Ajker Patrika

ভুয়া ওয়ারিশ সনদে কারাগারে চেয়ারম্যান

প্রতিনিধি, শেরপুর
আপডেট : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৩: ৩৬
ভুয়া ওয়ারিশ সনদে কারাগারে চেয়ারম্যান

শেরপুরের নকলা উপজেলায় জাল ওয়ারিশ সনদের মামলায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান সুজা ও শিক্ষিক নাজমুল ইসলামকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার তাঁরা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শরিফুল ইসলাম খান তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আনিসুর রহমান সুজা নকলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। আর নাজমুল ইসলাম ছত্রকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।

মামলা সূত্রে জানা যায়, নকলার ধনাকুশা গ্রামের আশরাফ আলী দুই ছেলে ও পাঁচ মেয়ের বাবা। তাঁর দুই স্ত্রী। আশরাফ আলী ২০০০ সালে মারা যান। পরে তাঁর সন্তানেরা ২০১৩ সালের ২৬ জুন নকলা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ইউপি চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান সুজা স্বাক্ষরিত ওয়ারিশ সনদ তোলেন। ওই ওয়ারিশ সনদে আশরাফ আলীর দ্বিতীয় স্ত্রী মরিয়ম বিবিসহ সাত ছেলে-মেয়ের নাম ওয়ারিশ হিসেবে দেখানো হয়। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যানের যোগসাজশে ৯২ শতাংশ পৈতৃক সম্পত্তি আত্মসাতের জন্য ২০১৯ সালের ১ জুলাই নতুন করে ওয়ারিশ সনদ তোলা হয়। সেখানে প্রথম স্ত্রী মৃত নুরজাহান বেগম, তাঁর ছেলে নাজমুল ও মেয়ে কামরুন নাহারকে ওয়ারিশ দেখানো হয়।

ওই ঘটনায় আশরাফ আলীর ছোট মেয়ে শামছুন্নাহার আদালতে নালিশি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান সুজা ও নাজমুল ইসলাম আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠান।

বাদীপক্ষের আইনজীবী আলীর কিবরিয়া কামরুল জানান, ওয়ারিশ সনদ জালের মামলায় দুজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। পৈতৃক সম্পত্তি আত্মসাতের উদ্দেশ্যে জালিয়াতি মামলায় তাঁরা জড়িত।

আসামিপক্ষের আইনজীবী মমতাজ উদ্দিন মুন্না বলেন, ‘নাজমুল ইসলাম ও তার বোনের তথ্যে ইউপি চেয়ারম্যান ওয়ারিশ সনদ দিয়েছেন। কাজেই তিনি এ ঘটনায় জড়িত নন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত