Ajker Patrika

ঠিকাদারকে দিয়েই চলছে ট্রেন ওয়াশ

রাজশাহী প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ নভেম্বর ২০২১, ১৬: ৪৩
ঠিকাদারকে দিয়েই  চলছে ট্রেন ওয়াশ

পানি, খরচ আর সময় বাঁচিয়ে ট্রেন ওয়াশ করার জন্য রাজশাহীতে বসানো হয়েছে অটোমেটিক ট্রেন ওয়াশিং প্ল্যান্ট। এতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১৮ কোটি টাকা। ৮ নভেম্বর এটির উদ্বোধনও হয়েছে। কিন্তু এখনো এই প্ল্যান্ট ফেলে রেখে ঠিকাদারের মাধ্যমে ট্রেন পরিষ্কার করা হচ্ছে।

গতকাল বুধবার দুপুরে রাজশাহী রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, অটোমেটিক প্ল্যান্টটি তালাবদ্ধ।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, প্ল্যান্টটিতে এখন দিনে মাত্র একটি ট্রেন ওয়াশ করা হয়। বাকি আটটি ট্রেন ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ওয়াশ করেন ঠিকাদারের কর্মীরা। ট্রেন ঢোকানো ও বের করার সময় লাইনে অন্য ট্রেন চলে আসার কারণে অটোমেটিক প্ল্যান্টে সব ট্রেন ওয়াশ করা যাচ্ছে না। তা ছাড়া ট্রেনের শিডিউল ঠিক রেখে এখানে ট্রেন ওয়াশ করা যায় না বলেও তাঁরা বলছেন।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, অল্প সময়ে ট্রেনের উভয় পাশে, ছাদ ও আন্ডারগিয়ার সুচারুভাবে পরিষ্কার করার জন্য বাংলাদেশ রেলওয়েতে দুটি অটোমেটিক প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়। একটি কমলাপুর রেলস্টেশন এবং অন্যটি রাজশাহী স্টেশনে। বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য মিটারগেজ ও ব্রডগেজ যাত্রীবাহী কোচ সংগ্রহ প্রকল্পের আওতায় ৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ে এ দুটি প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়।

প্ল্যান্টগুলো প্রতিদিন কমপক্ষে ১ লাখ লিটার পানি সাশ্রয় করতে সক্ষম। ব্যবহৃত পানির ৭০ শতাংশই রিসাইকেল করে পুনরায় ব্যবহার উপযোগী করে প্ল্যান্টটি। যুক্তরাষ্ট্র থেকে নিয়ে আসা এই প্ল্যান্ট অটোমেটিক ও ম্যানুয়াল—দুই মুডেই ব্যবহার করা যায়। গড়ে ১০ মিনিটে ১৪ কোচের একটি ট্রেন পরিষ্কার করতে পারে এই প্ল্যান্ট। অত্যাধুনিক এই প্ল্যান্ট পরিবেশবান্ধব ও ব্যয়সাশ্রয়ী।

এরপর ১১ নভেম্বর থেকে রাজশাহীর প্ল্যান্টটির কাজ শুরু হয়েছে। এখন দিনে একটির বেশি ট্রেন ওয়াশ করা হচ্ছে না। একটি ট্রেন ওয়াশ করার পর প্ল্যান্টটি দিনভর তালাবদ্ধই থাকছে। ফলে স্টেশনের ওয়াশফিল্ডে প্রতিদিন ট্রেনের ট্রিপ শেষে অন্য ট্রেনগুলোর নিয়মিত ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে হাত ও ব্রাশ দিয়ে ঘষে ঘষে ট্রেনের ভেতরের ও বাইরের অংশ পরিষ্কারের কাজ করা হচ্ছে। এতে সময় লাগে অন্তত এক ঘণ্টা।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, এখনো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জামান ট্রেডার্সের মাধ্যমে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ট্রেন ওয়াশ করা হচ্ছে। এতে ট্রেন ওয়াশের জন্য ঠিকাদারকে টাকাও দিতে হচ্ছে। অথচ প্ল্যান্টে ট্রেন ওয়াশ করলে এই ব্যয় বহন করতে হবে না। আগের চেয়ে দ্রুততম সময়ে ট্রেন ওয়াশ করা যাবে। ঠিকাদারের সঙ্গে যোগসাজশ করে সরকারি অটোমেটিক প্ল্যান্ট ব্যবহার করা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে প্ল্যান্টটির দায়িত্বে থাকা জ্যেষ্ঠ উপসহকারী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, প্ল্যান্টটি এমন জায়গায় বসানো যে সানটিং সমস্যা হয়। মানে এখানে একটি ট্রেন ঢোকানো ও বের করার সময় লাইনে অন্য ট্রেন চলে আসে। ফলে সমস্যা হয়। এ সময়গুলো ছাড়া অন্য সময় ট্রেন ওয়াশ করতে গেলে আবার শিডিউল ঠিক থাকে না। এর ফলে এখনো ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ঠিকাদারের মাধ্যমে ট্রেন ওয়াশ করা হচ্ছে। সমস্যার সমাধান নিয়ে তাঁরা ভাবছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নেপালে জেন-জিদের পার্লামেন্ট দখল, রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ

চন্দ্রগ্রহণ চলছে, ব্লাড মুন দেখা যাবে রাত সাড়ে ১১টায়

সাবেক সচিব আবু আলম মোহাম্মদ শহীদ খান গ্রেপ্তার

ভারতে শেখ হাসিনার পরিণতি নিয়ে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনের তদন্ত সংস্থাকে যা বলেছেন বদরুদ্দীন উমর

প্রাথমিকে ছুটি কমিয়ে আনা হবে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত