মিলন উল্লাহ, কুষ্টিয়া
কুষ্টিয়ায় চলতি মৌসুমের ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারছে না জেলা খাদ্য বিভাগ। সরকারনির্ধারিত দামের চেয়ে খুচরা বাজারে ধান-চালের দাম বেশি থাকায় এই অবস্থা বলে দাবি করছেন খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা।
এর আগে প্রায় প্রতি বছর শতভাগ চাল সংগ্রহ করা হলেও চলতি বছর লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
জেলা খাদ্য বিভাগের তথ্যমতে, বোরো মৌসুমে ৪০ টাকা কেজি দরে ৪২ হাজার ৬৭৪ মেট্রিক টন চাল এবং ২৭ টাকা কেজি দরে ৪ হাজার ৮৩৫ মেট্রিক টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। গত ১২ মে শুরু হওয়া এই খাদ্য সংগ্রহ অভিযান চলবে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। সময় প্রায় শেষ হয়ে গেলেও এখনো লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অনেকটাই পিছিয়ে আছে জেলা খাদ্য বিভাগ। আর এই চিত্র দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চালের মোকাম বলে পরিচিত কুষ্টিয়ায়।
কুষ্টিয়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় এবং জেলার দুটি খাদ্যগুদাম সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের মে মাস থেকে কুষ্টিয়াসহ সারা দেশে মিল মালিকদের কাছ থেকে সরকারিভাবে একযোগে চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়। এ বছর কুষ্টিয়া জেলায় চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৪২ হাজার ৬৭৪ মেট্রিক টন। এর মধ্যে কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৩৭ হাজার ৪৯৪ মেট্রিক টন।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় থেকে এ বছর চাল সংগ্রহ অভিযানের জন্য জেলার ৪৬৯ মিল মালিকের সঙ্গে লিখিত চুক্তি করা হয়। কিন্তু সরকারনির্ধারিত দরের চেয়ে চালের বাজারমূল্য বেশি হওয়ায় চাল পাচ্ছে না খাদ্য বিভাগ।
জেলার বড়বাজার এবং জগতি খাদ্যগুদামে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত ৮০ দশমিক ২০ ভাগ চাল সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে। এর মধ্যে বড়বাজার খাদ্যগুদামে ১৮ হাজার ৯০০ মেট্রিক টন লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে সংগ্রহ করা গেছে ১৫ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন। আর জগতি খাদ্যগুদামে ১৮ হাজার ৫৯৪ মেট্রিক টন লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে সংগ্রহ হয়েছে ১৪ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন।
খাদ্যগুদামের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বছরগুলোতে কুষ্টিয়া জেলায় সরকারিভাবে চাল সংগ্রহ অভিযান শতভাগ সফল হয়ে আসছে। কিন্তু এ বছর কোনোভাবেই শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।
এদিকে চলতি বছরে ৪ হাজার ৮৩৫ মেট্রিক টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও এখন পর্যন্ত মাত্র ১ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ হয়েছে, যা মোট লক্ষ্যমাত্রার ২৯ ভাগ।
এদিকে জেলার ৪৬৯ জন মিল মালিকের মধ্যে ২৫টি হাসকিং মিলের মালিক একেবারেই চাল সরবরাহ করেননি বলে জানা গেছে।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে কুষ্টিয়া অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবদিন প্রধান বলেন, ‘বাজারে বর্তমানে ধানের দাম বেশ চড়া। মোটা ধান ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। লোকসান হওয়ার কারণে মিলাররা চাল সরবরাহ করতে চাচ্ছেন না। সরকারের উচিত ছিল দাম সমন্বয় করা।’
একই কারণে খুচরা বাজারে ধানের দাম বেশি থাকার কারণে সরকারের কাছে ধান বিক্রিতে অনীহা দেখাচ্ছেন কৃষকেরা।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুবীর নাথ চৌধুরী বলেন, ‘তেলের দাম বাড়ায় চালের দামও বেড়েছে। যে কারণে মিলাররা সরকারিভাবে চাল সংগ্রহ অভিযানে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। ইতিমধ্যে ৮০ শতাংশ চাল সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে। আশা করছি, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই ৯০-৯২ শতাংশ চাল সংগ্রহ করা সম্ভব হবে।’
সুবীর নাথ চৌধুরী আরও বলেন, যেসব মিলার চাল সংগ্রহ করছেন না, তাঁদের সিডি জামানত বাজেয়াপ্তসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কুষ্টিয়ায় চলতি মৌসুমের ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারছে না জেলা খাদ্য বিভাগ। সরকারনির্ধারিত দামের চেয়ে খুচরা বাজারে ধান-চালের দাম বেশি থাকায় এই অবস্থা বলে দাবি করছেন খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা।
এর আগে প্রায় প্রতি বছর শতভাগ চাল সংগ্রহ করা হলেও চলতি বছর লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
জেলা খাদ্য বিভাগের তথ্যমতে, বোরো মৌসুমে ৪০ টাকা কেজি দরে ৪২ হাজার ৬৭৪ মেট্রিক টন চাল এবং ২৭ টাকা কেজি দরে ৪ হাজার ৮৩৫ মেট্রিক টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। গত ১২ মে শুরু হওয়া এই খাদ্য সংগ্রহ অভিযান চলবে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। সময় প্রায় শেষ হয়ে গেলেও এখনো লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অনেকটাই পিছিয়ে আছে জেলা খাদ্য বিভাগ। আর এই চিত্র দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চালের মোকাম বলে পরিচিত কুষ্টিয়ায়।
কুষ্টিয়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় এবং জেলার দুটি খাদ্যগুদাম সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের মে মাস থেকে কুষ্টিয়াসহ সারা দেশে মিল মালিকদের কাছ থেকে সরকারিভাবে একযোগে চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়। এ বছর কুষ্টিয়া জেলায় চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৪২ হাজার ৬৭৪ মেট্রিক টন। এর মধ্যে কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৩৭ হাজার ৪৯৪ মেট্রিক টন।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় থেকে এ বছর চাল সংগ্রহ অভিযানের জন্য জেলার ৪৬৯ মিল মালিকের সঙ্গে লিখিত চুক্তি করা হয়। কিন্তু সরকারনির্ধারিত দরের চেয়ে চালের বাজারমূল্য বেশি হওয়ায় চাল পাচ্ছে না খাদ্য বিভাগ।
জেলার বড়বাজার এবং জগতি খাদ্যগুদামে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত ৮০ দশমিক ২০ ভাগ চাল সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে। এর মধ্যে বড়বাজার খাদ্যগুদামে ১৮ হাজার ৯০০ মেট্রিক টন লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে সংগ্রহ করা গেছে ১৫ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন। আর জগতি খাদ্যগুদামে ১৮ হাজার ৫৯৪ মেট্রিক টন লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে সংগ্রহ হয়েছে ১৪ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন।
খাদ্যগুদামের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বছরগুলোতে কুষ্টিয়া জেলায় সরকারিভাবে চাল সংগ্রহ অভিযান শতভাগ সফল হয়ে আসছে। কিন্তু এ বছর কোনোভাবেই শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।
এদিকে চলতি বছরে ৪ হাজার ৮৩৫ মেট্রিক টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও এখন পর্যন্ত মাত্র ১ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ হয়েছে, যা মোট লক্ষ্যমাত্রার ২৯ ভাগ।
এদিকে জেলার ৪৬৯ জন মিল মালিকের মধ্যে ২৫টি হাসকিং মিলের মালিক একেবারেই চাল সরবরাহ করেননি বলে জানা গেছে।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে কুষ্টিয়া অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবদিন প্রধান বলেন, ‘বাজারে বর্তমানে ধানের দাম বেশ চড়া। মোটা ধান ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। লোকসান হওয়ার কারণে মিলাররা চাল সরবরাহ করতে চাচ্ছেন না। সরকারের উচিত ছিল দাম সমন্বয় করা।’
একই কারণে খুচরা বাজারে ধানের দাম বেশি থাকার কারণে সরকারের কাছে ধান বিক্রিতে অনীহা দেখাচ্ছেন কৃষকেরা।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুবীর নাথ চৌধুরী বলেন, ‘তেলের দাম বাড়ায় চালের দামও বেড়েছে। যে কারণে মিলাররা সরকারিভাবে চাল সংগ্রহ অভিযানে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। ইতিমধ্যে ৮০ শতাংশ চাল সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে। আশা করছি, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই ৯০-৯২ শতাংশ চাল সংগ্রহ করা সম্ভব হবে।’
সুবীর নাথ চৌধুরী আরও বলেন, যেসব মিলার চাল সংগ্রহ করছেন না, তাঁদের সিডি জামানত বাজেয়াপ্তসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪