Ajker Patrika

কাঁচা বাদামে মজেছেন লালমোহনের তরুণীরা

লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৭ এপ্রিল ২০২২, ১১: ০৪
কাঁচা বাদামে মজেছেন লালমোহনের তরুণীরা

ভোলার লালমোহনে উপজেলা বাজার থেকে শুরু করে গ্রামের ছোট বাজারগুলোতে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে বিক্রি। তবে সন্ধ্যার পরে বাড়ছে ক্রেতাদের ভিড়। এবার ঈদে কাঁচা বাদাম থ্রি-পিসের কাটতি সবচেয়ে বেশি।

এদিকে বিক্রেতারা বলছেন, করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছরে ব্যাপক ক্ষতি মুখে পড়তে হয়েছে তাঁদের। এবার সেই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার প্রত্যাশা।

অন্যদিকে গত দুই বছরে বিধিনিষেধের মধ্যে মনমতো ঈদের কেনাকাটা করতে না পারেননি ক্রেতারা। এবার ঘুরে ঘুরে পছন্দমতো পোশাক কিনতে পেরে খুশি তাঁরা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়ন গজারিয়া বাজারের কাপড়ের দোকানগুলোতে নারী ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। ক্রেতারা পছন্দমতো পণ্য কিনছেন। রোজা ও তীব্র গরমের কারণে দিনের চেয়ে রাতে ক্রেতাদের আনাগোনা বেশি। তবে তুলনামূলক নারীদের ক্রেতাদের উপস্থিতি বেশি। উপজেলার কর্তার হাট, লর্ড হার্ডিঞ্জ, চতলা, মঙ্গলসিকদার, নাজির পুর, আবুগঞ্জ, ফুলবাগিচা, শাওন বাজার, রায় চাঁদবাজার, চৌমুনি বাজার ও গজারিয়া বাজারে বেচাবিক্রিতে খুশি দোকানিরা।

ফুলবাগিচা থেকে পৌরসভা মসজিদ মার্কেটে আসা ক্রেতা কামরুল হাসান বলেন, ‘করোনার কারণে গত দুই বছর ঈদ উপলক্ষে কেনাকাটা করতে পারিনি। এবার কেনাকাটা করতে এসেছি। নিজের ও আত্মীয়স্বজনের জন্য পোশাক-আশাক কেনা শেষের দিকে।’

ফরাজগঞ্জ থেকে ক্রেতা জান্নাত বেগম মেয়ের জন্য নিয়েছেন কাচা বাদাম নামের থ্রি-পিস। নিজের জন্য নিয়েছেন জামদানি শাড়ি। তিনি বলেন, ‘পরিবারের সবার জন্য পোশাক নিতে এসেছি। নতুন কালেকশন শেষ হওয়ার আগেই কিনতে এসেছি। তবে এবার পোশাকের দাম একটু বেশি। ঈদ উপলক্ষে পরিবারের সবার জন্য পোশাক কিনতে হবে, তাই কিনেছি।’

এদিকে করোনা মহামারি পরবর্তী সময়ে বেচাবিক্রিতে খুশি বিক্রেতারা।

পৌরসভার মসজিদ মার্কেট শাড়ি ঘরের স্বত্বাধিকারী মেহেদী হাসান বলেন, ‘গত দুই বছরে করোনার কারণে বেচাকেনা অনেক কম হয়েছিল। এ বছর বেচাকেনা অনেক ভালো। ক্রেতাদের আগামের খুশি। এভাবে বিক্রি চললে ব্যবসায়ের পুঁজি ফিরে পেতে পারি। থ্রি-পিছ, থান কাপড়, কাটা কাপড়, জামদানী শাড়ি ও বাচ্চাদের পোশাক এখন বেশি চলছে।’

বিক্রেতা মো. জাহিদ হাসান বলেন, ‘এ বছর বেশি চাহিদা কাচা বাদাম, বিভোর, বুটিক, ফ্যাশন ও রিমিক্স থ্রি-পিছ। দামে ক্রেতাদের কিছুটা অসন্তুষ্টি রয়েছে ঠিকই। এটা সব সময়ই ছিল। ভবিষ্যতেও থাকবে। আসলে সবকিছুর দাম বেড়েছে এটা বুঝতে হবে।’

গজারিয়া বাজারের সোহাগ গার্মেন্টসের স্বত্বাধিকারীরা মো. সোহাগ বলেন, ‘গত দুই বছর করোনার কারণে অনেক লোকসান হয়েছে। আসা করি, এ বছর তা কিছুটা হলেও পুষিয়ে নিতে পারব। এ ঈদে কাচা বাদাম নামের থ্রি-পিছের চাহিদা বেশি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত