সম্পাদকীয়
গোবিন্দচন্দ্র দেব অসাম্প্রদায়িক, মানবতাবাদী দার্শনিক ও শিক্ষাবিদ ছিলেন। তিনি জি সি দেব নামেই বেশি পরিচিত। তবে তাঁর প্রকৃত নাম গোবিন্দচন্দ্র দেব পুরকায়স্থ; জন্ম সিলেটের বিয়ানীবাজারের লাউতা গ্রামে। তিনি কলকাতার সংস্কৃত কলেজ থেকে দর্শন বিষয়ে স্নাতক এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ‘রিজন, ইনটুইশন অ্যান্ড রিয়্যালিটি’ বিষয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেন তিনি। কিছুকাল দিনাজপুর সুরেন্দ্রনাথ কলেজে অধ্যাপনা করার পর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে যোগ দেন।
গোবিন্দচন্দ্র দেব সব ধর্মকে দেখেছেন উদার ও সর্বজনীন দৃষ্টিকোণ থেকে। তাঁর চিন্তাধারার মূলে সক্রিয়ভাবে কাজ করেছে এক সমন্বয়ী ভাবধারা, এক বিশ্বজনীন মানবপ্রেম, সাম্য ও মৈত্রী ভাবনা। তাই তাঁর দর্শন ‘সমন্বয়ী ভাববাদ’ নামে সমধিক পরিচিত।
তিনি উগ্র ভাববাদ এবং উগ্র জড়বাদ উভয়কেই তীব্র সমালোচনা করে বলেছেন, এ দুটি মতবাদই একদেশদর্শী; এদের দ্বারা মানবজীবনের কল্যাণসাধন ও প্রগতি সম্ভব নয়। তিনি তাঁর সমন্বয়ী দর্শনে বস্তুবাদকে অধ্যাত্মবাদে এবং অধ্যাত্মবাদকে বস্তুবাদে রূপান্তরিত করে এরই ভিত্তিতে একটি সার্থক জীবনদর্শন গড়ে তুলেছেন। তাঁর মতে, সার্থক দর্শন মাত্রই জীবনদর্শন। তিনি তাঁর প্রায় সব গ্রন্থেই এই দার্শনিক তত্ত্ব প্রকাশ করেছেন। তাঁর এই সমন্বয়ী দার্শনিক তত্ত্ব গড়ে উঠেছে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্ট ও ইসলামি ভাবধারা থেকে।
গোবিন্দচন্দ্র দেব প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ: আইডিয়ালিজম অ্যান্ড প্রোগ্রেস, আইডিয়ালিজম: এ নিউ ডিফেন্স অ্যান্ড এ নিউ অ্যাপলিকেশন, আমার জীবনদর্শন, অ্যাসপিরেশন অব দ্য কমন ম্যান, দ্য ফিলোসফি অব বিবেকানন্দ অ্যান্ড দ্য ফিউচার অব ম্যান, তত্ত্ববিদ্যাসার, বুদ্ধ: দি হিউম্যানিস্ট। গ্রন্থগুলো তাঁর জীবিতকালেই প্রকাশিত হয়। আর তাঁর মৃত্যুর পর প্রকাশিত হয় ‘দ্য প্যারাবুলস অব দি ইস্ট’ এবং ‘মাই আমেরিকান এক্সপেরিয়েন্স’।
জি সি দেব তাঁর সব সম্পত্তি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দান করে গেছেন। অকৃতদার এই দার্শনিককে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ পাকিস্তানি বাহিনী নৃশংসভাবে হত্যা করে।
গোবিন্দচন্দ্র দেব অসাম্প্রদায়িক, মানবতাবাদী দার্শনিক ও শিক্ষাবিদ ছিলেন। তিনি জি সি দেব নামেই বেশি পরিচিত। তবে তাঁর প্রকৃত নাম গোবিন্দচন্দ্র দেব পুরকায়স্থ; জন্ম সিলেটের বিয়ানীবাজারের লাউতা গ্রামে। তিনি কলকাতার সংস্কৃত কলেজ থেকে দর্শন বিষয়ে স্নাতক এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ‘রিজন, ইনটুইশন অ্যান্ড রিয়্যালিটি’ বিষয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেন তিনি। কিছুকাল দিনাজপুর সুরেন্দ্রনাথ কলেজে অধ্যাপনা করার পর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে যোগ দেন।
গোবিন্দচন্দ্র দেব সব ধর্মকে দেখেছেন উদার ও সর্বজনীন দৃষ্টিকোণ থেকে। তাঁর চিন্তাধারার মূলে সক্রিয়ভাবে কাজ করেছে এক সমন্বয়ী ভাবধারা, এক বিশ্বজনীন মানবপ্রেম, সাম্য ও মৈত্রী ভাবনা। তাই তাঁর দর্শন ‘সমন্বয়ী ভাববাদ’ নামে সমধিক পরিচিত।
তিনি উগ্র ভাববাদ এবং উগ্র জড়বাদ উভয়কেই তীব্র সমালোচনা করে বলেছেন, এ দুটি মতবাদই একদেশদর্শী; এদের দ্বারা মানবজীবনের কল্যাণসাধন ও প্রগতি সম্ভব নয়। তিনি তাঁর সমন্বয়ী দর্শনে বস্তুবাদকে অধ্যাত্মবাদে এবং অধ্যাত্মবাদকে বস্তুবাদে রূপান্তরিত করে এরই ভিত্তিতে একটি সার্থক জীবনদর্শন গড়ে তুলেছেন। তাঁর মতে, সার্থক দর্শন মাত্রই জীবনদর্শন। তিনি তাঁর প্রায় সব গ্রন্থেই এই দার্শনিক তত্ত্ব প্রকাশ করেছেন। তাঁর এই সমন্বয়ী দার্শনিক তত্ত্ব গড়ে উঠেছে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্ট ও ইসলামি ভাবধারা থেকে।
গোবিন্দচন্দ্র দেব প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ: আইডিয়ালিজম অ্যান্ড প্রোগ্রেস, আইডিয়ালিজম: এ নিউ ডিফেন্স অ্যান্ড এ নিউ অ্যাপলিকেশন, আমার জীবনদর্শন, অ্যাসপিরেশন অব দ্য কমন ম্যান, দ্য ফিলোসফি অব বিবেকানন্দ অ্যান্ড দ্য ফিউচার অব ম্যান, তত্ত্ববিদ্যাসার, বুদ্ধ: দি হিউম্যানিস্ট। গ্রন্থগুলো তাঁর জীবিতকালেই প্রকাশিত হয়। আর তাঁর মৃত্যুর পর প্রকাশিত হয় ‘দ্য প্যারাবুলস অব দি ইস্ট’ এবং ‘মাই আমেরিকান এক্সপেরিয়েন্স’।
জি সি দেব তাঁর সব সম্পত্তি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দান করে গেছেন। অকৃতদার এই দার্শনিককে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ পাকিস্তানি বাহিনী নৃশংসভাবে হত্যা করে।
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৩ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৩ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৩ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫