নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মেয়েদের নিয়ে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক বাবা আর জাপানি মায়ের আইনি লড়াই আপাতত শেষ হলো তিন বোনের বিচ্ছেদের মধ্য দিয়ে। আদালত বলেছেন, ১০ ও ১১ বছর বয়সী বড় দুই মেয়ে থাকবে বাবা ইমরান শরীফের জিম্মায়। আর ছোট মেয়েকে নিজ জিম্মায় রাখতে বাবার করা রিট খারিজ করেছেন আদালত। অর্থাৎ সে থাকবে জাপানে মা এরিকো নাকানোর কাছে।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল রোববার এই রায় ঘোষণা করেন। আদালতে ইমরান শরীফের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফিদা এম কামাল ও ফাওজিয়া করিম ফিরোজ। এরিকো নাকানোর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
রায়ে আদালত বলেন, মা এরিকো নাকানো সন্তানদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ ও একান্তে সময় কাটানোর সুযোগ পাবেন। তবে তিনি যেহেতু জাপানি নাগরিক এবং সেখানে কর্মরত, তাই তিনি প্রতি তিন মাস পরপর বাংলাদেশে এসে কমপক্ষে ১০ দিন সন্তানদের সঙ্গে সময় কাটাতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে বছরে তিনবার বাংলাদেশে আসা-যাওয়াসহ সব খরচ বহন করবেন ইমরান শরীফ। তবে অতিরিক্ত সময় যাওয়া-আসা করলে সেই খরচ মা এরিকোকেই বহন করতে হবে।
রায়ে আদালত আরও বলেন, ইমরান শরীফ মাসে কমপক্ষে দুবার ছুটির দিনে সন্তানদের সঙ্গে তাদের মাকে ভিডিওকলে কথা বলার সুযোগ করে দেবেন। আর বাংলাদেশে আসা-যাওয়া এবং গত কয়েক মাস থাকার খরচ বাবদ ইমরান শরীফ আগামী সাত দিনের মধ্যে এরিকো নাকানোকে ১০ লাখ টাকা দেবেন। সেই সঙ্গে সমাজসেবা কর্মকর্তা শিশুদের তদারকি অব্যাহত রাখবেন এবং প্রতি তিন মাস পরপর হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার বরাবর এ বিষয়ে প্রতিবেদন দেবেন। দুই শিশুকে ফিরে পেতে মা এরিকোর করা রিটটি চলমান থাকবে উল্লেখ করে আদালত বলেছেন, যেকোনো পক্ষ চাইলে আদালতে আসতে পারবে।
রায় ঘোষণার আগে হাইকোর্ট বলেন, ‘রায়ে কোনো না কোনো পক্ষ ভিকটিম হবে। তবে সবচেয়ে বেশি ভিকটিম হবে এই দুই কন্যাশিশু। আমরা আশা করব বাবা-মা উভয় পক্ষই যেন শিশুদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে। আমরা শিশুদের সঙ্গে তিনবার কথা বলেছি। মনে করেছি, বাচ্চাদের বর্তমান পর্যায়ে তাদের কল্যাণের বিষয়টি রেখেই আদেশ দেওয়া সমীচীন।’
রায়ের বিষয়ে এরিকো নাকানোর আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির আজকের পত্রিকাকে বলেন, পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর তাঁরা আপিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
২০০৮ সালের ১১ জুলাই ইমরান ও এরিকোর বিয়ে হয়। তাঁদের তিন মেয়ে। গত ১৮ জানুয়ারি এরিকোর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন ইমরান। এরপর ২১ ফেব্রুয়ারি দুই মেয়েকে নিয়ে দেশে চলে আসেন তিনি। ১৮ জুলাই আসেন এরিকো। দুই মেয়েকে ফিরে পেতে তিনি গত ১৯ আগস্ট রিট করেন। পরে ছোট মেয়েকে ফিরে পেতে আরেকটি রিট করেন ইমরান। পৃথক এই দুই রিটের শুনানি শেষ হয় গত ৩১ অক্টোবর। এরপর গতকাল রায় দিলেন আদালত।
মেয়েদের নিয়ে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক বাবা আর জাপানি মায়ের আইনি লড়াই আপাতত শেষ হলো তিন বোনের বিচ্ছেদের মধ্য দিয়ে। আদালত বলেছেন, ১০ ও ১১ বছর বয়সী বড় দুই মেয়ে থাকবে বাবা ইমরান শরীফের জিম্মায়। আর ছোট মেয়েকে নিজ জিম্মায় রাখতে বাবার করা রিট খারিজ করেছেন আদালত। অর্থাৎ সে থাকবে জাপানে মা এরিকো নাকানোর কাছে।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল রোববার এই রায় ঘোষণা করেন। আদালতে ইমরান শরীফের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফিদা এম কামাল ও ফাওজিয়া করিম ফিরোজ। এরিকো নাকানোর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
রায়ে আদালত বলেন, মা এরিকো নাকানো সন্তানদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ ও একান্তে সময় কাটানোর সুযোগ পাবেন। তবে তিনি যেহেতু জাপানি নাগরিক এবং সেখানে কর্মরত, তাই তিনি প্রতি তিন মাস পরপর বাংলাদেশে এসে কমপক্ষে ১০ দিন সন্তানদের সঙ্গে সময় কাটাতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে বছরে তিনবার বাংলাদেশে আসা-যাওয়াসহ সব খরচ বহন করবেন ইমরান শরীফ। তবে অতিরিক্ত সময় যাওয়া-আসা করলে সেই খরচ মা এরিকোকেই বহন করতে হবে।
রায়ে আদালত আরও বলেন, ইমরান শরীফ মাসে কমপক্ষে দুবার ছুটির দিনে সন্তানদের সঙ্গে তাদের মাকে ভিডিওকলে কথা বলার সুযোগ করে দেবেন। আর বাংলাদেশে আসা-যাওয়া এবং গত কয়েক মাস থাকার খরচ বাবদ ইমরান শরীফ আগামী সাত দিনের মধ্যে এরিকো নাকানোকে ১০ লাখ টাকা দেবেন। সেই সঙ্গে সমাজসেবা কর্মকর্তা শিশুদের তদারকি অব্যাহত রাখবেন এবং প্রতি তিন মাস পরপর হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার বরাবর এ বিষয়ে প্রতিবেদন দেবেন। দুই শিশুকে ফিরে পেতে মা এরিকোর করা রিটটি চলমান থাকবে উল্লেখ করে আদালত বলেছেন, যেকোনো পক্ষ চাইলে আদালতে আসতে পারবে।
রায় ঘোষণার আগে হাইকোর্ট বলেন, ‘রায়ে কোনো না কোনো পক্ষ ভিকটিম হবে। তবে সবচেয়ে বেশি ভিকটিম হবে এই দুই কন্যাশিশু। আমরা আশা করব বাবা-মা উভয় পক্ষই যেন শিশুদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে। আমরা শিশুদের সঙ্গে তিনবার কথা বলেছি। মনে করেছি, বাচ্চাদের বর্তমান পর্যায়ে তাদের কল্যাণের বিষয়টি রেখেই আদেশ দেওয়া সমীচীন।’
রায়ের বিষয়ে এরিকো নাকানোর আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির আজকের পত্রিকাকে বলেন, পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর তাঁরা আপিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
২০০৮ সালের ১১ জুলাই ইমরান ও এরিকোর বিয়ে হয়। তাঁদের তিন মেয়ে। গত ১৮ জানুয়ারি এরিকোর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন ইমরান। এরপর ২১ ফেব্রুয়ারি দুই মেয়েকে নিয়ে দেশে চলে আসেন তিনি। ১৮ জুলাই আসেন এরিকো। দুই মেয়েকে ফিরে পেতে তিনি গত ১৯ আগস্ট রিট করেন। পরে ছোট মেয়েকে ফিরে পেতে আরেকটি রিট করেন ইমরান। পৃথক এই দুই রিটের শুনানি শেষ হয় গত ৩১ অক্টোবর। এরপর গতকাল রায় দিলেন আদালত।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫