সম্পাদকীয়
সোমেন চন্দের জন্ম ঢাকার কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা ইউনিয়নের তেঘরিয়া গ্রামে। এটা ছিল তাঁর নানাবাড়ি। মাত্র চার বছর বয়সে মা হিরণবালাকে হারিয়েছিলেন তিনি। এরপর বাবা নরেন্দ্রকুমার চন্দ বিয়ে করেছিলেন ডা. শরৎচন্দ্র বসুর মেয়ে সরযুদেবীকে। সরযুদেবীর কাছেই বেড়ে ওঠেন সোমেন।
ঢাকার তাঁতীবাজারে কেটেছিল শৈশব। পোগোজ স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করেছিলেন। ইন্টারমিডিয়েটের পর ভর্তি হয়েছিলেন মিটফোর্ড মেডিকেল কলেজে। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেননি।
‘নিখিল ভারত প্রগতি লেখক সংঘ’ গঠিত হলে সোমেন চন্দ তাতে যোগ দেন। রণেশ দাশগুপ্ত তাঁকে বিশাল সাহিত্যজগতের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। অসাধারণ সব গল্প লিখেছেন তিনি। তাঁর লেখা ‘ইঁদুর’ ‘দাঙ্গা’, ‘বনস্পতি’সহ সব গল্পই একজন সৃষ্টিশীল লেখককে পরিচিত করে দেবে।
হিটলারের নাৎসি বাহিনী সোভিয়েত ইউনিয়ন আক্রমণ করার পর ‘ফ্যাসিবিরোধী লেখক সংঘ’ গড়ে ওঠে। ঢাকায় এই সংগঠনের সম্পাদক ছিলেন সোমেন চন্দ। কমিউনিস্টদের বিপক্ষে দাঁড়ায় ফরোয়ার্ড ব্লক ও আরএসপি। তারা মনে করতেন আন্দোলনটা ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে, তাই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে তা ব্রিটিশদের হাত শক্তিশালী করবে।
ঢাকার সূত্রাপুরে ফ্যাসিবিরোধী সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল ১৯৪২ সালের ৮ মার্চ। সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্যই সোমেন চন্দ রেলওয়ে কলোনি থেকে একটি মিছিল নিয়ে আসছিলেন। লক্ষ্মীবাজারের কাছে মিছিলটা পৌঁছালে ফ্যাসিবাদের পক্ষের রাজনৈতিক দলের আক্রমণের মুখে পড়ে। সেখানে সোমেন চন্দকে ছুরি ও শাবলের আঘাতে হত্যা করা হয়।
‘বনস্পতি’ গল্পে সোমেন লিখেছিলেন, ‘সতীন মিত্র চিৎকার করে কেবল এইটুকুই বলতে পেরেছেন, “ভাই সব, এদের চিনে রাখুন, এরা সেই জমিদারদেরই ভাড়াটে গুন্ডা, লাঠি চালিয়ে আমাদের মুখ বন্ধ করতে এসেছে।” এর বেশি আর বলা হয়নি। লাঠির ঘা খেয়ে নিচে পড়ে গেছে। রক্তে তাঁর শরীর ও মাটি লাল হয়ে গেল।’
১৯৪০ সালে লেখা গল্পে নিজের মৃত্যুর কথাই কি তিনি লিখেছিলেন?
সূত্র: মণি সিংহ, জীবনসংগ্রাম, পৃষ্ঠা ১৫২-১৫৩
সোমেন চন্দের জন্ম ঢাকার কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা ইউনিয়নের তেঘরিয়া গ্রামে। এটা ছিল তাঁর নানাবাড়ি। মাত্র চার বছর বয়সে মা হিরণবালাকে হারিয়েছিলেন তিনি। এরপর বাবা নরেন্দ্রকুমার চন্দ বিয়ে করেছিলেন ডা. শরৎচন্দ্র বসুর মেয়ে সরযুদেবীকে। সরযুদেবীর কাছেই বেড়ে ওঠেন সোমেন।
ঢাকার তাঁতীবাজারে কেটেছিল শৈশব। পোগোজ স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করেছিলেন। ইন্টারমিডিয়েটের পর ভর্তি হয়েছিলেন মিটফোর্ড মেডিকেল কলেজে। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেননি।
‘নিখিল ভারত প্রগতি লেখক সংঘ’ গঠিত হলে সোমেন চন্দ তাতে যোগ দেন। রণেশ দাশগুপ্ত তাঁকে বিশাল সাহিত্যজগতের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। অসাধারণ সব গল্প লিখেছেন তিনি। তাঁর লেখা ‘ইঁদুর’ ‘দাঙ্গা’, ‘বনস্পতি’সহ সব গল্পই একজন সৃষ্টিশীল লেখককে পরিচিত করে দেবে।
হিটলারের নাৎসি বাহিনী সোভিয়েত ইউনিয়ন আক্রমণ করার পর ‘ফ্যাসিবিরোধী লেখক সংঘ’ গড়ে ওঠে। ঢাকায় এই সংগঠনের সম্পাদক ছিলেন সোমেন চন্দ। কমিউনিস্টদের বিপক্ষে দাঁড়ায় ফরোয়ার্ড ব্লক ও আরএসপি। তারা মনে করতেন আন্দোলনটা ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে, তাই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে তা ব্রিটিশদের হাত শক্তিশালী করবে।
ঢাকার সূত্রাপুরে ফ্যাসিবিরোধী সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল ১৯৪২ সালের ৮ মার্চ। সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্যই সোমেন চন্দ রেলওয়ে কলোনি থেকে একটি মিছিল নিয়ে আসছিলেন। লক্ষ্মীবাজারের কাছে মিছিলটা পৌঁছালে ফ্যাসিবাদের পক্ষের রাজনৈতিক দলের আক্রমণের মুখে পড়ে। সেখানে সোমেন চন্দকে ছুরি ও শাবলের আঘাতে হত্যা করা হয়।
‘বনস্পতি’ গল্পে সোমেন লিখেছিলেন, ‘সতীন মিত্র চিৎকার করে কেবল এইটুকুই বলতে পেরেছেন, “ভাই সব, এদের চিনে রাখুন, এরা সেই জমিদারদেরই ভাড়াটে গুন্ডা, লাঠি চালিয়ে আমাদের মুখ বন্ধ করতে এসেছে।” এর বেশি আর বলা হয়নি। লাঠির ঘা খেয়ে নিচে পড়ে গেছে। রক্তে তাঁর শরীর ও মাটি লাল হয়ে গেল।’
১৯৪০ সালে লেখা গল্পে নিজের মৃত্যুর কথাই কি তিনি লিখেছিলেন?
সূত্র: মণি সিংহ, জীবনসংগ্রাম, পৃষ্ঠা ১৫২-১৫৩
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫