মো. ফরিদ রায়হান, অষ্টগ্রাম
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে বাহাদুরপুর ও কারানল সেতু হাওরবাসীর দুঃখ হিসেবে পরিচিত। প্রায় ৮ বছর আগে অষ্টগ্রাম-বাজিতপুর সড়কে নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে এই সেতু দুটির। কিন্তু সংযোগ সড়ক ভেঙে যাওয়ায় সেতু দুটি ব্যবহার করতে পারেন না মানুষ। ২০২১ সালের মে মাসে শুরু হয় উভয় সেতুর সম্প্রসারণের কাজ। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, সেতু সম্প্রসারণের কাজ যথাসময়ে শেষ হবে না। অন্যদিকে মে মাসের মধ্যভাগে সেতুগুলো খুলে দেওয়া হবে বলে দাবি করছেন কিশোরগঞ্জ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
শুষ্ক মৌসুমে জেলা শহরের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগের জন্য ২০১১ সালে শুরু হয় ২১ কিলোমিটার অষ্টগ্রাম-বাজিতপুর ডুবো সড়ক নির্মাণ। বাহাদুরপুর ও কারানলে বড় দুটি সেতুসহ ১২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে সড়কটি নির্মাণকাজ শেষ হয় ২০১৪ সালে। কিন্তু নির্মাণের পর থেকেই খালে ভাঙন ও বর্ষায় সংযোগ সড়ক নষ্ট হওয়ায় সেতু দুটি পুরোপুরি ব্যবহার করা যায়নি। কখনো কাঠের সাঁকো, কখনো ফেরি নৌকা দিয়ে পারাপার হতে হয়। এই সমস্যা লাঘবে ১৫ কোটি টাকায় বাহাদুরপুর সেতু ও ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে কারানল সেতু সম্প্রসারণের কাজ চলছে।
ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়ক উদ্বোধনের পর এই তিন উপজেলা কয়েক লাখ মানুষ ভৈরব, কুলিয়ারচর, বাজিতপুর, ঢাকা, গাজীপুর ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে সহজ যাতায়াতে করতে ব্যবহার করে এই ডুবো সড়ক।
কিশোরগঞ্জ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বাহাদুরপুর সেতুর সঙ্গে ৩৭ দশমিক ১৯০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪টি স্প্যান যুক্ত করা হচ্ছে। কারানল সেতুর সঙ্গে ৩১ দশমিক ১৯৮ মিটার দৈর্ঘ্যের ২টি স্প্যান যুক্ত হচ্ছে। ২০২১ সালের মে মাসে শুরু হওয়া এই প্রকল্প চলতি বছর ৩০ এপ্রিল শেষ হওয়ার কথা। সেতু সম্প্রসারণকাজ বাস্তবায়ন করছে যৌথভাবে সাগর বিল্ডার্স ও মাঈনুদ্দিনবাসী কনস্ট্রাকশন লিমিটেড।
গতকাল শনিবার সরেজমিনে দেখা যায়, বাহাদুরপুর সেতুর ২০টি গার্ডারের মধ্যে ৯টি গার্ডার ঢালাই ও দুটির প্রোফাইল পরীক্ষা চলছে। কারানল সেতুর ১০ গার্ডারের একটিও ঢালাই হয়নি, তবে ২টি গার্ডারের প্রোফাইল পরীক্ষা চলছে। কয়েক দিনের দিনের মধ্যে ঢালাই হবে।
সেতু নির্মাণসংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সেতুর উভয় পাশে একসঙ্গে দুটি গার্ডারে ঢালাই করা হয়। প্রতি গার্ডারে রড বাঁধাই ও ঢালাই করতে ৭ থেকে ৮ দিন ও পরবর্তী ৮ দিন যাচাই করতে সময় লাগে ১৪ থেকে ১৫ দিন। আগামী ৫ মে পর্যন্ত তিন ধাপে শেষ হতে পারে ১০ থেকে ১২টি গার্ডারের কাজ। অবশিষ্ট থাকতে পারে ৫ থেকে ৭টি গার্ডার।
প্রকল্প ব্যবস্থাপক মিজানুর রহমান বলেন, ‘চুক্তি অনুযায়ী কাজ শেষ করতে পারব বলে আশা করি। ইতিমধ্যে ৬০ থেকে ৬৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।’
কারানল সেতু কাজ পর্যবেক্ষণে থাকা সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মো. ওসমান মিয়া বলেন, হাওরে সব সময় কাজ করা সম্ভব হয় না। তারপর যথাসময়ে কাজ শেষ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের কিশোরগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী রিতেশ বড়ুয়া বলেন, এখন পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি সন্তোষজনক। আশা করি প্রাকৃতিক কোনো সমস্যা না হলে চলতি বছর মে মাসের মধ্যে সেতু দুটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া যাবে। সেই হিসেবে কাজ চলছে।
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে বাহাদুরপুর ও কারানল সেতু হাওরবাসীর দুঃখ হিসেবে পরিচিত। প্রায় ৮ বছর আগে অষ্টগ্রাম-বাজিতপুর সড়কে নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে এই সেতু দুটির। কিন্তু সংযোগ সড়ক ভেঙে যাওয়ায় সেতু দুটি ব্যবহার করতে পারেন না মানুষ। ২০২১ সালের মে মাসে শুরু হয় উভয় সেতুর সম্প্রসারণের কাজ। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, সেতু সম্প্রসারণের কাজ যথাসময়ে শেষ হবে না। অন্যদিকে মে মাসের মধ্যভাগে সেতুগুলো খুলে দেওয়া হবে বলে দাবি করছেন কিশোরগঞ্জ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
শুষ্ক মৌসুমে জেলা শহরের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগের জন্য ২০১১ সালে শুরু হয় ২১ কিলোমিটার অষ্টগ্রাম-বাজিতপুর ডুবো সড়ক নির্মাণ। বাহাদুরপুর ও কারানলে বড় দুটি সেতুসহ ১২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে সড়কটি নির্মাণকাজ শেষ হয় ২০১৪ সালে। কিন্তু নির্মাণের পর থেকেই খালে ভাঙন ও বর্ষায় সংযোগ সড়ক নষ্ট হওয়ায় সেতু দুটি পুরোপুরি ব্যবহার করা যায়নি। কখনো কাঠের সাঁকো, কখনো ফেরি নৌকা দিয়ে পারাপার হতে হয়। এই সমস্যা লাঘবে ১৫ কোটি টাকায় বাহাদুরপুর সেতু ও ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে কারানল সেতু সম্প্রসারণের কাজ চলছে।
ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়ক উদ্বোধনের পর এই তিন উপজেলা কয়েক লাখ মানুষ ভৈরব, কুলিয়ারচর, বাজিতপুর, ঢাকা, গাজীপুর ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে সহজ যাতায়াতে করতে ব্যবহার করে এই ডুবো সড়ক।
কিশোরগঞ্জ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বাহাদুরপুর সেতুর সঙ্গে ৩৭ দশমিক ১৯০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪টি স্প্যান যুক্ত করা হচ্ছে। কারানল সেতুর সঙ্গে ৩১ দশমিক ১৯৮ মিটার দৈর্ঘ্যের ২টি স্প্যান যুক্ত হচ্ছে। ২০২১ সালের মে মাসে শুরু হওয়া এই প্রকল্প চলতি বছর ৩০ এপ্রিল শেষ হওয়ার কথা। সেতু সম্প্রসারণকাজ বাস্তবায়ন করছে যৌথভাবে সাগর বিল্ডার্স ও মাঈনুদ্দিনবাসী কনস্ট্রাকশন লিমিটেড।
গতকাল শনিবার সরেজমিনে দেখা যায়, বাহাদুরপুর সেতুর ২০টি গার্ডারের মধ্যে ৯টি গার্ডার ঢালাই ও দুটির প্রোফাইল পরীক্ষা চলছে। কারানল সেতুর ১০ গার্ডারের একটিও ঢালাই হয়নি, তবে ২টি গার্ডারের প্রোফাইল পরীক্ষা চলছে। কয়েক দিনের দিনের মধ্যে ঢালাই হবে।
সেতু নির্মাণসংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সেতুর উভয় পাশে একসঙ্গে দুটি গার্ডারে ঢালাই করা হয়। প্রতি গার্ডারে রড বাঁধাই ও ঢালাই করতে ৭ থেকে ৮ দিন ও পরবর্তী ৮ দিন যাচাই করতে সময় লাগে ১৪ থেকে ১৫ দিন। আগামী ৫ মে পর্যন্ত তিন ধাপে শেষ হতে পারে ১০ থেকে ১২টি গার্ডারের কাজ। অবশিষ্ট থাকতে পারে ৫ থেকে ৭টি গার্ডার।
প্রকল্প ব্যবস্থাপক মিজানুর রহমান বলেন, ‘চুক্তি অনুযায়ী কাজ শেষ করতে পারব বলে আশা করি। ইতিমধ্যে ৬০ থেকে ৬৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।’
কারানল সেতু কাজ পর্যবেক্ষণে থাকা সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মো. ওসমান মিয়া বলেন, হাওরে সব সময় কাজ করা সম্ভব হয় না। তারপর যথাসময়ে কাজ শেষ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের কিশোরগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী রিতেশ বড়ুয়া বলেন, এখন পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি সন্তোষজনক। আশা করি প্রাকৃতিক কোনো সমস্যা না হলে চলতি বছর মে মাসের মধ্যে সেতু দুটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া যাবে। সেই হিসেবে কাজ চলছে।
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৩ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৩ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৩ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫