Ajker Patrika

ধৈর্য মহৎ গুণ

আবদুল আযীয কাসেমি
আপডেট : ১৩ মে ২০২২, ১৬: ০৭
ধৈর্য মহৎ  গুণ

মানবিক গুণসমূহের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হলো ধৈর্য ও সহনশীলতা। ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে বিভিন্ন রকম বিপর্যয় রোধে ধৈর্য ও সহনশীলতার ভূমিকা অপরিসীম। সব নবীর জীবনে সবর ও ধৈর্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। প্রায় সব নবীকেই তাঁর উম্মত কষ্ট দিয়েছে। তাঁরা সবাই পূর্ণ ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছেন। তাই ইসলাম এ বিষয়ে অনেক বেশি গুরুত্বারোপ করেছে।

ধৈর্যশীলদের প্রতিদান কী পরিমাণ হবে এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয় ধৈর্যশীলদের বেহিসাব প্রতিদান দেওয়া হবে।’ (সুরা যুমার: ১০) ধৈর্য ধারণ করা এবং ক্ষমা করে দেওয়া সহজ কোনো বিষয় নয়। তাই আল্লাহ তাআলা ধৈর্যশীলদের প্রশংসা করে বলেন, ‘অবশ্যই যে ধৈর্য ধারণ করে এবং ক্ষমা করে দেয়, তা তো দৃঢ় সংকল্পেরই কাজ।’ (সুরা শুরা: ৪৩)

কারও সঙ্গে যখন অন্যায় করা হয়, তখন তার সামনে দুটি সুযোগ থাকে। একটি হলো সমান সমান প্রতিশোধ নেওয়া, আরেকটি হলো মহত্ত্বের পরিচয় দিয়ে তাকে ক্ষমা করে দেওয়া। বলা বাহুল্য, দ্বিতীয় সুযোগটিই মহৎ ও প্রতিদানবহুল। এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, ‘মন্দের প্রতিফল অনুরূপ মন্দ। তবে যে ক্ষমা করে দেয় ও আপস-নিষ্পত্তি করে তার পুরস্কার আল্লাহর জিম্মায়। আল্লাহ জালিমদের পছন্দ করেন না।’ (সুরা শুরা: ৪০)

অন্য আয়াতে তিনি বলেন, ‘যদি তোমরা শাস্তি দাও-ই, তবে ঠিক ততখানি শাস্তি দেবে, যতখানি অন্যায় তোমাদের সঙ্গে করা হয়েছে। তবে তোমরা ধৈর্য ধারণ করলে ধৈর্যশীলদের জন্য তো তা-ই উত্তম।’ (সুরা নাহল: ১২৬)

আবদুল আযীয কাসেমি, শিক্ষক ও হাদিস গবেষক

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত