Ajker Patrika

আওয়ামী লীগে পদ পেলেন বিএনপি নেতারা

সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি
আপডেট : ০১ নভেম্বর ২০২১, ১৬: ১৬
আওয়ামী লীগে পদ পেলেন বিএনপি নেতারা

ঢাকার আশুলিয়ার ইয়াপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড কমিটিতে বিএনপির নেতা-কর্মীদের পদ দেওয়ার অভিযোগ করেছেন ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি কাদির দেওয়ান। দলীয় নেতা-কর্মীদের বাদ দিয়ে বিএনপি কর্মীদের পদ দেওয়ায় গত বৃহস্পতিবার প্রতিবাদ সমাবেশ করেন তিনি।

সমাবেশে ইয়ারপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি কাদির দেওয়ান দাবি করেন, তাঁকে না জানিয়েই আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ফারুক হাসান তুহিন ও ইয়ারপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান সাহেদ ৯টি ওয়ার্ডে কমিটি গঠন করেন।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ফারুক হাসান তুহিন বলেন, আমি আর যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল দুজনে মিলে আশুলিয়ার প্রতিটি ইউনিয়নে ওয়ার্ড কমিটি দেওয়ার জন্য থানা কমিটির সদস্যদের নিয়ে টিম গঠন করে দিয়েছি। টিম নিয়ে কাজ করতে গেলে ভুলত্রুটি হতেই পারে। যদি ভুলত্রুটি হয়েই থাকে, আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দেবে। আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করে দেব। তদন্ত কমিটি মনে করলে আমরা কমিটি বাতিল করে দেব।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ইয়ারপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি করা হয়েছে ইউনুসকে। ইউনুসের বাবা মো. এজাজ উদ্দিন পালোয়ান ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির ওয়ার্ড কমিটির সদস্য। ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে মো. সোহরাব হোসেন সরকারকে। তিনি এক সময় বিএনপির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

সোহরাব হোসেন বলেন, ‘আমি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নই। আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।’

৪ নম্বর ওয়ার্ডে মো. আমজাদ হোসেনকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। তিনি আগে ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

মো. আমজাদ হোসেনের দাবি, তাঁর নাম আমজাদ দেওয়ান। তিনি দীর্ঘদিন যুবলীগের রাজনীতিতে ছিলেন। পরে আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত হন।

৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে মো. মামুন ব্যাপারীকে। তিনি ওয়ার্ড বিএনপির সহসাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

মামুন ব্যাপারী বলেন, বিএনপিতে কেউ যদি আমার নাম দিয়ে থাকে, তা আমার জানা নেই। আমি আওয়ামী লীগ রাজনীতিতেই আছি। তবে এর আগে আওয়ামী লীগের কোনো পদে ছিলেন না তিনি।

৯ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি করা হয়েছে মো. গিয়াস উদ্দিন মোল্লাকে। তিনি ওয়ার্ড বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে মো. দেলোয়ার হোসেন মোল্লাকে। তিনি ওয়ার্ড বিএনপির একই কমিটির সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

আওয়ামী লীগের তালিকায় থাকা গিয়াস উদ্দিন মোল্লা বলেন, আমার একই নামে আরও একজন চাচাতো ভাই রয়েছেন। তিনি বিএনপি দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত। আমি সেই ব্যক্তি নই। আমার নামে অপপ্রচার করা হচ্ছে।

দেলোয়ার দাবি বলেন, ‘আমার পুরো নাম দেলোয়ার হোসেন মতবর। আর আমার প্রতিবেশী দেলোয়ার হোসেন মোল্লা। তিনি বিএনপির রাজনীতি সঙ্গে জড়িত, আমি নই।’

সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সার্চ কমিটির সদস্য মেহেদী হাসান মঞ্জু বলেন, ২ নম্বর ওয়ার্ডের সোহরাব আগে বিএনপি করলে করতে পারে। আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী অন্য দল থেকে কেউ এলে সে প্রথমে সদস্য হবে পরে সাংগঠনিক কাজ করবে। আমরা বিএনপির কমিটির কাগজ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। অভিযোগ সত্য হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত