সম্পাদকীয়
ঐতিহ্য সংরক্ষণের অঙ্গীকার না থাকলে যা হয়, তারই বেদনাদায়ক রূপ দেখা যাচ্ছে বড় কাটরা ঘিরে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর সামাজিক অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিরা গুঁড়িয়ে দিয়েছেন বড় কাটরার একাংশ। পুরান ঢাকার ঐতিহ্য এভাবেই একে একে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
বড় কাটরার বিভিন্ন অংশ দখল করে নিয়ে নিজেরাই ওই অংশের মালিক দাবি করছেন কেউ কেউ। এই সংকট আজকের নয়, বহুদিন ধরেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির কাছে বাধা পড়েছে বড় কাটরা। সরকারের সদিচ্ছা থাকলে ইতিহাসের অংশ এই ভবন রক্ষা করা কোনো কঠিন ব্যাপার ছিল না। কিন্তু আমাদের দেশে কোনো সরকারই ঐতিহ্য সংরক্ষণের বিষয়টি আমলে নেয়নি। কিছু প্রবোধ দেওয়া কথাবার্তা বলে জনমন তুষ্ট করার চেষ্টা হয়েছে বটে, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
ঢাকা যখন বাংলার মোগল রাজধানী, তখন চকবাজারের দক্ষিণে বুড়িগঙ্গা নদীর পারে নির্মিত হয়েছিল বড় কাটরা। মোগল রাজকীয় স্থাপত্যরীতির সব বৈশিষ্ট্যের প্রকাশ দেখা যায় বড় কাটরায়। মধ্য এশিয়ার ক্যারাভান সরাইয়ের ঐতিহ্য অনুসারে তা নির্মিত হয়েছিল।
ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়ানো এই ভবনের কিছু বৈশিষ্ট্যের কথা বলে রাখা ভালো। বিশাল এক প্রবেশপথের পরে অপেক্ষাকৃত ছোট আরও তিনটি প্রবেশপথ ছিল। এরপর অষ্টকোনাকৃতির একটি হল ছিল। ছাদ ছিল গম্বুজাকৃতির। তাতে পলেস্তারার ওপর নানা রকম লতাপাতার অলংকরণ ছিল। কাটরার ভেতরে দোতলা আর তৃতীয় তলায় ওঠার সিঁড়ি আছে। এই ওপরের দুই তলায় ছিল বসবাসের কক্ষ। প্রবেশপথের ওপরের অংশই ছিল তিনতলাবিশিষ্ট। বাকি অংশ ছিল দ্বিতল। দুটো শিলালিপির একটিতে লেখা ছিল ইমারতটি ১৬৪৩-৪৪ খ্রিষ্টাব্দে
নির্মিত হয়। অন্যটিতে ১৬৪৫-৪৬ খ্রিষ্টাব্দে নির্মাণের কথা আছে।
বড় কাটরা নিয়ে অনেক বিবরণ শোনা যায়। কিন্তু এখন যদি কেউ বুড়িগঙ্গাপারের এই ইমারত দেখতে চান, তাহলে তিনি তাঁর কল্পনার সঙ্গে মেলাতেই পারবেন না। বড় কাটরা এখন পর্যন্ত শেষ আঘাতটি পেয়েছে এই আগস্ট মাসে। এই উন্মত্ত আচরণের প্রতিকার দরকার।
আরবান স্টাডি গ্রুপের প্রধান নির্বাহী বুধবার রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘মুঘল স্থাপনা বড় কাটরায় ধ্বংসযজ্ঞ: পুরান ঢাকার সাংস্কৃতিক বিপর্যয়ের অশনিসংকেত’ শিরোনামে এক সংবাদ সম্মেলনে বিপদে পড়া বড় কাটরা নিয়ে কথা বলেন।
এই স্থাপনা বাঁচানোর জন্য শুধু আরবান স্টাডিকেই এগিয়ে আসতে হবে কেন? স্থানীয় এলাকাবাসী, সমাজের মাথা, জনপ্রতিনিধিরা কেন নিজ এলাকার ঐতিহ্য রক্ষায় এগিয়ে আসছেন না? মালিক বনে যাওয়া দখলদারদের হাত থেকেও তো এই স্থাপনা মুক্ত করা দরকার।
যে জাতি তার ঐতিহ্য সম্পর্কে নির্লিপ্ত থাকে, সে জাতি কোন ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে ভবিষ্যৎ গড়বে? অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত পুরান ঢাকা তথা পুরো বাংলাদেশের পুরোনো ঐতিহ্য সংরক্ষণের জন্য অচিরেই ব্যবস্থা নেওয়া। এগুলো রক্ষা করার কথা বারবার বলতে হবে কেন? কেন তা আইনি পথেই সংরক্ষিত হবে না—এটাই আমাদের প্রশ্ন।
ঐতিহ্য সংরক্ষণের অঙ্গীকার না থাকলে যা হয়, তারই বেদনাদায়ক রূপ দেখা যাচ্ছে বড় কাটরা ঘিরে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর সামাজিক অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিরা গুঁড়িয়ে দিয়েছেন বড় কাটরার একাংশ। পুরান ঢাকার ঐতিহ্য এভাবেই একে একে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
বড় কাটরার বিভিন্ন অংশ দখল করে নিয়ে নিজেরাই ওই অংশের মালিক দাবি করছেন কেউ কেউ। এই সংকট আজকের নয়, বহুদিন ধরেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির কাছে বাধা পড়েছে বড় কাটরা। সরকারের সদিচ্ছা থাকলে ইতিহাসের অংশ এই ভবন রক্ষা করা কোনো কঠিন ব্যাপার ছিল না। কিন্তু আমাদের দেশে কোনো সরকারই ঐতিহ্য সংরক্ষণের বিষয়টি আমলে নেয়নি। কিছু প্রবোধ দেওয়া কথাবার্তা বলে জনমন তুষ্ট করার চেষ্টা হয়েছে বটে, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
ঢাকা যখন বাংলার মোগল রাজধানী, তখন চকবাজারের দক্ষিণে বুড়িগঙ্গা নদীর পারে নির্মিত হয়েছিল বড় কাটরা। মোগল রাজকীয় স্থাপত্যরীতির সব বৈশিষ্ট্যের প্রকাশ দেখা যায় বড় কাটরায়। মধ্য এশিয়ার ক্যারাভান সরাইয়ের ঐতিহ্য অনুসারে তা নির্মিত হয়েছিল।
ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়ানো এই ভবনের কিছু বৈশিষ্ট্যের কথা বলে রাখা ভালো। বিশাল এক প্রবেশপথের পরে অপেক্ষাকৃত ছোট আরও তিনটি প্রবেশপথ ছিল। এরপর অষ্টকোনাকৃতির একটি হল ছিল। ছাদ ছিল গম্বুজাকৃতির। তাতে পলেস্তারার ওপর নানা রকম লতাপাতার অলংকরণ ছিল। কাটরার ভেতরে দোতলা আর তৃতীয় তলায় ওঠার সিঁড়ি আছে। এই ওপরের দুই তলায় ছিল বসবাসের কক্ষ। প্রবেশপথের ওপরের অংশই ছিল তিনতলাবিশিষ্ট। বাকি অংশ ছিল দ্বিতল। দুটো শিলালিপির একটিতে লেখা ছিল ইমারতটি ১৬৪৩-৪৪ খ্রিষ্টাব্দে
নির্মিত হয়। অন্যটিতে ১৬৪৫-৪৬ খ্রিষ্টাব্দে নির্মাণের কথা আছে।
বড় কাটরা নিয়ে অনেক বিবরণ শোনা যায়। কিন্তু এখন যদি কেউ বুড়িগঙ্গাপারের এই ইমারত দেখতে চান, তাহলে তিনি তাঁর কল্পনার সঙ্গে মেলাতেই পারবেন না। বড় কাটরা এখন পর্যন্ত শেষ আঘাতটি পেয়েছে এই আগস্ট মাসে। এই উন্মত্ত আচরণের প্রতিকার দরকার।
আরবান স্টাডি গ্রুপের প্রধান নির্বাহী বুধবার রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘মুঘল স্থাপনা বড় কাটরায় ধ্বংসযজ্ঞ: পুরান ঢাকার সাংস্কৃতিক বিপর্যয়ের অশনিসংকেত’ শিরোনামে এক সংবাদ সম্মেলনে বিপদে পড়া বড় কাটরা নিয়ে কথা বলেন।
এই স্থাপনা বাঁচানোর জন্য শুধু আরবান স্টাডিকেই এগিয়ে আসতে হবে কেন? স্থানীয় এলাকাবাসী, সমাজের মাথা, জনপ্রতিনিধিরা কেন নিজ এলাকার ঐতিহ্য রক্ষায় এগিয়ে আসছেন না? মালিক বনে যাওয়া দখলদারদের হাত থেকেও তো এই স্থাপনা মুক্ত করা দরকার।
যে জাতি তার ঐতিহ্য সম্পর্কে নির্লিপ্ত থাকে, সে জাতি কোন ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে ভবিষ্যৎ গড়বে? অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত পুরান ঢাকা তথা পুরো বাংলাদেশের পুরোনো ঐতিহ্য সংরক্ষণের জন্য অচিরেই ব্যবস্থা নেওয়া। এগুলো রক্ষা করার কথা বারবার বলতে হবে কেন? কেন তা আইনি পথেই সংরক্ষিত হবে না—এটাই আমাদের প্রশ্ন।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১৩ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫