সাইফুল মাসুম, ঢাকা
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) শিল্পকারখানা ও বাণিজ্যিক ভবনে কর বাড়িয়েছে প্রায় দ্বিগুণ। আগে বার্ষিক মূল্যায়নের ওপর হোল্ডিং ট্যাক্স (সম্পত্তি কর) ছিল ১২ শতাংশ, এখন করা হয়েছে ২৩ শতাংশ। অর্থাৎ কোনো বাণিজ্যিক ভবনের বার্ষিক ভাড়া ১২ লাখ টাকা হলে রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ দুই মাসের ভাড়া বাদ দিয়ে ১০ লাখ টাকার ওপর করের পরিমাণ হবে ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা।
সম্প্রতি ডিএনসিসির এক অফিস আদেশে বলা হয়েছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাণিজ্যিক ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানের বার্ষিক মূল্যায়নের ওপর ২৩ শতাংশ হারে কর আরোপ ও আদায়ের অনুমোদন দেওয়া হলো। এক কর্মকর্তা জানান, আবাসিক ভবনের ক্ষেত্রে কর ১২ শতাংশই আছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) রাজস্ব বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ডিএসসিসি এলাকায় এই কর আগের মতোই ১২ শতাংশ। ডিএনসিসির একাধিক কর্মকর্তা বলেন, হোল্ডিং ট্যাক্স বাবদ অর্জিত অর্থ এলাকার মৌলিক অবকাঠামো, পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা, সড়কবাতি, পার্কসহ অন্যান্য মূল সুবিধার রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়নের কাজে ব্যবহৃত হয়। এর মাধ্যমে নাগরিক সুবিধা বাড়ে।
নাগরিকদের অভিযোগ, বছর বছর ডিএনসিসির রাজস্ব বাড়লেও সে অনুপাতে নাগরিক সুবিধা বাড়েনি। পূর্ব বাড্ডার পোস্ট অফিস গলির পাশে পাটপণ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ‘তুলিকা’র মালিক ইশরাত জাহান চৌধুরী বলেন, ‘করপোরেশনের সেবার অবস্থা নাজুক। কারখানার ময়লা কোথায় ফেলব এটা নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। রাস্তার অবস্থাও খুব খারাপ। সড়কবাতি কিছু জ্বলে, কিছু নষ্ট।’
উত্তরার এক পোশাক ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমরা যারা গার্মেন্টস সেক্টরে ছোট বা মাঝারি পর্যায়ের ব্যবসায়ী, তারা এখনো করোনার ধকল কাটিয়ে উঠতে পারিনি। এর মধ্যে হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ানো হয়েছে। এটা ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’
মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ রামপুরা-বনশ্রীর জামতলা ও তিতাস রোড এলাকার বাসিন্দারা। তিতাস রোডের আব্দুল্লাহ ফার্মার মালিক সাহাদাত হোসেন টিটু বলেন, ‘বছরে এক-দুইবার করপোরেশনের মশককর্মীদের দেখা মেলে। কী ওষুধ দেয় জানি না। মশার উৎপাত একটুও কমে না।’
মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনের মোল্লার বস্তির বাসিন্দা মো. উজ্জ্বল মাহবুব বলেন, ‘আশপাশের আবাসিক এলাকা থেকে সিটি করপোরেশনের লোকজন ময়লা নিয়ে যায়। কিন্তু বস্তির ভেতরে তারা যায় না। ফলে সারা বছর পরিবেশ খুব নোংরা থাকে।’
ডিএনসিসির এক রাজস্ব কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, ‘সেবা বুঝি না, আমরা রাজস্ব আদায় বুঝি। সেবার বিষয়ে অন্য বিভাগ কাজ করে।’
ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সেলিম রেজা বলেন, ‘সেবা পাবেন বিশ্ব মানের, ট্যাক্স তো একটু বাড়বেই। এটা অনেক দিনের একটা প্রক্রিয়া।
সেবার মানের সঙ্গে এই ট্যাক্স বাড়ানো যৌক্তিক।’
নগর পরিকল্পনাবিদ আদিল মুহাম্মদ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশের ইতিহাস বলে, কর বাড়লে সেবা বাড়ে না। সুশাসন না বাড়লে, সেবা বাড়বে—এ আশা করা ঠিক হবে না। এলাকাভিত্তিক মনিটরিং করে সেবার মান বাড়ানোর বিষয়ে ডিএনসিসির মনোযোগী হওয়া উচিত।’ তিনি বলেন, ‘শিল্পকারখানা বা বাণিজ্যিক ভবনে কর বাড়লে পণ্য উৎপাদনেও এই ব্যয় যোগ হবে। এর চাপ সরাসরি পড়বে ভোক্তাদের ওপর। করোনার অভিঘাত ও বিশ্ব পরিস্থিতিতে এমনিতেই মানুষের আর্থিক সক্ষমতা অনেক কমে এসেছে। এমন পরিস্থিতিতে করের বোঝা বাড়ানো যৌক্তিক হয়নি।’
ডিএনসিসি দ্বিতীয় পরিষদের ১৪ তম সভায় ট্রেড লাইসেন্স ডকুমেন্ট খরচ ২৫০ টাকা এবং ডিএনসিসির বিবিধ ফি ৫০০ টাকা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। পরে ডকুমেন্ট খরচ আরও ২০ টাকা বাড়ানো হয়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের আগেই বিবিধ ফি আদায় শুরু হয়েছে। জানা গেছে, দেশের অন্যান্য সিটি করপোরেশনে এ ধরনের কোনো ফি নেই।
ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ট্রেড লাইসেন্স দেওয়ার পদ্ধতি আধুনিকায়ন করেছি। এতে কোনো ভোগান্তি নেই। কোনো আন্ডার টেবিলে টাকা (ঘুষ) দিতে হবে না। কম সময়ে সেবা মিলছে। মানুষের সময়ের কাছে ৫০০ টাকা বা ২০ টাকা কোনো ব্যাপার নয়। আর বিবিধ ফি নেওয়ার বিষয়ে অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।’
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) শিল্পকারখানা ও বাণিজ্যিক ভবনে কর বাড়িয়েছে প্রায় দ্বিগুণ। আগে বার্ষিক মূল্যায়নের ওপর হোল্ডিং ট্যাক্স (সম্পত্তি কর) ছিল ১২ শতাংশ, এখন করা হয়েছে ২৩ শতাংশ। অর্থাৎ কোনো বাণিজ্যিক ভবনের বার্ষিক ভাড়া ১২ লাখ টাকা হলে রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ দুই মাসের ভাড়া বাদ দিয়ে ১০ লাখ টাকার ওপর করের পরিমাণ হবে ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা।
সম্প্রতি ডিএনসিসির এক অফিস আদেশে বলা হয়েছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাণিজ্যিক ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানের বার্ষিক মূল্যায়নের ওপর ২৩ শতাংশ হারে কর আরোপ ও আদায়ের অনুমোদন দেওয়া হলো। এক কর্মকর্তা জানান, আবাসিক ভবনের ক্ষেত্রে কর ১২ শতাংশই আছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) রাজস্ব বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ডিএসসিসি এলাকায় এই কর আগের মতোই ১২ শতাংশ। ডিএনসিসির একাধিক কর্মকর্তা বলেন, হোল্ডিং ট্যাক্স বাবদ অর্জিত অর্থ এলাকার মৌলিক অবকাঠামো, পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা, সড়কবাতি, পার্কসহ অন্যান্য মূল সুবিধার রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়নের কাজে ব্যবহৃত হয়। এর মাধ্যমে নাগরিক সুবিধা বাড়ে।
নাগরিকদের অভিযোগ, বছর বছর ডিএনসিসির রাজস্ব বাড়লেও সে অনুপাতে নাগরিক সুবিধা বাড়েনি। পূর্ব বাড্ডার পোস্ট অফিস গলির পাশে পাটপণ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ‘তুলিকা’র মালিক ইশরাত জাহান চৌধুরী বলেন, ‘করপোরেশনের সেবার অবস্থা নাজুক। কারখানার ময়লা কোথায় ফেলব এটা নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। রাস্তার অবস্থাও খুব খারাপ। সড়কবাতি কিছু জ্বলে, কিছু নষ্ট।’
উত্তরার এক পোশাক ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমরা যারা গার্মেন্টস সেক্টরে ছোট বা মাঝারি পর্যায়ের ব্যবসায়ী, তারা এখনো করোনার ধকল কাটিয়ে উঠতে পারিনি। এর মধ্যে হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ানো হয়েছে। এটা ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’
মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ রামপুরা-বনশ্রীর জামতলা ও তিতাস রোড এলাকার বাসিন্দারা। তিতাস রোডের আব্দুল্লাহ ফার্মার মালিক সাহাদাত হোসেন টিটু বলেন, ‘বছরে এক-দুইবার করপোরেশনের মশককর্মীদের দেখা মেলে। কী ওষুধ দেয় জানি না। মশার উৎপাত একটুও কমে না।’
মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনের মোল্লার বস্তির বাসিন্দা মো. উজ্জ্বল মাহবুব বলেন, ‘আশপাশের আবাসিক এলাকা থেকে সিটি করপোরেশনের লোকজন ময়লা নিয়ে যায়। কিন্তু বস্তির ভেতরে তারা যায় না। ফলে সারা বছর পরিবেশ খুব নোংরা থাকে।’
ডিএনসিসির এক রাজস্ব কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, ‘সেবা বুঝি না, আমরা রাজস্ব আদায় বুঝি। সেবার বিষয়ে অন্য বিভাগ কাজ করে।’
ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সেলিম রেজা বলেন, ‘সেবা পাবেন বিশ্ব মানের, ট্যাক্স তো একটু বাড়বেই। এটা অনেক দিনের একটা প্রক্রিয়া।
সেবার মানের সঙ্গে এই ট্যাক্স বাড়ানো যৌক্তিক।’
নগর পরিকল্পনাবিদ আদিল মুহাম্মদ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশের ইতিহাস বলে, কর বাড়লে সেবা বাড়ে না। সুশাসন না বাড়লে, সেবা বাড়বে—এ আশা করা ঠিক হবে না। এলাকাভিত্তিক মনিটরিং করে সেবার মান বাড়ানোর বিষয়ে ডিএনসিসির মনোযোগী হওয়া উচিত।’ তিনি বলেন, ‘শিল্পকারখানা বা বাণিজ্যিক ভবনে কর বাড়লে পণ্য উৎপাদনেও এই ব্যয় যোগ হবে। এর চাপ সরাসরি পড়বে ভোক্তাদের ওপর। করোনার অভিঘাত ও বিশ্ব পরিস্থিতিতে এমনিতেই মানুষের আর্থিক সক্ষমতা অনেক কমে এসেছে। এমন পরিস্থিতিতে করের বোঝা বাড়ানো যৌক্তিক হয়নি।’
ডিএনসিসি দ্বিতীয় পরিষদের ১৪ তম সভায় ট্রেড লাইসেন্স ডকুমেন্ট খরচ ২৫০ টাকা এবং ডিএনসিসির বিবিধ ফি ৫০০ টাকা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। পরে ডকুমেন্ট খরচ আরও ২০ টাকা বাড়ানো হয়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের আগেই বিবিধ ফি আদায় শুরু হয়েছে। জানা গেছে, দেশের অন্যান্য সিটি করপোরেশনে এ ধরনের কোনো ফি নেই।
ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ট্রেড লাইসেন্স দেওয়ার পদ্ধতি আধুনিকায়ন করেছি। এতে কোনো ভোগান্তি নেই। কোনো আন্ডার টেবিলে টাকা (ঘুষ) দিতে হবে না। কম সময়ে সেবা মিলছে। মানুষের সময়ের কাছে ৫০০ টাকা বা ২০ টাকা কোনো ব্যাপার নয়। আর বিবিধ ফি নেওয়ার বিষয়ে অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।’
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫