শাহীন রহমান, পাবনা
আলুর দাম কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। এ কারণে বোদা উপজেলায় বিভিন্ন হিমাগারে আলু অযথা পড়ে আছে।
করোনার সময়ে বাজারে আলুর সংকট ও সরকারিভাবে আলুর চাহিদা থাকায় এর দাম বেশি ছিল। এ কারণে গত মৌসুমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে আলুর চাষাবাদ করেন অনেক কৃষক। বর্তমানে একদিকে আলুর চাহিদা নেই বললেও চলে। তাই হাটবাজারে আলুর দাম কমে গেছে।
বোদা বাজারের ব্যবসায়ী দুলাল বলেন, ‘খেত থেকে আলু কিনতে হয়েছে ১২ টাকা কেজি দরে। সেসব আলু ৭ মাস রাখার পরেও একই দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। আলু সংরক্ষণের জন্য ব্যাংক থেকে মোটা অঙ্কের টাকা ঋণ নিয়েছি। বর্তমানে আমার প্রায় ৬০০ মেট্রিক টন আলু হিমাগারে রয়েছে। সেগুলো তুলব কিনা তা নিয়ে চিন্তিত আছি।’
এ বিষয়ে উপজেলার কুড়ালীপাড়ার কৃষক কুঠুলু বলেন, ‘আমি আলু কিনেছি ১১ টাকা দরে। বর্তমান বাজারে একই দাম চলছে। এদিকে হিমাগার থেকে আলু তুলতে গেলে তাঁদের দিতে হবে কেজি প্রতি ৬ টাকা। অর্থাৎ যে আলু ১১ টাকায় কিনতে হলো সে আলু হিমাগার থেকে উত্তোলন করলে আরও ৬ টাকা যোগ করতে হবে। প্রতি কেজি আলুতে ৬ হতে ৭ টাকা লোকসান গুনতে হবে।’
উপজেলার কুড়ালীপাড়ার আরেক কৃষক ইউসুফ আলী বলেন, ‘কিছু আলু হিমাগার থেকে উত্তোলন করেছে। কিন্তু সেখানে অর্ধেকেরও বেশি আলু জমা আছে। দাম কম থাকায় আলু তুলতে পারছি না। যদি আলুর দাম না বাড়ে তাহলে আলু হিমাগার থেকে তুলে কী করব? মনে করি আলু তোলার চেয়ে হিমাগারে রেখে দাওয়া ভালো। এদিকে হিমাগার কর্তৃপক্ষ আলু হেমাগার থেকে তোলার জন্য বারবার বলছে।’ ইউসুফ আলীর মতো উপজেলার কয়েকজন কৃষক যারা হিমাগারে আলু রেখেছেন তাঁরা একই কথা বলেন। সেইসঙ্গে আলু ব্যবসায়ীরাও একই কথা জানান কৃষকদের মতো।
বেংহারী ইউনিয়নের কৃষক হামিদ বলেন, কয়েক বিঘা জমিতে গতবছর আলু চাষ করি। বাড়তি লাভের আসায় হিমাগারে কয়েক টন আলু রাখি। কিন্তু বর্তমানে আলুর দাম না থাকায় প্রায় লক্ষাধিক টাকা লোকসান হবে।
এ বিষয়ে তাসিঁ কোল্ড স্টোরেজের পরিচালক নূর নবী মজুমদার বলেন, তাসিঁ কোল্ড স্টোরেজের আলুর ধারণ ক্ষমতা ১ লাখ ১৩ হাজার মেট্রিক টন। শুরু থেকে কোটি কোটি টাকা ঋণের বোঝা নিয়ে এটি পরিচালনা করে আসছি এটি। আলু ব্যবসায়ী ও কৃষকেরা হিমাগার থেকে আলু তোলার সময় ব্যাংকের চাপ থাকে প্রচুর। বারবার বলার পরেও বড় ব্যবসায়ী ও কৃষকেরা আলু তুলছেন না। আর কিছুদিন পরে আলু হিমাগার থেকে বের করতে হবে। মাস খানেকের মধ্যে আলু নিতে না আসলে মাইকিং করে আলু বিক্রি করা হবে। এভাবে আলু বিক্রি করলেও আমার লোকসান হবে।’
বোদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন অর রশিদ জানান, বিগত বছরে ব্যবসায়ী ও কৃষকেরা আলুতে লাভ করায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে আলু চাষ হয়েছে। কিন্তু এবার দাম অনেকটা কম থাকায় কিছুটা ক্ষতি সবার হবে।
আলুর দাম কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। এ কারণে বোদা উপজেলায় বিভিন্ন হিমাগারে আলু অযথা পড়ে আছে।
করোনার সময়ে বাজারে আলুর সংকট ও সরকারিভাবে আলুর চাহিদা থাকায় এর দাম বেশি ছিল। এ কারণে গত মৌসুমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে আলুর চাষাবাদ করেন অনেক কৃষক। বর্তমানে একদিকে আলুর চাহিদা নেই বললেও চলে। তাই হাটবাজারে আলুর দাম কমে গেছে।
বোদা বাজারের ব্যবসায়ী দুলাল বলেন, ‘খেত থেকে আলু কিনতে হয়েছে ১২ টাকা কেজি দরে। সেসব আলু ৭ মাস রাখার পরেও একই দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। আলু সংরক্ষণের জন্য ব্যাংক থেকে মোটা অঙ্কের টাকা ঋণ নিয়েছি। বর্তমানে আমার প্রায় ৬০০ মেট্রিক টন আলু হিমাগারে রয়েছে। সেগুলো তুলব কিনা তা নিয়ে চিন্তিত আছি।’
এ বিষয়ে উপজেলার কুড়ালীপাড়ার কৃষক কুঠুলু বলেন, ‘আমি আলু কিনেছি ১১ টাকা দরে। বর্তমান বাজারে একই দাম চলছে। এদিকে হিমাগার থেকে আলু তুলতে গেলে তাঁদের দিতে হবে কেজি প্রতি ৬ টাকা। অর্থাৎ যে আলু ১১ টাকায় কিনতে হলো সে আলু হিমাগার থেকে উত্তোলন করলে আরও ৬ টাকা যোগ করতে হবে। প্রতি কেজি আলুতে ৬ হতে ৭ টাকা লোকসান গুনতে হবে।’
উপজেলার কুড়ালীপাড়ার আরেক কৃষক ইউসুফ আলী বলেন, ‘কিছু আলু হিমাগার থেকে উত্তোলন করেছে। কিন্তু সেখানে অর্ধেকেরও বেশি আলু জমা আছে। দাম কম থাকায় আলু তুলতে পারছি না। যদি আলুর দাম না বাড়ে তাহলে আলু হিমাগার থেকে তুলে কী করব? মনে করি আলু তোলার চেয়ে হিমাগারে রেখে দাওয়া ভালো। এদিকে হিমাগার কর্তৃপক্ষ আলু হেমাগার থেকে তোলার জন্য বারবার বলছে।’ ইউসুফ আলীর মতো উপজেলার কয়েকজন কৃষক যারা হিমাগারে আলু রেখেছেন তাঁরা একই কথা বলেন। সেইসঙ্গে আলু ব্যবসায়ীরাও একই কথা জানান কৃষকদের মতো।
বেংহারী ইউনিয়নের কৃষক হামিদ বলেন, কয়েক বিঘা জমিতে গতবছর আলু চাষ করি। বাড়তি লাভের আসায় হিমাগারে কয়েক টন আলু রাখি। কিন্তু বর্তমানে আলুর দাম না থাকায় প্রায় লক্ষাধিক টাকা লোকসান হবে।
এ বিষয়ে তাসিঁ কোল্ড স্টোরেজের পরিচালক নূর নবী মজুমদার বলেন, তাসিঁ কোল্ড স্টোরেজের আলুর ধারণ ক্ষমতা ১ লাখ ১৩ হাজার মেট্রিক টন। শুরু থেকে কোটি কোটি টাকা ঋণের বোঝা নিয়ে এটি পরিচালনা করে আসছি এটি। আলু ব্যবসায়ী ও কৃষকেরা হিমাগার থেকে আলু তোলার সময় ব্যাংকের চাপ থাকে প্রচুর। বারবার বলার পরেও বড় ব্যবসায়ী ও কৃষকেরা আলু তুলছেন না। আর কিছুদিন পরে আলু হিমাগার থেকে বের করতে হবে। মাস খানেকের মধ্যে আলু নিতে না আসলে মাইকিং করে আলু বিক্রি করা হবে। এভাবে আলু বিক্রি করলেও আমার লোকসান হবে।’
বোদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন অর রশিদ জানান, বিগত বছরে ব্যবসায়ী ও কৃষকেরা আলুতে লাভ করায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে আলু চাষ হয়েছে। কিন্তু এবার দাম অনেকটা কম থাকায় কিছুটা ক্ষতি সবার হবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪