Ajker Patrika

সড়ক রক্ষণাবেক্ষণে নারী বদলাচ্ছে জীবনধারা

ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর ২০২১, ১৩: ৫২
সড়ক রক্ষণাবেক্ষণে নারী বদলাচ্ছে জীবনধারা

কর্মসংস্থানের সুযোগ হওয়ায় কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর অসহায় নারীদের জীবনধারা বদলে যাচ্ছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতাধীন সড়ক রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করে এসব নারীরা অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থার উন্নতি করছেন। তাঁরা সড়কে মাটি ভরাটের কাজ করছেন।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ভূরুঙ্গামারী উপজেলা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পল্লি কর্মসংস্থান ও সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচি (আরইআরএমপি)-৩ ও চুক্তিবদ্ধ শ্রমিক দল (এলসিএস) কর্মসূচির আওতায় ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা, পরিবার প্রধান নারী ও ভূমিহীন ১৪৬ জন অবহেলিত অসহায় নারী সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ কাজ করেন।

রাস্তা রক্ষণাবেক্ষণের কাজে নিয়োজিত ভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের নলেয়া গ্রামের আরজিনা বেগম ও শাহিনা বেগম বলেন, ‘আগে খেয়ে না খেয়ে কষ্টে দিন কাটাতে হতো। রাস্তার কাজ পাওয়ায় সেই কষ্ট দূর হয়েছে।’

একই গ্রামের সামিনা আক্তার বলেন, ‘রাস্তার কাজ করে মাসে ৬ হাজার টাকা পাই। এ ছাড়া প্রতি মাসে ব্যাংকে তিন হাজার টাকা জমা হয়। জমানো ওই টাকা ভবিষ্যতে কাজে লাগবে।’

কামাত আঙ্গারীয়া গ্রামের লাইলি বেগম ও নুরনাহার বেগম বলেন, ধার-দেনা করে সংসার চালাতে হতো। কাজ পেয়ে ধার-দেনা মুক্ত হয়েছি। আজকের পত্রিকাকে তাঁরা আরও বলেন, ‘যখন কাজ ছিল না তখন আমাদের কোনো দাম ছিল না। কেউ খোঁজ নিতেন না। অনেকে আমাদের মানুষই মনে করত না। এখন তাঁরাই আমাদের তাঁদের বাড়ির অনুষ্ঠানে যেতে দাওয়াত দেন।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ভূরুঙ্গামারী উপজেলা প্রকৌশলী এন্তাজুর রহমান জানান, উপজেলার প্রায় ১৪২ কিলোমিটার পাকা সড়ক ও ১৮৪ কিলোমিটার কাঁচা সড়ক রক্ষণাবেক্ষণে আরইআরএমপিতে দৈনিক ২৫০ টাকা মজুরিতে ১০০ জন এবং এলসিএস কর্মসূচিতে দৈনিক ৩০০ টাকা মজুরিতে ৪৬ জন নারী কাজ করছেন। এতে তাঁদের পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছতা এসেছে। আরইআরএমপির প্রত্যেক কর্মীর ব্যাংক হিসেবে দৈনিক ৮০ টাকা এবং এলসিএস কর্মসূচির প্রত্যেক কর্মীর ব্যাংক হিসাবে দৈনিক ১০০ টাকা জমা হয়। তিন বছরের মেয়াদ শেষে তাঁরা সঞ্চিত অর্থ লাভসহ ফেরত পাবেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপক কুমার দেব শর্মা জানান, রাস্তা রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করে এলাকার দুস্থ ও অসহায় নারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তাঁদের পারিবারিক অবস্থার উন্নয়ন হচ্ছে। এই পরিবারের ছেলে-মেয়েরাও শিক্ষা-দীক্ষায় সুযোগ নিতে পারছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নিজের প্রস্রাব পান করে ‘আশিকি’ অভিনেত্রী অনু আগারওয়াল বললেন, ‘আহা অমৃত’

মে. জে. ফজলুরের সেভেন সিস্টার্স দখলের মন্তব্য সমর্থন করে না সরকার: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে স্টারলিংকের প্রস্তাবিত কার্যক্রমের বিস্তারিত চায় ভারত

গায়ে কেরোসিন ঢেলে কলেজছাত্রীর আত্মহনন, পলাতক ইমাম গ্রেপ্তার

ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য বিধিনিষেধের মূল্য গুনছেন ব্যবসায়ীরা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত