Ajker Patrika

যার যা কাজ

সম্পাদকীয়
আপডেট : ০৪ আগস্ট ২০২২, ০৯: ৪৩
যার যা কাজ

ভোলফগাং আমেডিউস মোজার্ট তাঁর নাম। কিন্তু এত বড় নামে কেউই তাঁকে চেনে না। তিনি সবার কাছে মোজার্ট নামে পরিচিত। কেউ কেউ মোৎসার্টও বলে থাকেন। তাঁর বাবা নিজেও বেহালা বাজাতে ভালো বাসতেন। কাজ করতেন তিনি আর্চবিশপের সভায়। সংগীতের প্রতি বাবার এই ভালোবাসা ছোট্ট ছেলেটাকেও সংগীতের প্রতি আকৃষ্ট করে। চার বছর বয়স থেকেই মোজার্ট কি-বোর্ড আর বেহালায় হাত পাকিয়েছিলেন।

ছয় বছর যখন বয়স, তখন সপরিবারে মোজার্ট বেরিয়েছিলেন ইউরোপের বিভিন্ন শহরে সংগীত ভ্রমণে। মজার ব্যাপার হলো, এই সফরে এত অর্থ আয় করা হয়েছিল, যা আর্চবিশপের সভায় মোজার্টের বাবা এত দিন কাজ করেও করতে পারেননি।

চার বছর বয়সেই মোজার্ট নোটেশন লিখতে শুরু করেন। বাবার কাছে তা খুব জটিল বলে মনে হয়েছিল। বাবা সেই নোটেশন দেখে বলেছিলেন, ‘খুব বড় সংগীতজ্ঞও এই জটিল নোটেশন অনুযায়ী সংগীত তৈরি করতে পারবে না। উত্তরে ছোট্ট মোজার্ট বলেছিল, ‘এই নোটেশন দেখে একটা বাচ্চাও সেটা বাজাতে পারবে, আমি নিজেই পারব।’

১৭ বছর বয়সে মোজার্ট যখন ফ্রাঙ্কফুর্টে কনসার্ট করতে গেছেন, তখন সবাই তন্ময় হয়ে তাঁর সৃষ্টি উপভোগ করছিলেন। কনসার্ট শেষে মোজার্টের দিকে এগিয়ে এল ১৪ বছর বয়সী এক বালক। এসে বলল, ‘আপনার কাজটা খুব কঠিন, তাই না?’

মোজার্ট বললেন, ‘একেবারেই না। আমার কাছে কাজটা খুব সহজ বলে মনে হয়।’

ছেলেটি বলল, ‘যদি আমাকে জিজ্ঞেস করা হয় সবচেয়ে সহজ কাজ কোনটা, তাহলে আমি বলব, অবশ্যই কবিতা লেখা। শব্দগুলো নিজের মতো করেই চলে আসে লেখার খাতায়।’

১৭ বছর বয়সী মোজার্টের কাছে ১৪ বছর বয়সী যে ছেলেটি এসেছিল, সে কে জানেন? জার্মান সাহিত্যে ছেলেটি নাম করেছিল এবং একসময় সে হয়ে উঠেছিল জার্মান সাহিত্যের সেরা মানুষ—গ্যেটে।

সূত্র: ই-ফাক্ত ডট রু

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নিখোঁজ সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারের লাশ মিলল মেঘনায়, শোকাহত আজকের পত্রিকা

‘সামনে চমকপ্রদ বেশ কিছু ঘটনা ঘটবে, অনেক বিষয় আমি জানি’

কিশোরগঞ্জে যুবদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষ-গুলি, নিহত ১

‘মব’ সৃষ্টি করে ৩ কিশোরকে সেতুর সঙ্গে বেঁধে রাতভর পিটুনি, নিহত ১

সনদ জালিয়াতি: ব্যাংকের চাকরি যাওয়া জাহাঙ্গীরের স্কুল সভাপতির পদও গেল

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত