রাজীব কুমার সাহা
আমাদের দৈনন্দিন আলাপ-আলোচনায় ‘খেই হারানো’ শব্দবন্ধটি প্রায়ই ব্যবহার করি। সাধারণত কোনো বিষয়ে কথা বলার সময় আমরা যদি সংশ্লিষ্ট বিষয় ব্যতিরেকে অন্য প্রসঙ্গে কথা বলতে শুরু করি, তখনই এ শব্দবন্ধটির ব্যবহার আমরা করতে দেখি। আমরা ব্যক্তিকে উদ্দেশ্য করে বলি, ‘তুমি বোধ হয় কথার খেই হারিয়েছ।’ এখন প্রশ্ন হলো, এই খেই শব্দের মানে কী? আর কেন আমরা বারবার কথা বলতে গিয়ে এই ‘খেই’ হারিয়ে ফেলি? চলুন, আজ জানব ‘খেই হারানো’র আদ্যোপান্ত।
‘খেই’ শব্দটি বাংলা ভাষায় এসেছে সংস্কৃত ‘ক্ষেপ’ শব্দ থেকে। এর অর্থ হলো: ১. সুতার প্রান্ত বা মুখ; ২. সুতার সংখ্যা (পাঁচ খেই); ৩. ধারা, প্রসঙ্গ, সূত্র (কথার খেই হারানো); ৪. সন্ধান (হঠাৎ হারায় তোমার পথের খেই)। ইতিমধ্যে নিশ্চয় আপনি খেই শব্দের এক নম্বর অর্থটি পড়েছেন এবং কিছুটা আঁচ করতে পেরেছেন। ঠিক এ অর্থটি থেকেই এই খেই হারানোর প্রসঙ্গটির অবতারণা।
খেই শব্দের একটি অর্থ হলো সুতার প্রান্ত বা মুখ। তাঁতিদের কাপড় বোনার সময় টানা কিংবা পোড়েনের সুতা ছিঁড়ে গেলে তাঁতি সুতার খেই হারিয়ে ফেলেন। এতে তাঁতিকে পড়তে হয় মহা ঝামেলায়। এই খেই খুঁজে বের করে পুনরায় জোড়া দিয়ে আবার বুননকর্ম শুরু করা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। তা ছাড়া কাটিম থেকে সুতা বের করার সময় যদি খেই খুঁজে না পাওয়া যায়, তখনো তাঁতিকে ঝামেলা পোহাতে হয়।
মূলত সুতার এই খেই বা মুখ হারানোর বিষয়টিই আলংকারিকরূপে তাঁতশিল্প থেকে উঠে এসেছে আমাদের দৈনন্দিন মুখের ভাষায়। আমরা অনেক সময় কথা বলা বা গল্প করার সময় প্রসঙ্গ হারিয়ে ফেলি। কাটিমের সুতার মতো যখন আমরা সুনির্দিষ্ট বিষয়ে কথার সূত্র হারিয়ে অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ে কথা বলতে শুরু করি, তখনই মূলত কথার খেই হারিয়ে ফেলি। ইংরেজিতে এ বিষয়টিকে আমরা বলতে পারি—লস ওয়ানস ক্লু; মিস আ লিংক; বি কনফাউন্ডেড; বি অ্যাট ওয়ানস উইটস এন্ড।
খেই হারিয়ে যেমন কাপড় বুনন বা কাটিম থেকে সুতা বের করার কাজটি অসম্পূর্ণ হয়ে পড়ে, তেমনি কথার খেই হারিয়ে আমরা হয়ে উঠতে পারি অন্যের বিরক্তি বা ভুল-বোঝাবুঝির কারণ। সুতরাং খেই হারানো চলবে না—না তাঁতশিল্পে, না আলাপচারিতায়!
লেখক: আভিধানিক ও প্রাবন্ধিক
আমাদের দৈনন্দিন আলাপ-আলোচনায় ‘খেই হারানো’ শব্দবন্ধটি প্রায়ই ব্যবহার করি। সাধারণত কোনো বিষয়ে কথা বলার সময় আমরা যদি সংশ্লিষ্ট বিষয় ব্যতিরেকে অন্য প্রসঙ্গে কথা বলতে শুরু করি, তখনই এ শব্দবন্ধটির ব্যবহার আমরা করতে দেখি। আমরা ব্যক্তিকে উদ্দেশ্য করে বলি, ‘তুমি বোধ হয় কথার খেই হারিয়েছ।’ এখন প্রশ্ন হলো, এই খেই শব্দের মানে কী? আর কেন আমরা বারবার কথা বলতে গিয়ে এই ‘খেই’ হারিয়ে ফেলি? চলুন, আজ জানব ‘খেই হারানো’র আদ্যোপান্ত।
‘খেই’ শব্দটি বাংলা ভাষায় এসেছে সংস্কৃত ‘ক্ষেপ’ শব্দ থেকে। এর অর্থ হলো: ১. সুতার প্রান্ত বা মুখ; ২. সুতার সংখ্যা (পাঁচ খেই); ৩. ধারা, প্রসঙ্গ, সূত্র (কথার খেই হারানো); ৪. সন্ধান (হঠাৎ হারায় তোমার পথের খেই)। ইতিমধ্যে নিশ্চয় আপনি খেই শব্দের এক নম্বর অর্থটি পড়েছেন এবং কিছুটা আঁচ করতে পেরেছেন। ঠিক এ অর্থটি থেকেই এই খেই হারানোর প্রসঙ্গটির অবতারণা।
খেই শব্দের একটি অর্থ হলো সুতার প্রান্ত বা মুখ। তাঁতিদের কাপড় বোনার সময় টানা কিংবা পোড়েনের সুতা ছিঁড়ে গেলে তাঁতি সুতার খেই হারিয়ে ফেলেন। এতে তাঁতিকে পড়তে হয় মহা ঝামেলায়। এই খেই খুঁজে বের করে পুনরায় জোড়া দিয়ে আবার বুননকর্ম শুরু করা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। তা ছাড়া কাটিম থেকে সুতা বের করার সময় যদি খেই খুঁজে না পাওয়া যায়, তখনো তাঁতিকে ঝামেলা পোহাতে হয়।
মূলত সুতার এই খেই বা মুখ হারানোর বিষয়টিই আলংকারিকরূপে তাঁতশিল্প থেকে উঠে এসেছে আমাদের দৈনন্দিন মুখের ভাষায়। আমরা অনেক সময় কথা বলা বা গল্প করার সময় প্রসঙ্গ হারিয়ে ফেলি। কাটিমের সুতার মতো যখন আমরা সুনির্দিষ্ট বিষয়ে কথার সূত্র হারিয়ে অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ে কথা বলতে শুরু করি, তখনই মূলত কথার খেই হারিয়ে ফেলি। ইংরেজিতে এ বিষয়টিকে আমরা বলতে পারি—লস ওয়ানস ক্লু; মিস আ লিংক; বি কনফাউন্ডেড; বি অ্যাট ওয়ানস উইটস এন্ড।
খেই হারিয়ে যেমন কাপড় বুনন বা কাটিম থেকে সুতা বের করার কাজটি অসম্পূর্ণ হয়ে পড়ে, তেমনি কথার খেই হারিয়ে আমরা হয়ে উঠতে পারি অন্যের বিরক্তি বা ভুল-বোঝাবুঝির কারণ। সুতরাং খেই হারানো চলবে না—না তাঁতশিল্পে, না আলাপচারিতায়!
লেখক: আভিধানিক ও প্রাবন্ধিক
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫