Ajker Patrika

চিত্রনাট্যকারদের সম্মানী দিনদিন আরও কমছে

খায়রুল বাসার নির্ঝর
আপডেট : ১৩ মার্চ ২০২২, ০৮: ৪২
চিত্রনাট্যকারদের সম্মানী দিনদিন আরও কমছে

‘গুণিন’ সিনেমায় কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন। শারীরিক ও মানসিকভাবে গুনিন হয়ে ওঠার প্রক্রিয়া কেমন ছিল?
এটা হাসান আজিজুল হকের গল্প। পুরো গল্পে গুনিন একটা সাবজেক্ট। গল্পের মূল চরিত্র গুনিন নয়। কিন্তু সিনেমাটির চিত্রনাট্যে গুনিনের যে তৎপরতা বা অবস্থান, সেটা অনেক স্ট্রং। গুনিন আসলে দেখতে কেমন, গুনিন কী—এটা লেখক একভাবে লিখেছেন। স্ক্রিনপ্লেতে একটু ভিন্নভাবে এসেছে। তা ছাড়া, আমার নিজের একটা অনুসন্ধান ছিল। কিছু গুনিন, ওঝা বা এ ধরনের লোকের কিছু ছবি তারা (শুটিং ইউনিট) প্রভাইড করেছিল। আমি নিজেও খোঁজ নিয়েছি।

আগে থেকে চিনতেন, নাকি সিনেমাটি করতে গিয়ে খুঁজে বের করেছেন?
আমার বাসা যেখানে, মুগদাপাড়ার পাশে মাণ্ডা, সেখানে একটা মাজার আছে। মাজারের পাশেই আমাদের বাড়ি। ওঝা বলি, গুনিন বলি—এ ধরনের লোক, যাদের অলৌকিক ক্ষমতা আছে বলে মানুষের বিশ্বাস অথবা তারা সেই বিশ্বাসটা লোকজনকে করানোর জন্য নানা তুকতাক করে, এ ধরনের কিছু লোক আমার পরিচিত। তাদের আদল, তাদের আচরণ—এগুলো মাথায় রেখেছি। আবার আমার কল্পনায় যে গুনিনকে দেখি, সে গুনিন আরেক রকম। সবকিছু মিশিয়ে একটা গুনিন আমি দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছি।

গুনিন হওয়ার ক্ষেত্রে প্রধান চ্যালেঞ্জ কোনটা মনে হয়েছে?
অনেক অবস্ট্রাকলের মধ্যে একটা হচ্ছে বয়স। কারণ গল্পে গুনিনের আসল বয়স জানা যায় না। কেউ বলে ১০০ বছর। কেউ বলে, অত হবে না। কেউ বলে, আরও বেশি। সব কল্পনা, বাস্তব মিলিয়ে একটা গুনিন দাঁড় করিয়েছি। একটা প্রসেসের মধ্য দিয়ে গিয়েছি।

এই প্রসেসের ভেতরে আপনাকে কত দিন থাকতে হয়েছে?
প্রায় দুই মাস। না, একটু বেশিই বোধ হয়, দুই মাসের একটু বেশি।

শুটিং পর্ব কেমন ছিল?
খুব কষ্টের ছিল। দাড়ি-চুল এগুলো পাকাতে হয়েছে প্রথমে। সেলুনে গিয়ে কয়েক দফা চেষ্টা করার পরে একটা কালার এসেছে। প্রসথেটিক মেকআপ ব্যবহার করা হয়েছে। রাবার দিয়ে করা। অনেক সময় লাগে মেকআপ দিতে, চার থেকে সাড়ে চার ঘণ্টা লাগে। তুলতেও লাগে প্রায় দুই ঘণ্টা। এটা তো খানিকটা পেইনফুল ছিলই। এ ধরনের মেকআপ অনেক লম্বা সময় ধরে থাকলে স্কিনের ক্ষতি হতে পারে। মেকআপ দেওয়ার পর থেকে সারা শরীরে একটা অস্বস্তি শুরু হয়। ঘামও বের হতে পারে না। যেহেতু আগে থেকে আমি জানতাম এমনটা হবে, তাই একধরনের মানসিক প্রস্তুতি ছিল। পরিচালক নিজেও কনসার্ন থাকতেন কতক্ষণ রাখা যাবে এ মেকআপ দিয়ে। ক্যারেক্টার ধরে রাখা নিয়েও চ্যালেঞ্জ ছিল। এত বয়সী একটা চরিত্রের ভেতরে দীর্ঘ সময় থাকাটাও কষ্টের। বারবার ছুটে যায়।

‘গুণিন’ সিনেমার আরেক অভিনেতা ইরেশ যাকের বলেছেন, তিনি এখন আপনার কাছে অভিনয় শিখছেন…
একটা ইনফরমাল জায়গা থেকে অভিনয় নিয়ে আমরা কথা বলি। যেহেতু অভিনয় শেখানোর কাজটা আমি করি। অভিনয় নিয়ে একধরনের আলোচনা করা, কীভাবে ডেভেলপ করা যেতে পারে, কীভাবে ক্যারেক্টারাইজেশন করতে হয়, ক্যারেক্টারের ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যানালাইসিস, টেক্সট-সাবটেক্সট অ্যানালাইসিস করে কীভাবে ক্যারেক্টার দাঁড় করাতে হয়, নানান কিছু নিয়েই আলাপ হয় আমাদের।

মুখোশ সিনেমার গল্পে চিত্রনাট্যের জন্য নায়কের সমান পারিশ্রমিক দাবি করেন। দৃশ্যটি বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। বাস্তবে  চিত্রনাট্যকারেরা কেমন সম্মানী পান?
চিত্রনাট্যকারদের সম্মানী দিনদিন আরও কমছে। টেলিভিশনে একটা নাটক লিখে, সিরিয়াল লিখে আগে যে টাকা পেতাম, সেটা এখন কেউ দিতে পারে না। বাজেট থাকে না। আবার ওটিটি প্ল্যাটফর্মে বাজেট কিছুটা বেটার। এখন টেলিভিশনের জন্য নাটক লিখতে বললে আমি লিখি না। একমাত্র বিটিভিতে লিখি, কারণ বিটিভির সম্মানীটা এখনো সম্মানজনক আছে। বাইরেরটা খুব অসম্মানজনক অবস্থায় চলে গেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কুয়েটে ক্লাস বর্জন নিয়ে শিক্ষক সমিতিতে মতবিরোধ, এক শিক্ষকের পদত্যাগ

২ ম্যাচ খেলেই মোস্তাফিজ কীভাবে ৬ কোটি রুপি পাবেন

দুটি নোবেলের গৌরব বোধ করতে পারে চবি: প্রধান উপদেষ্টা

বিড়াল নির্যাতনের ঘটনায় গ্রামীণফোন ও অ্যারিস্টোফার্মা কেন আলোচনায়

বাগ্‌বিতণ্ডার মধ্যে সাম্যকে ইট ও ধারালো অস্ত্রের আঘাত করা হয়: ডিএমপি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত