নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আষাঢ়-শ্রাবণ-ভাদ্রে বাংলার মাঠঘাট পানিতে থইথই করার কথা। ধানের জমিতে হাঁটুপানি। কোথাও কোথাও সেটা কোমরসমান ছাড়িয়ে গেলে ধান চাষ নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন কৃষক। কিন্তু এবারের বর্ষার যেন চিত্র উল্টো। মাঝভাদ্রেও সেভাবে বৃষ্টির দেখা নেই। পানির অভাবে আমনের চারা রোয়া যাচ্ছে না অনেক জায়গায়। অল্প কাদাপানিতে যাঁরা চারা গেড়েছিলেন, তাঁদের অনেকের খেত এখন ফেটে চৌচির। সবুজ কচি চারাগুলো পানির অভাবে শুকিয়ে হলুদ হচ্ছে। আকাশের দিকে চেয়ে আছে কৃষকের চোখ। কিন্তু সেই অপেক্ষা যেন কিছুতে ফুরাচ্ছে না। শিগগির ফুরাবে—এমন আভাসও দিতে পারছে না আবহাওয়া বিভাগ।
পানির সংকটে আমন আবাদ অনেক জায়গায় প্রায় এক মাস পিছিয়ে গেছে। অনেকে গভীর নলকূপের সেচ দিয়ে জমি ভিজিয়ে রাখছেন। কিন্তু ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি আর লোডশেডিংয়ে সেখানেও স্বস্তি নেই। বেড়ে গেছে সারের দামও। বড় দুর্দিনে দেশের কৃষক।
ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার মহব্বতপুর গ্রামের কৃষক হারুন অর রশিদ। তাঁর পাঁচ একর জমির মধ্যে তিন একর জমিতে আমন ধান রোপণ করেছেন। সেচের অভাবে বাকি দুই একর জমিতে রোপণ করতে পারেননি। ধান রোপণের আগে ও পরে এমন কঠিন অবস্থার মুখোমুখি এর আগে কোনো বছর পড়েননি তিনি। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, বৃষ্টি না হওয়া, অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ে চাষাবাদ ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি রোপণ করা জমির স্বপ্নের ফসল নষ্ট হতে দেখে চোখমুখে অন্ধকার দেখছেন হারুন।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ গত ২৪ আগস্ট বলেছেন, চলতি আমন মৌসুমে জমিতে পর্যাপ্ত সেচ নিশ্চিত করতে রাত ১২টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে।
তবে বহু গ্রামে বিদ্যুৎ যাচ্ছে না, এটা কৃষক ও বিদ্যুৎ কর্মকর্তাদের বক্তব্যে স্পষ্ট।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ময়মনসিংহ উত্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, কৃষকের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সরকারের নির্দেশনায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ গ্রামপর্যায়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি। তবে মাঝেমধ্যে নানা কারণে কিছুটা সমস্যা হয়।
তারাকান্দার হারুন অর রশিদ বলেন, ‘গ্রামে আমরা খুব একটা বিদ্যুৎ পাচ্ছি না। নিয়মিত বিদ্যুৎ পেলে কৃষকেরা অন্তত যেটুকু জমি আবাদ করেছে, তার ফসল ঘরে তুলতে পারত। খেতের অবস্থার কথা চিন্তা করে রাতে ঘুম আসে না। সবুজ ধানগুলো হলদে হয়ে মরে যাচ্ছে। এমন দুর্ভোগ আমার জীবনে দেখিনি।’
আমন রোপণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে শঙ্কার কথা জানিয়ে ময়মনসিংহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা ড. নাছরিন আক্তার বানু বলেন, প্রকৃতির ওপর কারও হাত নেই। কৃষকদের নিয়ে আমরাও চিন্তায় আছি। কৃষকেরা ধান চাষ করতে না পারলে খাদ্যঘাটতি দেখা দিতে পারে। তবে যারা ধান রোপণ করেছে, সেসব ধান টিকিয়ে রাখতে প্রতি উপজেলার কৃষি অফিসারদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়ার জন্য।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বিলপাড়া গ্রামের আব্দুর রহিম বলেন, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পানি দিলে বিকেলে এসে দেখি জমিতে পানি নেই। প্রচণ্ড রোদ আর তীব্র তাপে ধানগাছ শুকিয়ে মরে যাচ্ছে। একই জমিতে বারবার পানি দেওয়ায় জ্বালানি খরচও বেড়ে যাচ্ছে বহুগুণ। আমন চাষ করে এবার ক্ষতি হয়ে গেল।
সবজিচাষি জয়পুরহাট সদর উপজেলার কোমরগ্রামের ওয়ারেছ বলেন, বৃষ্টির অভাবে শসা, করলা ও তরমুজের ভালো ফলন হচ্ছে না। কিছু কিছু গাছ কুঁকড়ে যাচ্ছে। তাই দুশ্চিন্তা হচ্ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, পর্যাপ্ত বৃষ্টির অভাবে কৃষকেরা এবার খরার কবলে পড়েছেন। তাঁরা সেচ দিয়ে জমির পরিচর্যা করছেন। এতে কৃষকদের বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে।
শরিফুল ইসলাম নামের কুষ্টিয়ার মিরপুরের সুলতানপুর মাঠের এক কৃষক বলেন, যে সময় ধানের গোছা মোটা হয়ে যাওয়ার কথা, এবার সেই সময় ধানের চারা রোপণ করা হচ্ছে। বৃষ্টির অভাবেই এমনটা হয়েছে।
সাতক্ষীরার শিবপুর গ্রামের আনিসুর রহমান জানান, আষাঢ়-শ্রাবণে বৃষ্টি না হওয়ায় ভাদ্র মাসে ধান লাগিয়েছেন। কিন্তু ভাদ্রেও বৃষ্টি না হওয়ায় ধানের পাতা মারা যাচ্ছে।
সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, উপকূলীয় এলাকায় আমন ধান একটু দেরিতে লাগানো হয়। তবে অনাবৃষ্টির কারণে জমিতে লবণাক্ততা বেড়ে যাচ্ছে। যার প্রভাব কৃষিতে পড়বে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার শ্যালো মেশিনচালক সুমন মিয়া বলেন, ‘আগে এক বিঘা জমি পানি দিয়ে ভেজাতে খরচ হতো ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা। ডিজেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা নিতে হচ্ছে। এতে আমার কিছুটা লাভ হলেও কৃষকের কোনো লাভ নেই।’
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আশিক জামিল মাহমুদ জানান, উপজেলায় আমন চাষের প্রায় ৫০ শতাংশ জমিতে চারা রোপণ করা শেষ হয়েছে। অত্যধিক তাপ ও অনাবৃষ্টির কারণে আমনের চারা রোপণ করা যাচ্ছে না।
দক্ষিণের জেলা বরগুনার জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আবু সৈয়দ মো. জোবায়দুল আলম জানান, শ্রাবণ মাসের মাঝামাঝি বপনের জন্য বীজ প্রস্তুত হয়। কিন্তু এ বছর অনাবৃষ্টিতে বীজতলা প্রস্তুত করতে দেরি হয়েছে। ফলে মৌসুম শেষ হয়ে এলেও বীজ বপন করতে পারছেন না এলাকার কৃষকেরা। এখন পর্যন্ত জেলার ২৮ শতাংশ জমিতে আমনের আবাদ করেছেন কৃষক।
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সাবেক গবেষণা পরিচালক আসাদুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, আমন বোনা আগস্টের মাঝামাঝি শেষ করতে হয়। সেটা না হওয়ায় অবস্থা আসলেই সঙিন। অন্তত ৩০ শতাংশ জমিতেও যদি বোনা বাকি থাকে, আর সেচে বিঘ্ন ঘটে, তাহলে ফলন কমবে। আর বোরো পুরোপুরি সেচের ওপর নির্ভর করে চাষ করতে হয়। লোডশেডিং কমানো না গেলে আগামী বোরো মৌসুমেও ফলনে প্রভাব পড়বে।
[প্রতিবেদনে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছেন কুষ্টিয়া, জয়পুরহাট, ঝিনাইদহ, নোয়াখালী, বরগুনা, ভোলা, ময়মনসিংহ, শরীয়তপুর, শেরপুর, সাতক্ষীরা, ঠাকুরগাঁও, ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) ও কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি]
আষাঢ়-শ্রাবণ-ভাদ্রে বাংলার মাঠঘাট পানিতে থইথই করার কথা। ধানের জমিতে হাঁটুপানি। কোথাও কোথাও সেটা কোমরসমান ছাড়িয়ে গেলে ধান চাষ নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন কৃষক। কিন্তু এবারের বর্ষার যেন চিত্র উল্টো। মাঝভাদ্রেও সেভাবে বৃষ্টির দেখা নেই। পানির অভাবে আমনের চারা রোয়া যাচ্ছে না অনেক জায়গায়। অল্প কাদাপানিতে যাঁরা চারা গেড়েছিলেন, তাঁদের অনেকের খেত এখন ফেটে চৌচির। সবুজ কচি চারাগুলো পানির অভাবে শুকিয়ে হলুদ হচ্ছে। আকাশের দিকে চেয়ে আছে কৃষকের চোখ। কিন্তু সেই অপেক্ষা যেন কিছুতে ফুরাচ্ছে না। শিগগির ফুরাবে—এমন আভাসও দিতে পারছে না আবহাওয়া বিভাগ।
পানির সংকটে আমন আবাদ অনেক জায়গায় প্রায় এক মাস পিছিয়ে গেছে। অনেকে গভীর নলকূপের সেচ দিয়ে জমি ভিজিয়ে রাখছেন। কিন্তু ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি আর লোডশেডিংয়ে সেখানেও স্বস্তি নেই। বেড়ে গেছে সারের দামও। বড় দুর্দিনে দেশের কৃষক।
ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার মহব্বতপুর গ্রামের কৃষক হারুন অর রশিদ। তাঁর পাঁচ একর জমির মধ্যে তিন একর জমিতে আমন ধান রোপণ করেছেন। সেচের অভাবে বাকি দুই একর জমিতে রোপণ করতে পারেননি। ধান রোপণের আগে ও পরে এমন কঠিন অবস্থার মুখোমুখি এর আগে কোনো বছর পড়েননি তিনি। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, বৃষ্টি না হওয়া, অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ে চাষাবাদ ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি রোপণ করা জমির স্বপ্নের ফসল নষ্ট হতে দেখে চোখমুখে অন্ধকার দেখছেন হারুন।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ গত ২৪ আগস্ট বলেছেন, চলতি আমন মৌসুমে জমিতে পর্যাপ্ত সেচ নিশ্চিত করতে রাত ১২টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে।
তবে বহু গ্রামে বিদ্যুৎ যাচ্ছে না, এটা কৃষক ও বিদ্যুৎ কর্মকর্তাদের বক্তব্যে স্পষ্ট।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ময়মনসিংহ উত্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, কৃষকের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সরকারের নির্দেশনায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ গ্রামপর্যায়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি। তবে মাঝেমধ্যে নানা কারণে কিছুটা সমস্যা হয়।
তারাকান্দার হারুন অর রশিদ বলেন, ‘গ্রামে আমরা খুব একটা বিদ্যুৎ পাচ্ছি না। নিয়মিত বিদ্যুৎ পেলে কৃষকেরা অন্তত যেটুকু জমি আবাদ করেছে, তার ফসল ঘরে তুলতে পারত। খেতের অবস্থার কথা চিন্তা করে রাতে ঘুম আসে না। সবুজ ধানগুলো হলদে হয়ে মরে যাচ্ছে। এমন দুর্ভোগ আমার জীবনে দেখিনি।’
আমন রোপণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে শঙ্কার কথা জানিয়ে ময়মনসিংহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা ড. নাছরিন আক্তার বানু বলেন, প্রকৃতির ওপর কারও হাত নেই। কৃষকদের নিয়ে আমরাও চিন্তায় আছি। কৃষকেরা ধান চাষ করতে না পারলে খাদ্যঘাটতি দেখা দিতে পারে। তবে যারা ধান রোপণ করেছে, সেসব ধান টিকিয়ে রাখতে প্রতি উপজেলার কৃষি অফিসারদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়ার জন্য।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বিলপাড়া গ্রামের আব্দুর রহিম বলেন, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পানি দিলে বিকেলে এসে দেখি জমিতে পানি নেই। প্রচণ্ড রোদ আর তীব্র তাপে ধানগাছ শুকিয়ে মরে যাচ্ছে। একই জমিতে বারবার পানি দেওয়ায় জ্বালানি খরচও বেড়ে যাচ্ছে বহুগুণ। আমন চাষ করে এবার ক্ষতি হয়ে গেল।
সবজিচাষি জয়পুরহাট সদর উপজেলার কোমরগ্রামের ওয়ারেছ বলেন, বৃষ্টির অভাবে শসা, করলা ও তরমুজের ভালো ফলন হচ্ছে না। কিছু কিছু গাছ কুঁকড়ে যাচ্ছে। তাই দুশ্চিন্তা হচ্ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, পর্যাপ্ত বৃষ্টির অভাবে কৃষকেরা এবার খরার কবলে পড়েছেন। তাঁরা সেচ দিয়ে জমির পরিচর্যা করছেন। এতে কৃষকদের বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে।
শরিফুল ইসলাম নামের কুষ্টিয়ার মিরপুরের সুলতানপুর মাঠের এক কৃষক বলেন, যে সময় ধানের গোছা মোটা হয়ে যাওয়ার কথা, এবার সেই সময় ধানের চারা রোপণ করা হচ্ছে। বৃষ্টির অভাবেই এমনটা হয়েছে।
সাতক্ষীরার শিবপুর গ্রামের আনিসুর রহমান জানান, আষাঢ়-শ্রাবণে বৃষ্টি না হওয়ায় ভাদ্র মাসে ধান লাগিয়েছেন। কিন্তু ভাদ্রেও বৃষ্টি না হওয়ায় ধানের পাতা মারা যাচ্ছে।
সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, উপকূলীয় এলাকায় আমন ধান একটু দেরিতে লাগানো হয়। তবে অনাবৃষ্টির কারণে জমিতে লবণাক্ততা বেড়ে যাচ্ছে। যার প্রভাব কৃষিতে পড়বে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার শ্যালো মেশিনচালক সুমন মিয়া বলেন, ‘আগে এক বিঘা জমি পানি দিয়ে ভেজাতে খরচ হতো ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা। ডিজেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা নিতে হচ্ছে। এতে আমার কিছুটা লাভ হলেও কৃষকের কোনো লাভ নেই।’
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আশিক জামিল মাহমুদ জানান, উপজেলায় আমন চাষের প্রায় ৫০ শতাংশ জমিতে চারা রোপণ করা শেষ হয়েছে। অত্যধিক তাপ ও অনাবৃষ্টির কারণে আমনের চারা রোপণ করা যাচ্ছে না।
দক্ষিণের জেলা বরগুনার জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আবু সৈয়দ মো. জোবায়দুল আলম জানান, শ্রাবণ মাসের মাঝামাঝি বপনের জন্য বীজ প্রস্তুত হয়। কিন্তু এ বছর অনাবৃষ্টিতে বীজতলা প্রস্তুত করতে দেরি হয়েছে। ফলে মৌসুম শেষ হয়ে এলেও বীজ বপন করতে পারছেন না এলাকার কৃষকেরা। এখন পর্যন্ত জেলার ২৮ শতাংশ জমিতে আমনের আবাদ করেছেন কৃষক।
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সাবেক গবেষণা পরিচালক আসাদুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, আমন বোনা আগস্টের মাঝামাঝি শেষ করতে হয়। সেটা না হওয়ায় অবস্থা আসলেই সঙিন। অন্তত ৩০ শতাংশ জমিতেও যদি বোনা বাকি থাকে, আর সেচে বিঘ্ন ঘটে, তাহলে ফলন কমবে। আর বোরো পুরোপুরি সেচের ওপর নির্ভর করে চাষ করতে হয়। লোডশেডিং কমানো না গেলে আগামী বোরো মৌসুমেও ফলনে প্রভাব পড়বে।
[প্রতিবেদনে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছেন কুষ্টিয়া, জয়পুরহাট, ঝিনাইদহ, নোয়াখালী, বরগুনা, ভোলা, ময়মনসিংহ, শরীয়তপুর, শেরপুর, সাতক্ষীরা, ঠাকুরগাঁও, ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) ও কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি]
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪