সম্পাদকীয়
আর মাত্র কয়েকটা দিন পরই বড় একটি উৎসব। সেই উৎসবকে বরণ করে নেওয়ার জন্য উদ্গ্রীব হয়ে আছে মানুষ। অথচ সামান্য গাফিলতি কেড়ে নিল কয়েকটি প্রাণ। তেলের লরি উল্টে ৫টি গাড়িতে লাগল আগুন। দাউ দাউ আগুনের লেলিহান শিখায় স্বপ্ন নিভে গেল কয়েকটি পরিবারের।
সাভারের জোরপোল এলাকায় কেন উল্টে গেল লরিটি? বলা নেই, কওয়া নেই, হঠাৎ কি কোনো লরি উল্টে যায়? যে তিনটি গাড়ি একটি রাস্তায় পাশাপাশি চলছিল, তারা কি প্রতিযোগিতা করছিল? একে অন্যকে ওভারটেক করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল? লরি উল্টে যাওয়ার কারণ খুঁজতে আমাদের যেতে হবে ইউটার্ন তৈরির জন্য যে আয়োজন করা হয়েছিল, সেদিকে।
জোরপোলে যে ইউটার্নটি নির্মাণ করা হচ্ছে, সেটা যানবাহন চলাচলের ভালোর জন্যই। কিন্তু কীভাবে তা তৈরি হচ্ছে, সেটা জানা প্রয়োজন। তাদের কোনো গাফিলতি আছে কি না, সেটা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। আমরা কিন্তু এরই মধ্যে জেনেছি, সাভারের কাছে মহাসড়কে সংস্কারকাজ চলছিল। কিন্তু এর ফলে রাস্তার একটা অংশ যে নির্মাণকাজের জন্য সরু হয়ে গেছে, সে রকম কোনো সতর্কবার্তা ছিল না রাজপথে; অর্থাৎ দ্রুতগতিতে চলমান কোনো যানবাহন এখানে এলে সতর্ক হওয়ার কোনো সুযোগ পাবে না। শুধু বোল্ডার বা বড় বড় পাথর দিয়ে বোঝানো হয়েছে—সাবধান, সমঝে চলো। কিন্তু এটা কি কাণ্ডজ্ঞানহীন কাণ্ড নয়? কোনো রকম মার্কিং বা সতর্কতামূলক কিছু ছিল না সেখানে। এর কী জবাব দেবে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর? বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। দেখা যাচ্ছে, মহাসড়কের কিছু অংশ আলাদা করে রাখা হয়েছে ইউটার্ন তৈরির জন্য। কিন্তু সেই কাজ রয়েছে প্রাথমিক পর্যায়ে। তাহলে নিশ্চয়ই চালকদের জন্য এমন কোনো বার্তা থাকার কথা যে, এই এলাকায় এলে চোখ-কান সতর্ক রাখুন, রাস্তা কিন্তু সংকীর্ণ হয়ে গেছে। একটা সাইন দিয়ে তো সেটা বলা থাকবে? অথচ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা একটি পত্রিকাকে বলেছেন, ‘সেখানে সতর্কতামূলক চিহ্ন দেওয়া এবং আলোর ব্যবস্থা করা হয়নি।’
আপনারাই চিন্তা করুন, দ্রুতবেগে ধাবমান একটি যান হঠাৎ দেখতে পেল ভারী কয়েকটা পাথর রয়েছে সামনে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই সেই পাথরের ওপর উঠে গেল চাকা, উল্টে গেল লরিটি এবং এর ফলে তেলভর্তি লরিতে লেগে গেল আগুন। আর তাতে পুড়ে মরল মানুষ। এই আগুনে আশপাশে থাকা আরও দুটি ট্রাক, একটি কাভার্ড ভ্যান ও একটি প্রাইভেট কারও ক্ষতিগ্রস্ত হলো।
আমরা নিশ্চয়ই ভুলে যাইনি, রাজধানীর উত্তরায় গার্ডার পড়ে দুর্ঘটনা ঘটেছিল, যাতে নিহত হয়েছিলেন প্রাইভেট কারের পাঁচজন যাত্রী। এসবই অবহেলা। মানুষের জীবনকে মূল্য না দেওয়ার উদাহরণ। সাভারের এই ঘটনাও অবহেলা। যে অবহেলা জীবন ছিনিয়ে নেয়, সেই অবহেলা আসলে অপরাধও। এই অপরাধে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়াটা জরুরি। নইলে এগুলো ঘটতেই থাকবে।
আর মাত্র কয়েকটা দিন পরই বড় একটি উৎসব। সেই উৎসবকে বরণ করে নেওয়ার জন্য উদ্গ্রীব হয়ে আছে মানুষ। অথচ সামান্য গাফিলতি কেড়ে নিল কয়েকটি প্রাণ। তেলের লরি উল্টে ৫টি গাড়িতে লাগল আগুন। দাউ দাউ আগুনের লেলিহান শিখায় স্বপ্ন নিভে গেল কয়েকটি পরিবারের।
সাভারের জোরপোল এলাকায় কেন উল্টে গেল লরিটি? বলা নেই, কওয়া নেই, হঠাৎ কি কোনো লরি উল্টে যায়? যে তিনটি গাড়ি একটি রাস্তায় পাশাপাশি চলছিল, তারা কি প্রতিযোগিতা করছিল? একে অন্যকে ওভারটেক করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল? লরি উল্টে যাওয়ার কারণ খুঁজতে আমাদের যেতে হবে ইউটার্ন তৈরির জন্য যে আয়োজন করা হয়েছিল, সেদিকে।
জোরপোলে যে ইউটার্নটি নির্মাণ করা হচ্ছে, সেটা যানবাহন চলাচলের ভালোর জন্যই। কিন্তু কীভাবে তা তৈরি হচ্ছে, সেটা জানা প্রয়োজন। তাদের কোনো গাফিলতি আছে কি না, সেটা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। আমরা কিন্তু এরই মধ্যে জেনেছি, সাভারের কাছে মহাসড়কে সংস্কারকাজ চলছিল। কিন্তু এর ফলে রাস্তার একটা অংশ যে নির্মাণকাজের জন্য সরু হয়ে গেছে, সে রকম কোনো সতর্কবার্তা ছিল না রাজপথে; অর্থাৎ দ্রুতগতিতে চলমান কোনো যানবাহন এখানে এলে সতর্ক হওয়ার কোনো সুযোগ পাবে না। শুধু বোল্ডার বা বড় বড় পাথর দিয়ে বোঝানো হয়েছে—সাবধান, সমঝে চলো। কিন্তু এটা কি কাণ্ডজ্ঞানহীন কাণ্ড নয়? কোনো রকম মার্কিং বা সতর্কতামূলক কিছু ছিল না সেখানে। এর কী জবাব দেবে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর? বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। দেখা যাচ্ছে, মহাসড়কের কিছু অংশ আলাদা করে রাখা হয়েছে ইউটার্ন তৈরির জন্য। কিন্তু সেই কাজ রয়েছে প্রাথমিক পর্যায়ে। তাহলে নিশ্চয়ই চালকদের জন্য এমন কোনো বার্তা থাকার কথা যে, এই এলাকায় এলে চোখ-কান সতর্ক রাখুন, রাস্তা কিন্তু সংকীর্ণ হয়ে গেছে। একটা সাইন দিয়ে তো সেটা বলা থাকবে? অথচ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা একটি পত্রিকাকে বলেছেন, ‘সেখানে সতর্কতামূলক চিহ্ন দেওয়া এবং আলোর ব্যবস্থা করা হয়নি।’
আপনারাই চিন্তা করুন, দ্রুতবেগে ধাবমান একটি যান হঠাৎ দেখতে পেল ভারী কয়েকটা পাথর রয়েছে সামনে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই সেই পাথরের ওপর উঠে গেল চাকা, উল্টে গেল লরিটি এবং এর ফলে তেলভর্তি লরিতে লেগে গেল আগুন। আর তাতে পুড়ে মরল মানুষ। এই আগুনে আশপাশে থাকা আরও দুটি ট্রাক, একটি কাভার্ড ভ্যান ও একটি প্রাইভেট কারও ক্ষতিগ্রস্ত হলো।
আমরা নিশ্চয়ই ভুলে যাইনি, রাজধানীর উত্তরায় গার্ডার পড়ে দুর্ঘটনা ঘটেছিল, যাতে নিহত হয়েছিলেন প্রাইভেট কারের পাঁচজন যাত্রী। এসবই অবহেলা। মানুষের জীবনকে মূল্য না দেওয়ার উদাহরণ। সাভারের এই ঘটনাও অবহেলা। যে অবহেলা জীবন ছিনিয়ে নেয়, সেই অবহেলা আসলে অপরাধও। এই অপরাধে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়াটা জরুরি। নইলে এগুলো ঘটতেই থাকবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪