Ajker Patrika

আখের রসে ভাগ্য বদল সন্ধ্যামনির

হিমেল চাকমা, রাঙামাটি
আপডেট : ২৫ অক্টোবর ২০২১, ১৯: ০০
আখের রসে ভাগ্য বদল সন্ধ্যামনির

রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কের পাশে শণের ছাউনিতে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত আখের রস বিক্রি করেন সন্ধ্যামনি চাকমা। পাশেই তাঁর আখের খেত। বেশি লাভ হওয়ায় মেশিনে আখ মাড়িয়ে রস বিক্রি করেন তিনি। এ কাজে তাঁকে সহায়তা করেন স্ত্রী।

দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন রাঙামাটির শুকরছড়ি খামারপাড়া এলাকায় থাকেন সন্ধ্যামনি চাকমা (৫৫)। এক সময় পাহাড়ের সমতল জমিতে করতেন ধানচাষ। কিন্তু ফলন ভালো না হওয়ায় ছিলেন হতাশ। রাঙামাটি ইক্ষু গবেষণা কেন্দ্রের সহায়তায় করেন আখ চাষ। তাতেই বদলে যায় সন্ধ্যামনি চাকমার ভাগ্য। বছরে আখ বিক্রি করে আয় করেন ৬০ হাজার টাকা। বর্তমানে বিক্রি করছেন আখের রস। তাতে আয় দিনে তিন হাজার টাকা। আখের চেয়ে রস বিক্রি করে লাভ প্রায় তিন গুণ। আখের রসে ভাগ্য বদলেছে সন্ধ্যামনি চাকমার।

সন্ধ্যামনি বলেন, ‘আগে প্রায় ৪০ শতক সমতল জমি ধান চাষ করতাম। কিন্তু ফলন ভালো হতো না। তখন আমার মধ্যে হতাশা কাজ করত। একদিন রাঙামাটি ইক্ষু গবেষণা কেন্দ্র থেকে এক ব্যক্তি আমাকে আখ চাষের পরামর্শ দেন। তাঁর পরামর্শে আমি আখ চাষ শুরু করি।’

তিনি প্রতি বছর আখ বিক্রি করে আয় করেন ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা। পরে ইক্ষু গবেষণা কেন্দ্র তাঁকে আখ মাড়িয়ে রস বের করার মেশিন দেয়। রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কের শুকরছড়ি খামার পাড়া এলাকায় এখন নিয়মিত বিক্রি করেন আখের রস।

সন্ধ্যামনি বলেন, ‘সরাসরি আখ বিক্রি করলে যত টাকা পাওয়া যেত, রস বিক্রি করলে তার চেয়ে ২ থেকে ৩ গুণ বেশি টাকা পাচ্ছি। খেতের কোনো আখই নষ্ট হয় না। আঁকাবাঁকা আখ দিয়ে রস তৈরি করা যায়।’

ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম বলেন, ‘চলার পথে তাঁর আখের রস পান করি। বাসায়ও নিয়ে যাই।’

এদিকে সন্ধ্যামনির আখ রস বিক্রির জায়গাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে ছোট বাজার। এখানে বিকেলে পাহাড়ি ফল ও সবজি নিয়ে বসেন স্থানীয়রা।

জেলা ইক্ষু গবেষণা কর্মকর্তা ধনেশ্বর তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, ‘পাহাড়ে অনেক এলাকা আখ চাষের উপযোগী। চাষের উপযোগী জমি নির্বাচন করে আমরা চাষিদের আখ চাষে উৎসাহ দিচ্ছি। পাশাপাশি অন্যান্য সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত