নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ব্যাংকের বিনিয়োগসীমা পরিবর্তন ও ফ্লোর প্রাইসেও পুঁজিবাজারের অস্থিরতা কাটছে না। পতন ঠেকাতে এই দুই উদ্যোগ সাময়িক কাজে দিলেও সপ্তাহ পার না হতেই আবারও পতনের বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছে বাজার। এ নিয়ে টানা তিন দিন সূচক কমেছে পুঁজিবাজারে। দেখা দিয়েছে ক্রেতার সংকট। এতে পতনের সঙ্গে সঙ্গে লেনদেনও কমেছে।
গতকাল প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক কমেছে ৭৮ পয়েন্ট, লেনদেন কমেছে ২৮৪ কোটি টাকা। সূচক ও লেনদেন কমেছে অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও।
শেয়ার বাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগসীমা ক্রয়মূল্যে গণনার সুযোগ ও শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্য বা ফ্লোর প্রাইস বেঁধে দেওয়ার পর আশা করা হচ্ছিল বাজারে বিক্রির চাপ কমবে এবং দীর্ঘ মেয়াদে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়বে। এর ফলে আগের সপ্তাহে সূচক বেড়েছিল ৩৩১ পয়েন্ট। সেই সঙ্গে লেনদেনে দেখা গিয়েছিল ঊর্ধ্বগতি।
তবে সপ্তাহ পার না হতেই টানা তিন কর্মদিবস দরপতন হলো। রোববার ৮ পয়েন্ট, সোমবার ৪৫ পয়েন্ট পতনের পর বুধবার আরও ৭৮ পয়েন্ট কমল ডিএসইতে। তিন কর্মদিবসেই ১৩১ পয়েন্ট কমল সূচক। মঙ্গলবার আশুরার ছুটিতে লেনদেন বন্ধ ছিল।
বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, বুধবারের পতন শুধু দর সংশোধন নয়। এর সঙ্গে বেশ কিছু বিষয়ও যুক্ত হয়েছে। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় বিনিয়োগকারীদের মনে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। অস্থিতিশীল ডলারের বাজার ভয়ে পরিণত করছে। এতে অনেক বিনিয়োগকারী শেয়ার বিক্রি করে টাকা উঠিয়ে নিচ্ছেন। তেল ও ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশে মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়ছে। এতে অনেকে হাতে থাকা টাকা হাতছাড়া করতে চাইছে না। আবার বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থায় বাজার কত দিনে স্থির হবে, তা-ও বুঝতে পারছেন না। তাঁরা বাজারে নতুন বিনিয়োগ করতে ভরসা পাচ্ছেন না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আবু আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ফ্লোর প্রাইস বেঁধে দেওয়া বা ব্যাংকের বিনিয়োগসীমা পরিবর্তনও এই মুহূর্তে কাজে আসছে না। কারণ, এমনিতেই দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি রয়েছে। তার ওপর তেল ও ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় সামনে উৎপাদন ব্যয় বাড়বে, আমদানি মূল্য বাড়বে, এতে জিনিসপত্রের দাম আরও বাড়বে। এ অবস্থায় বাজারে নতুন বিনিয়োগ আসবে না। মানুষ নিত্য ব্যয় করবে না বিনিয়োগ করবে? এ কারণে শেয়ারের দাম কমার পরও ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না। আবার ফ্লোর প্রাইসের কারণে কিছু শেয়ারের দাম কমছে না। কিন্তু ওই দামেও ক্রেতা নেই। ফলে লেনদেনও কম। অর্থনৈতিক অবস্থা স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত পুঁজিবাজারে স্থায়ী স্থিতিশীলতা আসার সম্ভাবনা দেখছেন না তিনি।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বুধবার লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৪৩টি ছিল ক্রেতাশূন্য। অর্ধশতাধিক কোম্পানির শেয়ার ফ্লোর প্রাইসে আটকে গেছে। এতে হাজার কোটি টাকা থেকে কমে লেনদেন আট শ কোটি টাকার নিচে নেমে এসেছে। পাশাপাশি লেনদেন হওয়া অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমায় সূচকের পতন হয়েছে।
গতকাল বুধবার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৭৯টি কোম্পানির শেয়ারের। এর মধ্যে ২৬টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ২৭৯টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৭৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। লেনদেন হয়েছে ৭৯৯ কোটি টাকা। প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৭৮ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ১৮০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
অপর বাজার সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২০৫ পয়েন্ট কমে ১৮ হাজার ২৩২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। লেনদেন হওয়া ২৬৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ১৮৯টির ও অপরিবর্তিত ৪৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১৭ কোটি ১৬ লাখ ৬৮ হাজার ১৩১ টাকার শেয়ার।
ব্যাংকের বিনিয়োগসীমা পরিবর্তন ও ফ্লোর প্রাইসেও পুঁজিবাজারের অস্থিরতা কাটছে না। পতন ঠেকাতে এই দুই উদ্যোগ সাময়িক কাজে দিলেও সপ্তাহ পার না হতেই আবারও পতনের বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছে বাজার। এ নিয়ে টানা তিন দিন সূচক কমেছে পুঁজিবাজারে। দেখা দিয়েছে ক্রেতার সংকট। এতে পতনের সঙ্গে সঙ্গে লেনদেনও কমেছে।
গতকাল প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক কমেছে ৭৮ পয়েন্ট, লেনদেন কমেছে ২৮৪ কোটি টাকা। সূচক ও লেনদেন কমেছে অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও।
শেয়ার বাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগসীমা ক্রয়মূল্যে গণনার সুযোগ ও শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্য বা ফ্লোর প্রাইস বেঁধে দেওয়ার পর আশা করা হচ্ছিল বাজারে বিক্রির চাপ কমবে এবং দীর্ঘ মেয়াদে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়বে। এর ফলে আগের সপ্তাহে সূচক বেড়েছিল ৩৩১ পয়েন্ট। সেই সঙ্গে লেনদেনে দেখা গিয়েছিল ঊর্ধ্বগতি।
তবে সপ্তাহ পার না হতেই টানা তিন কর্মদিবস দরপতন হলো। রোববার ৮ পয়েন্ট, সোমবার ৪৫ পয়েন্ট পতনের পর বুধবার আরও ৭৮ পয়েন্ট কমল ডিএসইতে। তিন কর্মদিবসেই ১৩১ পয়েন্ট কমল সূচক। মঙ্গলবার আশুরার ছুটিতে লেনদেন বন্ধ ছিল।
বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, বুধবারের পতন শুধু দর সংশোধন নয়। এর সঙ্গে বেশ কিছু বিষয়ও যুক্ত হয়েছে। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় বিনিয়োগকারীদের মনে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। অস্থিতিশীল ডলারের বাজার ভয়ে পরিণত করছে। এতে অনেক বিনিয়োগকারী শেয়ার বিক্রি করে টাকা উঠিয়ে নিচ্ছেন। তেল ও ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশে মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়ছে। এতে অনেকে হাতে থাকা টাকা হাতছাড়া করতে চাইছে না। আবার বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থায় বাজার কত দিনে স্থির হবে, তা-ও বুঝতে পারছেন না। তাঁরা বাজারে নতুন বিনিয়োগ করতে ভরসা পাচ্ছেন না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আবু আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ফ্লোর প্রাইস বেঁধে দেওয়া বা ব্যাংকের বিনিয়োগসীমা পরিবর্তনও এই মুহূর্তে কাজে আসছে না। কারণ, এমনিতেই দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি রয়েছে। তার ওপর তেল ও ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় সামনে উৎপাদন ব্যয় বাড়বে, আমদানি মূল্য বাড়বে, এতে জিনিসপত্রের দাম আরও বাড়বে। এ অবস্থায় বাজারে নতুন বিনিয়োগ আসবে না। মানুষ নিত্য ব্যয় করবে না বিনিয়োগ করবে? এ কারণে শেয়ারের দাম কমার পরও ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না। আবার ফ্লোর প্রাইসের কারণে কিছু শেয়ারের দাম কমছে না। কিন্তু ওই দামেও ক্রেতা নেই। ফলে লেনদেনও কম। অর্থনৈতিক অবস্থা স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত পুঁজিবাজারে স্থায়ী স্থিতিশীলতা আসার সম্ভাবনা দেখছেন না তিনি।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বুধবার লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৪৩টি ছিল ক্রেতাশূন্য। অর্ধশতাধিক কোম্পানির শেয়ার ফ্লোর প্রাইসে আটকে গেছে। এতে হাজার কোটি টাকা থেকে কমে লেনদেন আট শ কোটি টাকার নিচে নেমে এসেছে। পাশাপাশি লেনদেন হওয়া অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমায় সূচকের পতন হয়েছে।
গতকাল বুধবার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৭৯টি কোম্পানির শেয়ারের। এর মধ্যে ২৬টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ২৭৯টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৭৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। লেনদেন হয়েছে ৭৯৯ কোটি টাকা। প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৭৮ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ১৮০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
অপর বাজার সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২০৫ পয়েন্ট কমে ১৮ হাজার ২৩২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। লেনদেন হওয়া ২৬৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ১৮৯টির ও অপরিবর্তিত ৪৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১৭ কোটি ১৬ লাখ ৬৮ হাজার ১৩১ টাকার শেয়ার।
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৩ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৩ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৩ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫