশক আগেও বিদ‍্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রী ছিল ৪ শতাধিক। নদী ভাঙনের কারণে ওই এলাকায় বসতি কমে যাওয়ায় শিক্ষার্থীর সংখ‍্যা কমতে থাকে। বর্তমানে বিদ‍্যালয়টিতে ১০৮ জন ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে।

প্রধান শিক্ষক ঈমান আলী ফকির বলেন, ‘কয়েক দিন আগে বিদ‍্যালয়ের ভবন ভেঙে গেছে। সে সময় কিছু আসবাবপত্র অন্য জায়গায় সরিয়ে নিতে পেরেছি। একটা টিনের ঘর ছিল, সেটা ভেঙে স্থানীয় একজন বাসিন্দা জমি দিয়েছে সেখানে ঘর বানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছি। পাশাপাশি গাছতলায় ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদান চালু রেখেছি।’

রাজবাড়ী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাওমি মো. সায়েম বলেন, ‘বিদ্যালয়টি পাশেই অস্থায়ী পুনর্নির্মাণের কাজ চলছে। দু-এক দিনের মধ্যেই টিনের ঘর নির্মাণ হয়ে যাবে। সেখানেই তখন ছাত্র-ছাত্রীরা ক্লাস করতে পারবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত