Ajker Patrika

হাওয়াই মিঠাই নিয়ে ৪০ বছর ধরে ছুটে চলা

ভূঞাপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১৬ মার্চ ২০২২, ১৫: ৫৪
হাওয়াই মিঠাই নিয়ে ৪০ বছর ধরে ছুটে চলা

‘আকপেন হাওয়াই মিটাই, আকপেন হাওয়াই মিটাই’ বলে প্রতিদিন ছোট্ট ঘণ্টা বাজিয়ে এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে ছুটে চলেন। তাঁর পথ যেন ফুরায় না। জীবিকার তাগিদে বৃদ্ধ বয়সেও হাওয়াই মিঠাই বিক্রি করেন বেলায়েত হোসেন।

গোপালপুর উপজেলার বাসিন্দা বেলায়েত হোসেনের বয়স এখন ৭০ বছর। তিনি ৪০ বছর ধরে হাওয়াই মিঠাই বিক্রি করে সংসার চালান। তাঁর সংসারে তিন ছেলে আর দুই মেয়ে রয়েছে। তবে ছেলেরা বিয়ে করে সবাই আলাদা সংসার পেতেছেন। আর মেয়েদের বিয়ে দিয়েছেন। বর্তমানে দুজনের সংসার বেলায়েত হোসেনের। জমিজমা তেমন নেই। সংসারে অভাব লেগেই থাকে।

সম্প্রতি কথা হয় বেলায়েত হোসেনের সঙ্গে। বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘বাপু পেটের দায়ে এই বয়সেও রোজগার করতে হয়। কামাই করে খাই। ৪০ বছর ধইরা হাওয়াই মিঠাই বেচি। এখন শরীরে পারে না, তবুও করতে হয়। চিনির দাম বেশি হওয়ায় এখন লাভও কম হয়। যে কয়েকটা দিন বাঁচমু, এই পেশায় থাকমু। যা কামাই হয়, কোনোমতে খেয়ে-না খেয়ে দিনাতিপাত করি। আমগোর আর ভাগ্যের পরিবর্তন হবে নাগো বাপু। সারা জীবন কষ্ট করছি। বৃদ্ধ বয়সে কষ্ট করেই দিনাতিপাত করতে হবে।’

বেলায়েত হোসেন জানান, সারা দিন ভূঞাপুরের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে হাওয়াই মিঠাই বিক্রি করেন। সারা দিন মাত্র ১৫০ থেকে ২০০ টাকা রোজগার হয়, যা দিয়ে দুজনের সংসার চালানো অনেক কঠিন। প্রতি প্যাকেট হাওয়াই মিঠাই ১০ টাকা করে বিক্রি করেন।

শিক্ষার্থী নাইম হাসান জানায়, বেলায়েত হোসেন দাদা তাদের এলাকায় হাওয়াই মিঠাই বিক্রি করেন। তাঁর কাছ থেকে হাওয়াই মিঠাই কিনে খায়। খুব স্বাদ লাগে।

পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া সিফাত মণ্ডল জানায়, হাওয়াই মিঠাই মুখে দিলেই অন্য রকম স্বাদ লাগে। খেতে দারুণ মজা। বেলায়েত হোসেন দাদু প্রায় প্রায়ই তাদের এলাকায় বিক্রি করতে আসেন।

বেলায়েত সম্পর্কে মসিরন বেওয়া বলেন, ‘চাচা অনেক দিন ধরে আমাদের এলাকায় হাওয়াই মিঠাই বিক্রি করেন। বয়স অনেক হয়েছে তাঁরা। তবুও যেন তাঁর ক্লান্তি নেই। গ্রামে গ্রামে ঘুরে হাওয়াই মিঠাই বিক্রি করেন প্রতিদিন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত