Ajker Patrika

আজ আবারও থামবে ট্রেন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
আপডেট : ১৩ নভেম্বর ২০২১, ১৮: ৩৪
আজ আবারও থামবে ট্রেন

আবারও সচল হচ্ছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতা-কর্মীদের তাণ্ডবে বিধ্বস্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন। প্রয়োজনীয় সংস্কার কাজ শেষে আজ শনিবার স্টেশনটি উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। এদিন থেকেই পূর্বাঞ্চল রেলপথে যাতায়াতকারী ট্রেনগুলো ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে নির্ধারিত সময়ে যাত্রাবিরতি করবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

গতকাল শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে দেখা গেছে, আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া টিকিট কাউন্টার ও স্টেশন মাস্টারের কক্ষ ও নিয়ন্ত্রণ কক্ষসহ অন্যান্য কক্ষগুলোর সংস্কার কাজসহ নতুন সিগন্যালিং সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়া উঁচু করা হয়েছে প্ল্যাটফর্মও। উদ্বোধনের জন্য এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।

ট্রেনে নিয়মিত চলাচলকারী উত্তম কুমার সাহা বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে দুই ঘণ্টায় ট্রেনে করে ঢাকায় যাওয়া যায়। আর বাসে করে যানজট ঠেলে ঢাকায় পৌঁছাতে সময় লাগে সাড়ে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা। এ অবস্থায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেন না থামার কারণে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

রুবেল সিকদার নামের অপর এক যাত্রী বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষের জন্য ট্রেনে যাতায়াত করতে সুবিধা। কম খরচে নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছানো যায়। রেলওয়ে স্টেশনটি আবার চালু হওয়ার মাধ্যমে যাত্রীদের সাড়ে ৭ মাস ধরে পোহানো অসহনীয় দুর্ভোগের অবসান হবে।

বাংলাদেশ রেলওয়ে একটি সূত্রে জানা যায়, আজ শনিবার সিলেটগামী জয়ন্ত্রিকা এক্সপ্রেস ঢাকা কমলাপুর স্টেশন থেকে ছেড়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসবে ১১টা ১৫ মিনিটে। এ সময় কমলাপুর রেলস্টেশনে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজনের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। পাশাপাশি ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশন চত্বরে শনিবার দুপুরে ঢাকা থেকে আগত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যাত্রীদের বরণ করা হবে। এই অনুষ্ঠানে স্থানীয় সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।

এই ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মো. শোয়েব বলেন, স্টেশনের সংস্কার কাজ শেষ হয়েছে। আজ শনিবার চলমান সংস্কার কাজ শেষে স্টেশনটি সচল করা হবে। এ লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। উদ্বোধনের দিন থেকেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেন যাত্রাবিরতি করবে।

উল্লেখ্য, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে গত ২৬-২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক তাণ্ডব চালায় হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকেরা। তাঁরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, সিভিল সার্জনের কার্যালয়, পৌরসভা কার্যালয়, জেলা পরিষদ কার্যালয়, সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গণ ও জেলা গণগ্রন্থাগারসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনটিতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় ২৬ মার্চ বিকেলে। স্টেশন মাস্টারের কক্ষ, টিকিট কাউন্টার ও নিয়ন্ত্রণ কক্ষসহ অন্যান্য কক্ষগুলো আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাকা দিয়ে নারীর চাবুকের ঘা খাচ্ছিলেন পুরুষ, দুজন গ্রেপ্তার

ভারতের সঙ্গে সংঘাতে পাকিস্তানের ভাগ্যনিয়ন্তা সেনাপ্রধান জেনারেল মুনির

প্রবাসীর রেমিট্যান্সের অর্থ আত্মসাৎ, নারী ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে

পাকিস্তানে কীভাবে হামলা চালাতে পারে ভারত, ইতিহাস যা বলছে

জনবল-সরঞ্জাম বেশি হলেও সমরশক্তিতে ভারত কি পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত