Ajker Patrika

বিদ্রোহীতে কোণঠাসা আ.লীগ

চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধি
আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২১, ১৪: ৪৭
বিদ্রোহীতে কোণঠাসা আ.লীগ

চৌদ্দগ্রামের ১ নম্বর কাশিনগর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের পাঁচজন নেতা দলটির বিদ্রোহী হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন। এঁরা স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী। সেই সঙ্গে জাতীয় পার্টি, ইসলামী আন্দোলন ও জাকের পার্টির প্রার্থীও মাঠে রয়েছেন। এই অবস্থায় অনেকটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী।

এই ইউপিতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে লড়ছেন বর্তমান চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন। দলটির বিদ্রোহী হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন, চৌদ্দগ্রাম থানা আওয়ামী লীগের সদস্য সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম শাহীন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মাহবুবুর রহমান, সদস্য খোরশেদ আলম, রবিউল হক কামাল ও মাহবুবুল হক।

সরেজমিন দেখা গেছে, প্রার্থীরা দিনভর গ্রামে ঘুরে ভোট চাইছেন। তাঁদের কর্মীদেরও বেশ সক্রিয় দেখা গেছে। পোস্টারে ছেয়ে গেছে বাজার। প্রার্থীদের স্বজনরাও প্রচার চালাচ্ছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোশারেফ হোসেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। পরে নানা কারণে স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে মোশারেফ হোসেনের মতবিরোধ সৃষ্টি হয়। চলতি নির্বাচনে তাঁকে আবারও দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়। এতে ক্ষুব্ধ হন স্থানীয় আওয়ামী লীগে সক্রিয় কয়েকটি পক্ষ।

এদিকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা অভিযোগ করছেন, নৌকার প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকেরা তাঁদের কর্মীদের নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন।

দলটির বিদ্রোহী প্রার্থী শহীদুল হক শাহীন বলেন, ‘মোশারেফের লোকজন আমার নেতা–কর্মীদের নানাভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছেন। তাঁরা কেন্দ্র দখল করার পরিকল্পনা করছে। তারপরও আমি আশাবাদী। প্রশাসনের উচিত, একটি সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করে ভোটগ্রহণ করা।’

অপর প্রার্থী মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘মোশারেফ অযোগ্য প্রার্থী। তিনি গত পাঁচ বছরে ইউনিয়নের দলীয় নেতা–কর্মীসহ সাধারণ মানুষের ওপর নির্যাতন করেছেন। বর্তমান নির্বাচনেও তাঁর লোকজন ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি করছে। ভোটগ্রহণের দিন আমি কাফনের কাপড় পড়ে মাঠে থাকব।’

খোরশেদ আলম বলেন, ‘মোশারেফ তাঁর নিজস্ব ক্যাডার বাহিনী দিয়ে আমাদের পোস্টার-ব্যানার ছিঁড়ে ফেলছেন। এমনকি নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করছেন।’

রবিউল হক কামাল বলেন, ‘প্রতীক বরাদ্দের দিন থেকে মোশারেফের বাহিনী আমার একাধিক অফিস ভাঙচুর করেছে। ইউনিয়নে ত্রাস সৃষ্টি করছে। যাতে ভোটারদের উপস্থিতি কম থাকে।’

স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অভিযোগ অস্বীকার করে মোশারেফ হোসেন বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কোনো পোস্টার-ব্যানার ছেঁড়া হয়নি। আমার কোনো বাহিনী নেই। দলীয় কর্মীদের নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। পাঁচ বছরে অনেক উন্নয়ন করেছি। জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষার্থীদের ‘কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে’ সপরিবারে পালিয়েছেন বিএসবির বাশার

পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে ‘প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের’ নির্দেশ

কাশ্মীরে বিধ্বস্ত বিমানের অংশবিশেষ ফরাসি কোম্পানির তৈরি, হতে পারে রাফাল

সীমান্তে সাদা পতাকা উড়িয়ে আত্মসমর্পণের ইঙ্গিত দিয়েছে ভারত: পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী

পাকিস্তানে হামলায় ‘লোইটারিং মিউনিশনস’ ব্যবহারের দাবি ভারতের, এটি কীভাবে কাজ করে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত