সাগর হোসেন তামিম, মাদারীপুর ও মোনাশিফ ফরাজী, রাজৈর
পৌরবাসীর অন্ধকার পথ আলোকিত করতে মাদারীপুরের রাজৈরে ছয় বছর আগে খরচ করা হয়েছিল পাঁচ কোটি টাকা। কথা ছিল পাঁচ শতাধিক পৌর এলাকার পাঁচ শতাধিক স্থানে সৌরবাতি স্থাপন করা হবে। নগরবাসীর অভিযোগ, তখন অর্ধেক বাতি স্থাপন করা হয়। আর যেগুলো স্থাপন করা হয়েছিল তার অধিকাংশ এখন অকেজো। পড়ে আছে ভেঙেচুরে। দেখভাল করারও কেউ নেই। ফলে সন্ধ্যা হলে আঁধার নেমে আসে পৌরসভার সড়কগুলোতে।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল পৌর মেয়র নাজমা রশিদের কাছে। বাতি স্থাপনের কাজ আগের মেয়রের আমলে হয়েছিল জানিয়ে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পৌরসভায় জনবলের অভাব রয়েছে। তারপরও দায়িত্ব নেওয়ার পর যে কোম্পানি বাতিগুলো স্থাপন করেছিল, আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তাদের টেকনিশিয়ান দিয়ে নষ্ট হওয়া বাতিগুলো ঠিক করা যায় কি না দেখছি। তবে আমি নতুনভাবে সড়কবাতি স্থাপন করার জন্য আরও একটি প্রকল্প দিয়েছি।’ অর্থাৎ আগের মেয়রের এক প্রকল্পের সুফল অস্তমিত। নতুন মেয়রের আগ্রহ নতুন প্রকল্পে।
রাজৈর পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের অর্থায়নে পৌর এলাকার সড়কের পাশে ৫১৭টি স্থানে সৌরবাতি স্থাপনের কাজটি করে পল্লী-দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠান। এ প্রকল্পে ব্যয় হয় ৪ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। ২০১৫ সালের ৩০ জুনের মধ্যে বাতিগুলো বসানো হয়। এরপর দুই বছর নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের মেরামতের দায়িত্ব ছিল। তারপর থেকে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে পৌর কর্তৃপক্ষ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পৌর এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, কাগজে-কলমে ৫১৭টি সৌরবাতি লাগানোর কথা ছিল। কিন্তু তাঁর অর্ধেক বাতিও লাগানো হয়েছিল বলে মনে হয় না। তারপরেও যেসব বাতি লাগানো হয়, তার অধিকাংশই নিম্নমানের। যে কারণে স্থাপনের ৫ থেকে ৬ মাস পর থেকেই বাতিগুলো নষ্ট হতে থাকে। এরই মধ্যে বেশ কিছু সড়কের বাতি ভেঙে পড়ে রয়েছে। সৌরবাতি ঠিকমতো জ্বলছে কি না মাঝে মাঝে তা পরীক্ষা করার কথা থাকলেও স্থাপনের পর কোনো খোঁজই রাখেনি প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানসহ রাজৈর পৌরসভা।
পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কুণ্ডুপাড়া এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইট-সুরকির তৈরি রাস্তার পাশে বেশ কয়েকটি সৌরবাতির খুঁটি মাটিতে পড়ে আছে। খুঁটির সঙ্গে বাতি, তার ও আনুষঙ্গিক অন্যান্য যন্ত্রাংশও পানি-কাদার সঙ্গে লেপ্টে আছে। দেখে বোঝার উপায় নেই, এসব খুঁটিতে বাতি জ্বলেছে। কিছু খুঁটি দাঁড়িয়ে থাকলেও সেখানে বাতি অকেজো হয়ে পড়ে আছে। কোনোটাতেই আলো জ্বলার অবস্থা নেই। কুণ্ডুপাড়ার মতোই একই চিত্র পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডে।
মজুমদারকান্দি এলাকার পলাশ ফরাজী বলেন, পৌরসভার সাবেক মেয়র শামীম নেওয়াজ মুন্সির আমলে কাজটি হয়েছিল। স্থাপনের পর এসব বাতি খুব বেশি দিন জ্বলেনি। বিভিন্ন স্থানে সৌরবাতির খুঁটি পড়ে আছে। কোথাও সৌরবাতির খুঁটি চুরি হয়ে গেছে।
দীঘিরপাড় এলাকার রিপন মিয়া বলেন, রাস্তার পাশে সৌরবাতির খুঁটি পড়ে আছে। কিন্তু কেউ কোনো দিন খোঁজ খবরও নেয়নি, কেন এসব এভাবে পড়ে আছে?
নাঈম হোসেন নামে এক ব্যক্তি বলেন, রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় মোড় আছে। অন্ধকারে মোড়গুলো দেখা যায় না। যার ফলে মাঝে মাঝেই দুর্ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া চুরি-ডাকাতিও বেড়ে গেছে। আলো থাকলে আর এমন হতো না।
পৌরসভার সচিব মো. মাসুদ আলম অবশ্য দাবি করলেন, ৬০ শতাংশ বাতি এখনো সচল আছে। ৪০ শতাংশ বাতি প্রকৃতি দুর্যোগে হয়তো নষ্ট হয়ে গেছে। এগুলো মেরামতের চেষ্টা চলছে।
পৌরবাসীর অন্ধকার পথ আলোকিত করতে মাদারীপুরের রাজৈরে ছয় বছর আগে খরচ করা হয়েছিল পাঁচ কোটি টাকা। কথা ছিল পাঁচ শতাধিক পৌর এলাকার পাঁচ শতাধিক স্থানে সৌরবাতি স্থাপন করা হবে। নগরবাসীর অভিযোগ, তখন অর্ধেক বাতি স্থাপন করা হয়। আর যেগুলো স্থাপন করা হয়েছিল তার অধিকাংশ এখন অকেজো। পড়ে আছে ভেঙেচুরে। দেখভাল করারও কেউ নেই। ফলে সন্ধ্যা হলে আঁধার নেমে আসে পৌরসভার সড়কগুলোতে।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল পৌর মেয়র নাজমা রশিদের কাছে। বাতি স্থাপনের কাজ আগের মেয়রের আমলে হয়েছিল জানিয়ে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পৌরসভায় জনবলের অভাব রয়েছে। তারপরও দায়িত্ব নেওয়ার পর যে কোম্পানি বাতিগুলো স্থাপন করেছিল, আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তাদের টেকনিশিয়ান দিয়ে নষ্ট হওয়া বাতিগুলো ঠিক করা যায় কি না দেখছি। তবে আমি নতুনভাবে সড়কবাতি স্থাপন করার জন্য আরও একটি প্রকল্প দিয়েছি।’ অর্থাৎ আগের মেয়রের এক প্রকল্পের সুফল অস্তমিত। নতুন মেয়রের আগ্রহ নতুন প্রকল্পে।
রাজৈর পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের অর্থায়নে পৌর এলাকার সড়কের পাশে ৫১৭টি স্থানে সৌরবাতি স্থাপনের কাজটি করে পল্লী-দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠান। এ প্রকল্পে ব্যয় হয় ৪ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। ২০১৫ সালের ৩০ জুনের মধ্যে বাতিগুলো বসানো হয়। এরপর দুই বছর নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের মেরামতের দায়িত্ব ছিল। তারপর থেকে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে পৌর কর্তৃপক্ষ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পৌর এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, কাগজে-কলমে ৫১৭টি সৌরবাতি লাগানোর কথা ছিল। কিন্তু তাঁর অর্ধেক বাতিও লাগানো হয়েছিল বলে মনে হয় না। তারপরেও যেসব বাতি লাগানো হয়, তার অধিকাংশই নিম্নমানের। যে কারণে স্থাপনের ৫ থেকে ৬ মাস পর থেকেই বাতিগুলো নষ্ট হতে থাকে। এরই মধ্যে বেশ কিছু সড়কের বাতি ভেঙে পড়ে রয়েছে। সৌরবাতি ঠিকমতো জ্বলছে কি না মাঝে মাঝে তা পরীক্ষা করার কথা থাকলেও স্থাপনের পর কোনো খোঁজই রাখেনি প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানসহ রাজৈর পৌরসভা।
পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কুণ্ডুপাড়া এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইট-সুরকির তৈরি রাস্তার পাশে বেশ কয়েকটি সৌরবাতির খুঁটি মাটিতে পড়ে আছে। খুঁটির সঙ্গে বাতি, তার ও আনুষঙ্গিক অন্যান্য যন্ত্রাংশও পানি-কাদার সঙ্গে লেপ্টে আছে। দেখে বোঝার উপায় নেই, এসব খুঁটিতে বাতি জ্বলেছে। কিছু খুঁটি দাঁড়িয়ে থাকলেও সেখানে বাতি অকেজো হয়ে পড়ে আছে। কোনোটাতেই আলো জ্বলার অবস্থা নেই। কুণ্ডুপাড়ার মতোই একই চিত্র পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডে।
মজুমদারকান্দি এলাকার পলাশ ফরাজী বলেন, পৌরসভার সাবেক মেয়র শামীম নেওয়াজ মুন্সির আমলে কাজটি হয়েছিল। স্থাপনের পর এসব বাতি খুব বেশি দিন জ্বলেনি। বিভিন্ন স্থানে সৌরবাতির খুঁটি পড়ে আছে। কোথাও সৌরবাতির খুঁটি চুরি হয়ে গেছে।
দীঘিরপাড় এলাকার রিপন মিয়া বলেন, রাস্তার পাশে সৌরবাতির খুঁটি পড়ে আছে। কিন্তু কেউ কোনো দিন খোঁজ খবরও নেয়নি, কেন এসব এভাবে পড়ে আছে?
নাঈম হোসেন নামে এক ব্যক্তি বলেন, রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় মোড় আছে। অন্ধকারে মোড়গুলো দেখা যায় না। যার ফলে মাঝে মাঝেই দুর্ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া চুরি-ডাকাতিও বেড়ে গেছে। আলো থাকলে আর এমন হতো না।
পৌরসভার সচিব মো. মাসুদ আলম অবশ্য দাবি করলেন, ৬০ শতাংশ বাতি এখনো সচল আছে। ৪০ শতাংশ বাতি প্রকৃতি দুর্যোগে হয়তো নষ্ট হয়ে গেছে। এগুলো মেরামতের চেষ্টা চলছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪