জাকির হোসেন, সুনামগঞ্জ
সুনামগঞ্জে দেড় যুগেও চালু হয়নি ডলুরা শুল্কস্টেশন। ভূমি জটিলতায় দীর্ঘদিন ঝুলেছিল প্রকল্পটির কাজ। বর্তমানে ভূমি অধিগ্রহণ করা হলেও শুল্কস্টেশনটির দৃশ্যমান কোনো কার্যক্রম নেই। এটি চালু হলে এলাকার অর্থনৈতিক কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারিত হবে।
চেম্বার অব কমার্স সূত্র জানায়, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী ডলুরায় ১৯৯৭ সালে ডলুরা শুল্কস্টেশন চালুর জন্য প্রথম উদ্যোগ নেওয়া হয়। সে সময় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে শুল্কস্টেশন চালুর অনুমোদন দেওয়া হয়। কিন্তু তখন ভারত সরকার শুল্কস্টেশন চালুর জন্য তৈরি ছিল না। পরে ২০০১ সালে ভারত এ শুল্কস্টেশনটি চালুর ব্যাপারে উদ্যোগী হলেও বাংলাদেশের প্রস্তুতি না থাকায় থমকে যায় এর কার্যক্রম।
জেলা শহর থেকে ১০ কিলোমিটার উত্তরে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পাদদেশে অবস্থিত ডলুরা শুল্কস্টেশন। স্টেশনের পাশেই রয়েছে দেশের দ্বিতীয় বর্ডার হাট। সুনামগঞ্জে চারটি শুল্কস্টেশন থাকলেও এগুলোর কোনোটির সঙ্গেই সড়ক যোগাযোগ নেই। বর্ষাকালে নৌপথে যোগাযোগ করতে হয়। ফলে বছরের একটা দীর্ঘ সময় পণ্য পরিবহন করা যায় না। ডলুরায় উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা ও শহরের কাছাকাছি হওয়ায় এ শুল্কস্টেশন চালু হলে আমদানি-রপ্তানি বাড়বে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
শুল্কস্টেশনটি চালু হলে বাংলাদেশ থেকে সহজে সিমেন্ট, প্লাস্টিকসামগ্রীসহ অন্যান্য পণ্য ভারতে রপ্তানি করা সম্ভব হবে। অন্যদিকে ভারত থেকে উন্নত মানের পাথর, কয়লা, চুনাপাথর আমদানি করা যাবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
কয়লা ও চুনাপাথর ব্যবসায়ী অমল কর বলেন, ‘ডলুরা শুল্কস্টেশনটি চালু হলে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যে আরও সুবিধা হবে। আমরা কম খরচে কয়লা ও চুনাপাথর রপ্তানি করতে পারব। সরকারও বেশি রাজস্ব পাবে। আমরা ব্যবসায়ীরা চাই দ্রুত এ শুল্কস্টেশনের কার্যক্রম শেষ হোক।’
সুনামগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক ও কয়লা রপ্তানিকারক খন্দকার মঞ্জুর আহমদ বলেন, জেলা তাহিরপুরের তিনটি শুল্কস্টেশন থেকে আমরা প্রতিবছর এক শ থেকে দেড় শ কোটি টাকা সরকারকে রাজস্ব দিই। এই স্টেশনটি চালু হলে আরও বেশি রাজস্ব পাবে সরকার।
অন্যদিকে সুনামগঞ্জ জেলায় বেকারত্ব দিন দিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই শুল্কস্টেশনটি চালু হলে ২০ থেকে ৩০ হাজার শ্রমিক কাজের সুযোগ পাবেন। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাও নানা পণ্যের দোকান নিয়ে বসতে পারবেন বলে মনে করছে চেম্বার অব কমার্স।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের নারায়ণতলা গ্রামের বাসিন্দা আলি আহমদ বলেন, ‘আমরা বছরের একটা সময় সবজি চাষ করি। অন্য সময় বেকার থাকি। এ শুল্কস্টেশনটি চালু হলে আমাদের এলাকার বেকারত্ব দূর হবে।’
একই গ্রামের বাসিন্দা রহমত আলী জানান, দীর্ঘদিন ধরেই শুনে আসছেন ডলুরা শুল্কস্টেশনটি চালু হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত চালু হয়নি। এটি চালু হলে ব্যবসা-বাণিজ্যে আরও প্রসারিত হবে। বেকারত্ব দূর হবে।’ এদিকে সরকারও রাজস্ব পবে বলে জানান তিনি।
২০১৫ সালের ২৯ নভেম্বর ভারতের মেঘালয়ের একটি শীর্ষ ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল ও সুনামগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের নেতাদের সঙ্গে যৌথভাবে ডলুরা এলাকা পরিদর্শন করে। তবে এখন পর্যন্ত আলোর মুখ দেখছি শুল্কস্টেশনটি।
ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) পরিচালক ও সুনামগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি খায়রুল হুদা চপল বলেন, ডলুরা শুল্কস্টেশনটি স্থাপনের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। ইতিমধ্যে ভূমি অধিগ্রহণও সম্পন্ন হয়েছে।
খায়রুল হুদা আরও বলেন, ‘আমরা চাচ্ছি এখানে স্থলবন্দরটি চালু করার জন্য। এ জন্য আমরা সীমিত আকারে আমদানি-রপ্তানি যাতে করা যায়, সেই ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ে কথা বলব।’
সুনামগঞ্জে দেড় যুগেও চালু হয়নি ডলুরা শুল্কস্টেশন। ভূমি জটিলতায় দীর্ঘদিন ঝুলেছিল প্রকল্পটির কাজ। বর্তমানে ভূমি অধিগ্রহণ করা হলেও শুল্কস্টেশনটির দৃশ্যমান কোনো কার্যক্রম নেই। এটি চালু হলে এলাকার অর্থনৈতিক কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারিত হবে।
চেম্বার অব কমার্স সূত্র জানায়, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী ডলুরায় ১৯৯৭ সালে ডলুরা শুল্কস্টেশন চালুর জন্য প্রথম উদ্যোগ নেওয়া হয়। সে সময় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে শুল্কস্টেশন চালুর অনুমোদন দেওয়া হয়। কিন্তু তখন ভারত সরকার শুল্কস্টেশন চালুর জন্য তৈরি ছিল না। পরে ২০০১ সালে ভারত এ শুল্কস্টেশনটি চালুর ব্যাপারে উদ্যোগী হলেও বাংলাদেশের প্রস্তুতি না থাকায় থমকে যায় এর কার্যক্রম।
জেলা শহর থেকে ১০ কিলোমিটার উত্তরে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পাদদেশে অবস্থিত ডলুরা শুল্কস্টেশন। স্টেশনের পাশেই রয়েছে দেশের দ্বিতীয় বর্ডার হাট। সুনামগঞ্জে চারটি শুল্কস্টেশন থাকলেও এগুলোর কোনোটির সঙ্গেই সড়ক যোগাযোগ নেই। বর্ষাকালে নৌপথে যোগাযোগ করতে হয়। ফলে বছরের একটা দীর্ঘ সময় পণ্য পরিবহন করা যায় না। ডলুরায় উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা ও শহরের কাছাকাছি হওয়ায় এ শুল্কস্টেশন চালু হলে আমদানি-রপ্তানি বাড়বে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
শুল্কস্টেশনটি চালু হলে বাংলাদেশ থেকে সহজে সিমেন্ট, প্লাস্টিকসামগ্রীসহ অন্যান্য পণ্য ভারতে রপ্তানি করা সম্ভব হবে। অন্যদিকে ভারত থেকে উন্নত মানের পাথর, কয়লা, চুনাপাথর আমদানি করা যাবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
কয়লা ও চুনাপাথর ব্যবসায়ী অমল কর বলেন, ‘ডলুরা শুল্কস্টেশনটি চালু হলে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যে আরও সুবিধা হবে। আমরা কম খরচে কয়লা ও চুনাপাথর রপ্তানি করতে পারব। সরকারও বেশি রাজস্ব পাবে। আমরা ব্যবসায়ীরা চাই দ্রুত এ শুল্কস্টেশনের কার্যক্রম শেষ হোক।’
সুনামগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক ও কয়লা রপ্তানিকারক খন্দকার মঞ্জুর আহমদ বলেন, জেলা তাহিরপুরের তিনটি শুল্কস্টেশন থেকে আমরা প্রতিবছর এক শ থেকে দেড় শ কোটি টাকা সরকারকে রাজস্ব দিই। এই স্টেশনটি চালু হলে আরও বেশি রাজস্ব পাবে সরকার।
অন্যদিকে সুনামগঞ্জ জেলায় বেকারত্ব দিন দিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই শুল্কস্টেশনটি চালু হলে ২০ থেকে ৩০ হাজার শ্রমিক কাজের সুযোগ পাবেন। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাও নানা পণ্যের দোকান নিয়ে বসতে পারবেন বলে মনে করছে চেম্বার অব কমার্স।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের নারায়ণতলা গ্রামের বাসিন্দা আলি আহমদ বলেন, ‘আমরা বছরের একটা সময় সবজি চাষ করি। অন্য সময় বেকার থাকি। এ শুল্কস্টেশনটি চালু হলে আমাদের এলাকার বেকারত্ব দূর হবে।’
একই গ্রামের বাসিন্দা রহমত আলী জানান, দীর্ঘদিন ধরেই শুনে আসছেন ডলুরা শুল্কস্টেশনটি চালু হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত চালু হয়নি। এটি চালু হলে ব্যবসা-বাণিজ্যে আরও প্রসারিত হবে। বেকারত্ব দূর হবে।’ এদিকে সরকারও রাজস্ব পবে বলে জানান তিনি।
২০১৫ সালের ২৯ নভেম্বর ভারতের মেঘালয়ের একটি শীর্ষ ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল ও সুনামগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের নেতাদের সঙ্গে যৌথভাবে ডলুরা এলাকা পরিদর্শন করে। তবে এখন পর্যন্ত আলোর মুখ দেখছি শুল্কস্টেশনটি।
ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) পরিচালক ও সুনামগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি খায়রুল হুদা চপল বলেন, ডলুরা শুল্কস্টেশনটি স্থাপনের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। ইতিমধ্যে ভূমি অধিগ্রহণও সম্পন্ন হয়েছে।
খায়রুল হুদা আরও বলেন, ‘আমরা চাচ্ছি এখানে স্থলবন্দরটি চালু করার জন্য। এ জন্য আমরা সীমিত আকারে আমদানি-রপ্তানি যাতে করা যায়, সেই ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ে কথা বলব।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪