সম্পাদকীয়
চলচ্চিত্রে চুম্বন নিয়ে বিতর্ক চলছিল তখন। সে সময়ের ভারতের ইনফরমেশন অ্যান্ড ব্রডকাস্টিং মিনিস্টার বসন্ত শাঠে এই বিতর্কের সূচনা করেছিলেন। সাংবাদিক গোপালকৃষ্ণ রায় এ নিয়ে একটা প্রতিবেদন তৈরি করবেন বলে মনস্থির করলেন। এরপর একটি প্রশ্নপত্র তৈরি করে কয়েকজন পরিচালক, প্রযোজক, অভিনয়শিল্পীর কাছে পাঠিয়ে দিলেন তিনি। সবার কাছ থেকে উত্তর এল। উত্তর দিলেন না শুধু সুচিত্রা সেন। গোপালকৃষ্ণ ফোন করলেন সুচিত্রা সেনকে। উত্তর দিয়ে সেটা ডাকে পাঠিয়ে দিতে অনুরোধ করলেন। কিন্তু উত্তরপত্র আর ফিরে আসে না।
এরপর ফোন করলে সুচিত্রা জিজ্ঞেস করলেন, ‘সবার কাছ থেকেই জবাব পেয়েছেন?’
গোপালকৃষ্ণ বললেন, ‘আমার তালিকার সবার কাছ থেকেই পেয়েছি। শুধু আপনি বাকি।’
‘দুদিন পরে ফোন করবেন। আমি একটু ভেবে নিই।’
দুদিন কেটে দুই সপ্তাহ হলো। সুচিত্রার ভাবা আর শেষ হয় না। তখন বিরক্ত হয়ে গোপালকৃষ্ণ ফোনে জিজ্ঞেস করলেন, ‘উত্তর কি তৈরি হয়েছে?’
‘আপনার প্রশ্নগুলো তো পড়াই হয়নি আমার। আর সাবজেক্ট পেলেন না, বেছে বেছে একটা বাজে সাবজেক্ট নিয়েছেন।’
সুচিত্রার ওপর রাগ হয় গোপালকৃষ্ণের। তিনি বলেন, ‘সাবজেক্ট আমি ভালোই বুঝি মিসেস সেন। এটা আমার পেশা। উত্তর দেওয়া-না দেওয়া আপনার ইচ্ছে।’
গোপালকৃষ্ণ বুঝতে পারলেন, সুচিত্রা সেন এড়িয়ে যেতে চাইছেন। তাই বললেন, ‘ঠিক আছে, আপনাকে বাদ দিয়েই নিউজটা করব।’
পরে সত্যিই রিপোর্টটি বের হলো। সেখানে অনেক কথার পর এক জায়গায় লেখা আছে, ‘সুচিত্রা সেন প্রশ্নের জবাব দিতে অস্বীকার করেছেন।’
এরপর গোপালকৃষ্ণের কাছে এল সুচিত্রার ফোন, ‘কই, আমাকে বাদ দিয়ে তো মোটেই খবরটি করেননি।’ ‘মানে?’
‘আপনি তো আমার নাম রেখেছেন। আমাকে বাদ দিয়ে তো খবর করেননি!’
তাই তো! উত্তর না দিলেও সুচিত্রাকে বাদ দিয়ে তো খবরটি তৈরি করা যায়নি! টেলিফোন কানে নিয়ে বোবা হয়ে যান গোপালকৃষ্ণ রায়।
সূত্র: গোপালকৃষ্ণ রায়, সুচিত্রার কথা, পৃষ্ঠা ৯৮-৯৯
চলচ্চিত্রে চুম্বন নিয়ে বিতর্ক চলছিল তখন। সে সময়ের ভারতের ইনফরমেশন অ্যান্ড ব্রডকাস্টিং মিনিস্টার বসন্ত শাঠে এই বিতর্কের সূচনা করেছিলেন। সাংবাদিক গোপালকৃষ্ণ রায় এ নিয়ে একটা প্রতিবেদন তৈরি করবেন বলে মনস্থির করলেন। এরপর একটি প্রশ্নপত্র তৈরি করে কয়েকজন পরিচালক, প্রযোজক, অভিনয়শিল্পীর কাছে পাঠিয়ে দিলেন তিনি। সবার কাছ থেকে উত্তর এল। উত্তর দিলেন না শুধু সুচিত্রা সেন। গোপালকৃষ্ণ ফোন করলেন সুচিত্রা সেনকে। উত্তর দিয়ে সেটা ডাকে পাঠিয়ে দিতে অনুরোধ করলেন। কিন্তু উত্তরপত্র আর ফিরে আসে না।
এরপর ফোন করলে সুচিত্রা জিজ্ঞেস করলেন, ‘সবার কাছ থেকেই জবাব পেয়েছেন?’
গোপালকৃষ্ণ বললেন, ‘আমার তালিকার সবার কাছ থেকেই পেয়েছি। শুধু আপনি বাকি।’
‘দুদিন পরে ফোন করবেন। আমি একটু ভেবে নিই।’
দুদিন কেটে দুই সপ্তাহ হলো। সুচিত্রার ভাবা আর শেষ হয় না। তখন বিরক্ত হয়ে গোপালকৃষ্ণ ফোনে জিজ্ঞেস করলেন, ‘উত্তর কি তৈরি হয়েছে?’
‘আপনার প্রশ্নগুলো তো পড়াই হয়নি আমার। আর সাবজেক্ট পেলেন না, বেছে বেছে একটা বাজে সাবজেক্ট নিয়েছেন।’
সুচিত্রার ওপর রাগ হয় গোপালকৃষ্ণের। তিনি বলেন, ‘সাবজেক্ট আমি ভালোই বুঝি মিসেস সেন। এটা আমার পেশা। উত্তর দেওয়া-না দেওয়া আপনার ইচ্ছে।’
গোপালকৃষ্ণ বুঝতে পারলেন, সুচিত্রা সেন এড়িয়ে যেতে চাইছেন। তাই বললেন, ‘ঠিক আছে, আপনাকে বাদ দিয়েই নিউজটা করব।’
পরে সত্যিই রিপোর্টটি বের হলো। সেখানে অনেক কথার পর এক জায়গায় লেখা আছে, ‘সুচিত্রা সেন প্রশ্নের জবাব দিতে অস্বীকার করেছেন।’
এরপর গোপালকৃষ্ণের কাছে এল সুচিত্রার ফোন, ‘কই, আমাকে বাদ দিয়ে তো মোটেই খবরটি করেননি।’ ‘মানে?’
‘আপনি তো আমার নাম রেখেছেন। আমাকে বাদ দিয়ে তো খবর করেননি!’
তাই তো! উত্তর না দিলেও সুচিত্রাকে বাদ দিয়ে তো খবরটি তৈরি করা যায়নি! টেলিফোন কানে নিয়ে বোবা হয়ে যান গোপালকৃষ্ণ রায়।
সূত্র: গোপালকৃষ্ণ রায়, সুচিত্রার কথা, পৃষ্ঠা ৯৮-৯৯
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৪ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৫ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৫ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫