হুমায়ুন মাসুদ, চট্টগ্রাম
অগ্নিনিরাপত্তা পরিকল্পনা (ফায়ার সেফটি প্ল্যান) অনুযায়ী একটি বেসরকারি ডিপোতে স্মোক ডিটেক্টর, হিট ডিটেক্টর, ফায়ার হাইড্রেন্ট (আগুন নেভাতে সড়কের পাশে পানির বিশেষ ব্যবস্থা) থাকার কথা থাকলেও বেসরকারি ১৯টি ডিপোর কোনোটিতেই এ ধরনের ব্যবস্থা নেই। এগুলোর বেশির ভাগই রয়েছে অগ্নিনিরাপত্তার ঝুঁকিতে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা এসব ডিপো পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেছেন।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক (চট্টগ্রাম) ফারুক হোসেন শিকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পরিদর্শনে গিয়ে কোনো ডিপোকে স্বয়ংসম্পূর্ণ পাওয়া যায়নি। একটি ডিপোর ফায়ার সেফটি প্ল্যান ছিল, কিন্তু তারা বাস্তবায়িত করেনি। দু-তিনটি ডিপোর মালিক ফায়ার সেফটি প্ল্যানের জন্য আমাদের অধিদপ্তরে আবেদন করেছে। বাকি ১৬-১৭টির কারওই ফায়ার সেফটি প্ল্যান ছিল না। এগুলোতে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নেই বললেই চলে।’
গত ৪ জুন রাতে সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিনিরাপত্তা পরিকল্পনা না থাকার বিষয়টি সামনে আসে। পরে এ ঘটনায় বেসরকারি অন্য কনটেইনার ডিপোগুলো পরিদর্শনের উদ্যোগ নেয় ফায়ার সার্ভিস। পরিদর্শন দলের নেতৃত্বে ছিলেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক ফারুক হোসেন শিকদার। পরিদর্শনে প্রায় ৮০ শতাংশ ডিপোতে অগ্নিনিরাপত্তার ঝুঁকি রোধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা পাওয়া যায়নি।
বেসরকারি কনটেইনার ডিপো মালিকদের সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পরিবেশ ছাড়পত্র, ফায়ার ছাড়পত্র, বিদেশি কয়েকটি সার্টিফিকেট, আইএসপিএস কমপ্লায়েন্সসহ সবকিছু থাকার ভিত্তিতে প্রতিবছর এসব ডিপোর লাইসেন্স নবায়ন হচ্ছে। কিন্তু বাস্তব অবস্থা হলো, নীতিমালা অনুযায়ী অনেক কিছুই অধিকাংশ ডিপোতে সঠিকভাবে পালিত হয় না। বিশেষ করে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা খুব নড়বড়ে।
গত বৃহস্পতিবার সকালে নগরের কাটগড় এলাকার ইস্টার্ন লজিস্টিকস কনটেইনার ডিপোতে গেলে দেখা যায়, বিএম কনটেইনার ডিপোর ঘটনার পর তারা ডিপোতে ফায়ার হাইড্রেন্টসহ ফায়ার সেফটি প্ল্যান কার্যকরে উদ্যোগ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে ইতিমধ্যে একটি পয়েন্টে ফায়ার হাইড্রেন্ট বসানো হয়েছে। বাকি দুটি পয়েন্টে ফায়ার হাইড্রেন্ট বসানোর কাজ চলছে।
অন্যদিকে পূর্ব পতেঙ্গার লালদিয়ার চরের ইনকনট্রেড লিমিটেড কনটেইনার ডিপোতে গেলে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক ফারুক হোসেন শিকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, কোনো ইঞ্জিনিয়ার ফার্ম থেকে ফায়ার সেফটি প্ল্যান প্রস্তুত করে অধিদপ্তর থেকে অনুমোদন নিতে হয়। তিন মাস অন্তর ফায়ার ড্রিল করতে হবে। এটি সম্ভব না হলে বছরে অন্তত একবার করতেই হবে। ডিপো কর্তৃপক্ষ এগুলো অনুসরণ করেনি। তাদের এসব বিষয় অনুসরণ করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে বেসরকারি কনটেইনার ডিপো মালিকদের সংগঠন বিকডার সভাপতি নুরুল কাইয়ুম খান বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কাছে তেমন কোনো তথ্য নেই। ফায়ার সার্ভিস কখন পরিদর্শনে গিয়েছেন, তারা কী পেয়েছেন, কী নির্দেশনা দিয়েছেন, তা আমার জানা নেই।’
নুরুল কাইয়ুম খান আরও বলেন, ‘দু-একটি ডিপোতে অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকলেও বেশির ভাগ কনটেইনার ডিপোর অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা ঠিক আছে। এরপরও ফায়ার সার্ভিস থেকে যদি কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়, আমরা সেটি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে দ্রুত বাস্তবায়ন করব। ইতিমধ্যে অনেক ডিপোতে ফায়ার হাইড্রেন্ট বসানো হয়েছে।’
অগ্নিনিরাপত্তা পরিকল্পনা (ফায়ার সেফটি প্ল্যান) অনুযায়ী একটি বেসরকারি ডিপোতে স্মোক ডিটেক্টর, হিট ডিটেক্টর, ফায়ার হাইড্রেন্ট (আগুন নেভাতে সড়কের পাশে পানির বিশেষ ব্যবস্থা) থাকার কথা থাকলেও বেসরকারি ১৯টি ডিপোর কোনোটিতেই এ ধরনের ব্যবস্থা নেই। এগুলোর বেশির ভাগই রয়েছে অগ্নিনিরাপত্তার ঝুঁকিতে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা এসব ডিপো পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেছেন।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক (চট্টগ্রাম) ফারুক হোসেন শিকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পরিদর্শনে গিয়ে কোনো ডিপোকে স্বয়ংসম্পূর্ণ পাওয়া যায়নি। একটি ডিপোর ফায়ার সেফটি প্ল্যান ছিল, কিন্তু তারা বাস্তবায়িত করেনি। দু-তিনটি ডিপোর মালিক ফায়ার সেফটি প্ল্যানের জন্য আমাদের অধিদপ্তরে আবেদন করেছে। বাকি ১৬-১৭টির কারওই ফায়ার সেফটি প্ল্যান ছিল না। এগুলোতে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নেই বললেই চলে।’
গত ৪ জুন রাতে সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিনিরাপত্তা পরিকল্পনা না থাকার বিষয়টি সামনে আসে। পরে এ ঘটনায় বেসরকারি অন্য কনটেইনার ডিপোগুলো পরিদর্শনের উদ্যোগ নেয় ফায়ার সার্ভিস। পরিদর্শন দলের নেতৃত্বে ছিলেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক ফারুক হোসেন শিকদার। পরিদর্শনে প্রায় ৮০ শতাংশ ডিপোতে অগ্নিনিরাপত্তার ঝুঁকি রোধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা পাওয়া যায়নি।
বেসরকারি কনটেইনার ডিপো মালিকদের সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পরিবেশ ছাড়পত্র, ফায়ার ছাড়পত্র, বিদেশি কয়েকটি সার্টিফিকেট, আইএসপিএস কমপ্লায়েন্সসহ সবকিছু থাকার ভিত্তিতে প্রতিবছর এসব ডিপোর লাইসেন্স নবায়ন হচ্ছে। কিন্তু বাস্তব অবস্থা হলো, নীতিমালা অনুযায়ী অনেক কিছুই অধিকাংশ ডিপোতে সঠিকভাবে পালিত হয় না। বিশেষ করে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা খুব নড়বড়ে।
গত বৃহস্পতিবার সকালে নগরের কাটগড় এলাকার ইস্টার্ন লজিস্টিকস কনটেইনার ডিপোতে গেলে দেখা যায়, বিএম কনটেইনার ডিপোর ঘটনার পর তারা ডিপোতে ফায়ার হাইড্রেন্টসহ ফায়ার সেফটি প্ল্যান কার্যকরে উদ্যোগ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে ইতিমধ্যে একটি পয়েন্টে ফায়ার হাইড্রেন্ট বসানো হয়েছে। বাকি দুটি পয়েন্টে ফায়ার হাইড্রেন্ট বসানোর কাজ চলছে।
অন্যদিকে পূর্ব পতেঙ্গার লালদিয়ার চরের ইনকনট্রেড লিমিটেড কনটেইনার ডিপোতে গেলে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক ফারুক হোসেন শিকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, কোনো ইঞ্জিনিয়ার ফার্ম থেকে ফায়ার সেফটি প্ল্যান প্রস্তুত করে অধিদপ্তর থেকে অনুমোদন নিতে হয়। তিন মাস অন্তর ফায়ার ড্রিল করতে হবে। এটি সম্ভব না হলে বছরে অন্তত একবার করতেই হবে। ডিপো কর্তৃপক্ষ এগুলো অনুসরণ করেনি। তাদের এসব বিষয় অনুসরণ করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে বেসরকারি কনটেইনার ডিপো মালিকদের সংগঠন বিকডার সভাপতি নুরুল কাইয়ুম খান বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কাছে তেমন কোনো তথ্য নেই। ফায়ার সার্ভিস কখন পরিদর্শনে গিয়েছেন, তারা কী পেয়েছেন, কী নির্দেশনা দিয়েছেন, তা আমার জানা নেই।’
নুরুল কাইয়ুম খান আরও বলেন, ‘দু-একটি ডিপোতে অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকলেও বেশির ভাগ কনটেইনার ডিপোর অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা ঠিক আছে। এরপরও ফায়ার সার্ভিস থেকে যদি কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়, আমরা সেটি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে দ্রুত বাস্তবায়ন করব। ইতিমধ্যে অনেক ডিপোতে ফায়ার হাইড্রেন্ট বসানো হয়েছে।’
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫