Ajker Patrika

গ্রীষ্মের পেঁয়াজ চাষে সফলতা

তাজরুল ইসলাম, পীরগাছা
আপডেট : ২০ নভেম্বর ২০২১, ১৬: ৩১
গ্রীষ্মের পেঁয়াজ চাষে সফলতা

আমদানি নির্ভরতা কমাতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ ক্ষেত্রে প্রথমবারেই সফলতার দেখা পেয়েছেন পীরগাছার কৃষকেরা। উপজেলার ৫০টি প্রদর্শনী প্লটে চাষ করা পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে বলে কৃষি সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

দেশের বেশির ভাগ কৃষক শীতকালীন পেঁয়াজ চাষ করেন। ফলে গ্রীষ্মকাল আসতে আসতে পণ্যটির দাম বেড়ে যায়। বিদেশ থেকে আমদানির পরও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। গত কয়েক বছর ধরে এই অবস্থা চলতে থাকায় কৃষি বিভাগ এখন দেশে গ্রীষ্মকালেও পেঁয়াজ চাষের পদক্ষেপ নিয়েছে।

পীরগাছা উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, পেঁয়াজ চাষের জন্য বিদেশ থেকে আনা বীজ থেকে চারা উৎপাদন করে ৫০ জন কৃষককে সরবরাহ করা হয়। সেই সঙ্গে ২০২১-২২ অর্থবছরের কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় জমি চাষ ও সার প্রয়োগসহ সার্বিক বিষয়ে ব্যয় নির্বাহ করতে কৃষকদের ২ হাজার ৮০০ টাকা করে দেওয়া হয়। এরপর চারা রোপণের পর থেকে অন্যান্য সহযোগিতা দিয়ে যায় কৃষি বিভাগ। যাতে করে আলোর মুখতে শুরু করে প্রকল্পটি।

কৃষি বিভাগ জানায়, তারা ভবিষ্যতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ বৃদ্ধি করে আমদানি নির্ভরতা কমাতে কাজ করে যাচ্ছে। তাদের সার্বিক সহযোগিতায় উৎপাদিত গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের আকার, স্বাদ, গন্ধ ও পুষ্টিমান অনেক উন্নত। দেশের বিভিন্ন স্থানে এবার এই পেঁয়াজ চাষ হলে প্রথম উপজেলা হিসেবে পীরগাছায় পেঁয়াজ উত্তোলন করে বাম্পার ফলন পাওয়া গেছে।

উপজেলার তালুক ইসাদ নয়াটারী গ্রামের কৃষক আবদুল কাদের ১০ শতাংশ জমিতে নাসিক রেড এন-৫৩ জাতের পেঁয়াজ চাষ করেছেন। মাত্র ২ মাস ১০ দিনে এই পেঁয়াজ তোলার উপযোগী হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার আবদুল কাদেরের খেত পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ শামসুল আরেফীন ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাইফুল আলম। এর আগে ১৫ নভেম্বর কৃষি অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মিজানুর রহমান, রংপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক তৌহিদুল ইকবাল এবং উপপরিচালক ওবায়দুর রহমান মণ্ডল, রেজাউল করিম ও অশোক রায় খেতটি পরিদর্শনে আসেন।

কৃষক আবদুল কাদের বলেন, ‘এই সময়ে পেঁয়াজ হবে কি না তা নিয়ে ভয় ছিল। তবে স্যারদের সহযোগিতায় ভালো ফলন হয়েছে। বাজারে দাম বেশ ভালো।’

এই ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবদুল বাতেন জানান, পেঁয়াজগুলো দেখতে লাল। মাত্র সাতটি পেঁয়াজের ওজন এক কেজি ১৭০ গ্রামের বেশি। বাজারে প্রতি কেজি পাতাসহ পেঁয়াজ ৪০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল আলম বলেন, ‘পীরগাছা উপজেলায় এই পেঁয়াজের চাষ করে আমরাই সবার আগে উত্তোলন করতে পেরেছি। ফলনও বেশ ভালো হয়েছে। পেঁয়াজের আমদানি কমাতে ভবিষ্যতে আরও বেশি পরিমাণ জমিতে এমন পেঁয়াজ চাষ করা হবে।’

ইউএনও শেখ শামসুল আরেফীন মনে করেন, বাইরে থেকে যাতে আমদানি করা না লাগে সে জন্য গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ খুবই উপযোগী। ভবিষ্যতে এর পরিধি বাড়লে আমদানি নির্ভরতা কমে যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শেখ মুজিবকে শ্রদ্ধা জানিয়ে ছাত্রদল নেতার পোস্ট, শোকজ পেয়ে নিলেন অব্যাহতি

সিলেটের ডিসি হলেন ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে শাস্তি পাওয়া সারওয়ার আলম

আলাস্কা বৈঠকে পুতিনের দেহরক্ষীর হাতে ‘মলমূত্রবাহী স্যুটকেস’ কেন

অপারেশন সিঁদুরে নিহত প্রায় দেড় শ সেনার তালিকা প্রকাশ করে মুছে ফেলল পাকিস্তানি টিভি

মুচলেকা দিয়ে ক্যাম্পাস ছাড়লেন আনন্দ মোহন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত