Ajker Patrika

মেধাস্বত্ব সুরক্ষায় বড় বাধা শিল্পীদের অসচেতনতা

শরীফ নাসরুল্লাহ, ঢাকা
আপডেট : ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৮: ২৮
মেধাস্বত্ব সুরক্ষায় বড় বাধা শিল্পীদের অসচেতনতা

সৃজনশীল মেধাসম্পদের মেধাস্বত্ব সুরক্ষায় বড় বাধা শিল্পীদের অসচেতনতা। অনেক শিল্পীই এ বিষয়ে জানেন না। ফলে মেধাসম্পদ সুরক্ষায় ঘাটতি থেকে যায়। যে কেউ অন্য কারও মেধাসম্পদ চুরি করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। সৃজনশীল মাধ্যমে কাজ করা কেউ কেউ অবশ্য বলছেন, সৃজনশীল মেধাসম্পদ সুরক্ষার জন্য করা আইন আরও যুগোপযোগী করতে হবে।

আজ ২৬ এপ্রিল ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি ডে বা বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য, ‘উদ্ভাবন ও সৃজনশীলতা দিয়ে আমাদের সাধারণ ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা’। মেধাসম্পদ সুরক্ষায় বিশ্বব্যাপী কাজ করে ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি অর্গানাইজেশন (ডব্লিউআইপিও)। এই প্রতিষ্ঠানের মতে, মানুষের ভাবনাজাত সৃষ্টিই মেধাসম্পদ। মেধাসম্পদ দুটি শাখায় বিভক্ত—ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রপার্টি এবং কপিরাইট। সৃজনশীল মেধাসম্পদ যেমন কবিতা, নাটক, চলচ্চিত্র, সংগীত ইত্যাদি কপিরাইটের মধ্যে পড়ে।

শিল্পী, নির্মাতা, প্রযোজকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মূলত মেধাসম্পদের মেধাস্বত্ব সুরক্ষা নিয়ে অনেকেই সচেতন নন।

জি সিরিজ প্রোডাকশনসের প্রধান নির্বাহী খাদিমুল জাহান বলেন, ‘প্রযুক্তির সুবাদে খুব সহজেই একজন আরেকজনের জিনিস ইন্টারনেটে আপলোড করতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে পুরোনো গানের ক্ষেত্রে কার কী রাইট, তা নিয়ে সমস্যা দেখা যায়। কারণ আমাদের এখানে গীতিকার, সংগীত পরিচালক, শিল্পী কার কতটুকু রাইট—সে সম্পর্কে কেউ সচেতন নন।’

বাংলাভিশনের হেড অব প্রোগ্রাম মোহাম্মদ তারেকুল্লাহ আখন্দ বলেন, ‘পশ্চিম থেকে আমরা আইনটা নিয়েছি। তাও খুব বেশি দিন হয়নি। তাই আমাদের একটা শেপে আসতে আরও সময় লাগবে। আইনের প্রয়োগটা এমনভাবে হওয়া উচিত, যাতে একটা কন্টেন্টের কোনো পক্ষই ভিকটিম না হয়। আইনটাকে আরও যুগোপযোগী করা প্রয়োজন।’

নির্মাতা দীপঙ্কর দীপন মনে করেন, শিল্পীরা শুধু নির্মাণপ্রক্রিয়ার সঙ্গেই যুক্ত থাকেন। তিনি বলেন, ‘আমরা পুরো বিষয়টি সম্পর্কে ঠিকভাবে জানি না। এই না জানার কারণে মূলত বঞ্চিত হচ্ছি শিল্পীরাই। আমরা যখন একটা প্রোডাকশন তৈরি করি, ধরেই নিই যে এই মালিকানা প্রযোজকের। কিন্তু এর বাইরে যে একটা প্রোডাকশনের মেধাস্বত্বের বিষয় রয়েছে, সে সম্পর্কে আমরা সচেতন নই।’

নজরুল সংগীতশিল্পী সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘মেধাস্বত্বের মতো এমন একটি সুযোগ এখন পর্যন্ত আমরা শিল্পীরা গ্রহণই করতে পারিনি। ঠিকমতো বুঝিনি। আমাদের গান, আমাদের অনুষ্ঠান নিয়ে অন্যরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছি। আমরা প্রতারিত হচ্ছি।’

সৃজনশীল মেধাসম্পদের মেধাস্বত্বের সুরক্ষার বিষয়টি দেখভাল করে বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস। রেজিস্ট্রার অব কপিরাইটস মো. দাউদ মিয়া মনে করেন, মেধাসম্পদের মেধাস্বত্ব সুরক্ষায় এখন বড় চ্যালেঞ্জ এআই প্রযুক্তি। এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে কোনো কিছু তৈরি করার ফলে কোনটার কে স্বত্বাধিকারী, এ বিষয়গুলো যাচাই করা একটা চ্যালেঞ্জ। তিনি বলেন, ‘এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য ম্যানপাওয়ার দরকার। সেদিকে আমরা লক্ষ রাখছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পেহেলগাম হামলা: ধরা খেয়ে গেল মোদির কাশ্মীর ন্যারেটিভ

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: বিমানবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা

সারজিসের সামনেই বগুড়ায় এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধীদের মধ্যে হাতাহাতি-সংঘর্ষ

‘ঘুষের জন্য’ ৯১টি ফাইল আটকে রাখেন মাউশির ডিডি: দুদক

রাখাইনে মানবিক করিডর কি প্রক্সি যুদ্ধের ফাঁদ হবে, ভারত-চীন কীভাবে দেখবে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত