Ajker Patrika

১৭০ বছর পরও অবহেলিত

বাবুল আক্তার, পাইকগাছা
আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২১, ১৭: ০৩
১৭০ বছর পরও অবহেলিত

পাইকগাছায় অবস্থিত দেশের ঐতিহ্যবাহী নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভুবন মোহিনী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়। ১৮৫০ সালে নারী শিক্ষা প্রসারের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয় বিদ্যালয়টি।

ব্যক্তি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত ১৭০ বছর পার করা বিদ্যালয়টিতে অবকাঠামোগত উন্নয়ন তেমন হয়নি। নানা অবহেলা আর সীমাবদ্ধতায় ধুঁকছে বিদ্যালয়টি। এটিকে জাতীয়করণের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।

স্থানীয় ও বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, দেশের প্রথম ও ভারতীয় উপমহাদেশের দ্বিতীয় নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এটি। উপজেলার রাড়ুলীতে বিজ্ঞানী আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের (পিসি রায়ের) পিতা হরিশ্চন্দ্র রায় তাঁর স্ত্রী ভুবন মোহিনী দেবীর নামে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া জন্মের প্রায় ৩০ বছর আগে এই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিষ্ঠালগ্নে স্কুলটি প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিকে পাঠদান করানো হলেও পরবর্তীতে তা মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে মোট ২১২ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। এতে ১২ জন শিক্ষক ও চারজন কর্মচারী রয়েছেন। বিগত ৫ বছর এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মাধ্যমিকে শতভাগ পাস করে আসছে। এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে ৩৪ জন ছাত্রী। তবে বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের মধ্যে সম্প্রতি একটি নতুন ভবন তৈরির কাজ শুরু হয়।

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা নিজেদের কাছে গর্ববোধ করি এ জন্য যে এটি দেশের প্রথম নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করছি।

শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা বলেন, প্রায় দুই শ বছরের কাছাকাছি সময়ে দাঁড়িয়ে প্রতিষ্ঠানটি। তবে বিদ্যালয়টি অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও জাতীয়করণের আওতায় আনা হয়নি।

স্থানীয় একাধিক প্রবীণ ব্যক্তি বলেন, আমার বাপ, দাদা ও পিতামহদের আমলে তৈরি প্রতিষ্ঠানটি আজও অবহেলিত। পিসি রায় একজন প্রখ্যাত বিজ্ঞানী। তার বাবার প্রতিষ্ঠিত দেশের প্রথম নারী শিক্ষার প্রতিষ্ঠানটি সরকারিকরণ না হওয়া অত্যন্ত দুঃখের। এর ইতিহাস, ঐতিহ্য ও স্মৃতি ধরে রাখতে বিদ্যালয়টি জাতীয়করণের দাবি জানিয়েছেন তারা।

রাড়ুলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আরকেবিকে হরিশ্চন্দ্র ইনস্টিটিউশন কলেজিয়েটের সাবেক অধ্যক্ষ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবুল কালাম আজাদ বলেন, ধারণা করা হয় ভারতীয় উপমহাদেশের দ্বিতীয় নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এটি। কিন্তু দীর্ঘ দিনেও বিদ্যালয়টি জাতীয়করণের আওতায় না আসায় শিক্ষার যথার্থ পরিবেশ পাচ্ছেন না শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তাই বিদ্যালয়টি জাতীয়করণে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

ভুবন মোহিনী বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গৌতম কুমার ঘোষ, জাতীয়করণসহ সরকারি সুদৃষ্টি পেলে বিদ্যালয়টি আরও সুনামের সঙ্গে এগিয়ে যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বৈপ্লবিক পরিবর্তন করার সুযোগ হাতছাড়া হয়ে গেছে

ব্যাংকের চাকরি যায় জাল সনদে, একই নথি দিয়ে বাগালেন স্কুল সভাপতির পদ

৬৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ: ডেলটা গ্রুপের চেয়ারম্যান ফারুকসহ ১৫ জনের নামে মামলা

১ লাখ ৮২২ শিক্ষক নিয়োগ: যোগ্য প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা চলতি সপ্তাহে

‘বউ আমাকে মিথ্যা ভালোবাসত, টাকা না থাকলে ছেড়ে যাবে, তাই মরে গেলাম’

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত