Ajker Patrika

গর্তে আটকে যায় যানবাহন

হোমনা প্রতিনিধি
আপডেট : ০২ ডিসেম্বর ২০২১, ১৩: ২১
গর্তে আটকে যায় যানবাহন

হোমনা উপজেলা সদরের চৌরাস্তা মোড় থেকে রেহানা মজিদ মহিলা কলেজ পর্যন্ত পৌর এলাকার সড়ক দীর্ঘদিন বেহাল। প্রতিদিনই কোনো-না কোনো যানবাহন সড়কের গর্তে আটকে যাচ্ছে। সড়কটি সংস্কার না করায় উপজেলার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অর্ধলক্ষাধিক মানুষকে প্রতিনিয়ত চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কের বিভিন্ন জায়গায় পিচ ঢালাই উঠে গেছে। সেখানে বড় বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে সড়কে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। ছোট-বড় গর্ত এড়িয়ে যানবাহন চলছে এঁকেবেঁকে। বৃষ্টি হলেই গর্তগুলোতে পানি জমে। হোমনা অধ্যক্ষ আবদুল মজিদ মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনের সড়কে বিশাল গর্তে গাড়ি আটকে গিয়ে প্রায়ই যানজটের সৃষ্টি হয় বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। এতে এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন সাধারণ মানুষসহ বিভিন্ন যানবাহনের চালকেরা। তারপরও কোনো উপায়ন্তর না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে এ সড়কে যাতায়াত করছেন ভুক্তভোগীরা।

হোমনা চৌরাস্তার সিএনজি স্টেশনের লাইনম্যান মো. পারভেজ হাসান বাবু বলেন, এ সড়ক ব্যবহার করেই হোমনা উপজেলার দুলালপুর, দড়িচর, রামকৃষ্ণপুর, চুনারচর, বাগমারা, রামপুর, পাথালিয়াকান্দি, দৌলতপুরসহ বাঞ্ছারামপুর ও মুরাদগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করা হয়। প্রতিদিন এ সড়কে পাঁচ শতাধিক সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ট্রাক ও মাইক্রোবাসসহ আরও শতাধিক

যানবাহন চলাচল করে। সিএনজি অটোরিকশাগুলো উল্টে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে।

অটোচালক মানিক মিয়া বলেন, ‘সড়ক খারাপ হওয়ায় আমাদের অটোগুলো প্রায় সময় উল্টে যায়। এতে অটোগুলো যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তেমনি এর যাত্রীসহ আমরা চালকেরাও প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হই।’

স্থানীয় বাসিন্দা নির্মল দেব বলেন, ‘আমরা উপজেলা সদরে বসবাস করলেও এই সড়কটির কারণে ঘর থেকে বের হতে মন চায় না। সড়কটির এ অবস্থায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছি।’

এ সড়কে অটোরিকশায় করে এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষা দিতে হোমনায় আসে দুলালপুরের শিক্ষার্থী তানিয়া আক্তার ও আইরিন আক্তার। তারা বলে, সড়কের বড় বড় গর্তের কারণে সিএনজিতে উঠেও দুর্ঘটনার শঙ্কা নিয়ে চলাচল করতে হয়।

হোমনা অধ্যক্ষ আবদুল মজিদ মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সৌরভ কর্মকার বলেন, ‘আমার প্রতিষ্ঠানে অনেক শিক্ষার্থী রয়েছে। এর মধ্যে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্তই আছে পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী। সড়কের অবস্থা খারাপ হওয়ায় শিশুশিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠানে আসা-যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি সমস্যা হচ্ছে।’

হোমনা রেহানা মজিদ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মো. মুজিবুর রহমান বলেন, সড়ক খারাপ থাকায় কলেজের পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী ও শিক্ষক-কর্মচারীদের আসা-যাওয়া করতে সমস্যা হচ্ছে। কলেজে শিক্ষার্থী উপস্থিতিও অনেক কমে গেছে। সড়কটি দ্রুত সংস্কারে কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি।

এ ব্যাপারে হোমনা পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘সড়কের অবস্থা অনেক খারাপ। সড়কটি আমার পৌরসভার ভেতরে থাকলেও এটি এলজিইডির অধীনে। চৌরাস্তা থেকে দুলালপুর পর্যন্ত এলজিইডির সড়ক।’

হোমনা উপজেলা প্রকৌশলী মো. সাইফুল ইসলাম রনি বলেন, ‘এটা তো পৌরসভার সড়ক। তা ছাড়া আমি নতুন এসেছি। খোঁজ নিয়ে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেব।’

উপসহকারী প্রকৌশলী আলমগীর হোসেন বলেন, ‘চৌরাস্তা থেকে দুলালপুর পর্যন্ত এলজিইডির সড়ক। কিন্তু রেহানা মজিদ মহিলা কলেজ পর্যন্ত এটা পৌরসভার অংশ। ইচ্ছা করলে এই পর্যন্ত পৌরসভা সংস্কার করতে পারবে। কারণ তাঁরা এই সড়কের পাশ দিয়ে ড্রেন নির্মাণ করছেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত