Ajker Patrika

হলের সিট বণ্টনের অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
আপডেট : ০৪ জানুয়ারি ২০২২, ১১: ০২
হলের সিট বণ্টনের অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রাফিউল আলম দীপ্তের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থীর সিটে অন্য শিক্ষার্থীকে তোলা, শিক্ষার্থীকে হল থেকে বের করে দেওয়া ও নিজের ইচ্ছানুযায়ী সিট বণ্টনসহ রয়েছে নানা অভিযোগ।

সরেজমিনে জানা গেছে, গত শনিবার রাতে সভাপতি রাফিউল আলম দীপ্ত কয়েকজন নেতা-কর্মী সঙ্গে নিয়ে ইচ্ছামতো হলের শিক্ষার্থীদের সিট বণ্টন করেন। এ সময় তিনি বিভিন্ন আবাসিক শিক্ষার্থীর সিটে অন্য শিক্ষার্থীকে তুললে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভ্রান্তি ও অসন্তোষের সৃষ্টি হয়।

দত্ত হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘আমি টাকা দিয়ে হলে থাকি। আমি একটা কাজে বর্তমানে ঢাকায় আছি। আমাকে না জানিয়ে আমার সিটে অন্য কীভাবে একজনকে হুট করে তোলেন বুঝি না। হল প্রভোস্ট আরও শক্ত হলে, এই সুযোগ পেতেন না। আমি এর বিচার চাই।’

হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রাফিউল আলম দিপ্ত বলেন, ‘গণ রুমে পোলাপান ছিল, তাঁদের আমি সিট দিয়েছি।’ সিট বণ্টনের অধিকার আপনার আছে কি-না এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি হলের প্রভোস্ট ও হাউস টিউটরদের সঙ্গে কথা বলে সিট বণ্টন করেছি।

তবে হলের প্রভোস্ট ড. মোহাম্মদ জুলহাস মিয়ার সঙ্গে কথা হলে এসব ব্যাপারে কিছুই জানেন না বলে তিনি জানান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, ‘এই বিষয় আমি কিছুই জানি না। হলের সিট বণ্টনতো হল প্রভোস্টের কাজ। ছাত্রলীগ সিট বণ্টন করবে কেন? হলের আবাসিক শিক্ষার্থী হিসেবে হল প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে সমন্বয় করে সহযোগিতা করতে পারেন।’

সিনিয়র শিক্ষার্থী হল ছেড়ে দেওয়ার আগেই জুনিয়র শিক্ষার্থীদের তোলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, একজন সিটে থাকা অবস্থায় যদি আরেক জনকে তোলা অবশ্যই বেআইনি। হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি এ ধরনের কিছু করে থাকলে তাঁকে সাংগঠনিক জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ নিজেই দত্ত হলের ৩০০১ নম্বর রুম ৬ বছরের অধিক সময় ধরে দখল করে একাই থাকছেন। বর্তমানে সপ্তাহে ৪ দিন বাসায় থাকলেও তিনি এ রুমটি দখলে রেখেছেন। একটি রুম একাই দখল করে রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন সময় সাংগঠনিক কাজে আমার রুমটি ব্যবহার হয়।’

হলের প্রভোস্ট ড. মোহাম্মদ জুলহাস মিয়া বলেন, ‘সিট বণ্টনের ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। আমাকে জানিয়ে সিট বণ্টন করা হয়নি। আর আমি হলে গিয়ে এই বিষয়গুলো খোঁজ নেব।’

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী বলেন, ‘আমি হলের প্রভোস্টের কাছ থেকে শুনে কি ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তা নেব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত