Ajker Patrika

আবারও বাড়ছে নদ-নদীর পানি, বন্যার শঙ্কায় মানুষ

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ০৫ জুন ২০২২, ১৪: ৪৭
আবারও বাড়ছে নদ-নদীর পানি, বন্যার শঙ্কায় মানুষ

সাম্প্রতিক সময়ের বন্যার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও বন্যার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ইতিমধ্যে সুনামগঞ্জের সুরমা নদীসহ অন্য নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ভারতের মেঘালয় ও চেরাপুঞ্জিতে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। পাশাপাশি ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে জেলায় নতুন করে বন্যার আশঙ্কায় উদ্বেগ বাড়ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বরাত দিয়ে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। অতিবৃষ্টির ফলে শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে সুরমা নদীর পানি শনিবার দুপুর পর্যন্ত ৩০ সেন্টিমিটার বেড়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সুনামগঞ্জের সুরমা নদীর পানি ছিল ৬ দশমিক ৬৮ মিলিমিটার এবং শনিবার দুপুরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৯৮ মিলিমিটারে। এসব কারণে নদ-নদীর পানি আরও বাড়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

এর আগে গত মে মাসের শুরুতেই জেলায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। সেই বন্যায় সুনামগঞ্জে কৃষি, মৎস্য, সড়ক ও অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এখনো পুরোপুরি ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা শেষ হয়নি। এর মধ্যেই আবারও বন্যার আশঙ্কায় সুনামগঞ্জবাসী। তবে বিগত বন্যাকে আকস্মিক বলেই আখ্যায়িত করেছেন অনেকে। এ কারণে নতুন করে অনাকাঙ্ক্ষিত বন্যা পরিস্থিতি এড়াতে পূর্বপ্রস্তুতি সেরে রাখছেন অনেকে।

বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামের স্বপন কুমার বলেন, মে মাসে সাধারণত আমরা বন্যা হইতে দেখিনি। এই বন্যাটা আকস্মিকভাবেই হয়েছে। বন্যা হয় জুন জুলাই ও আগস্ট মাসে। তিনি বলেন হাওরাঞ্চলের জন্য এই সময় পানি বাড়ার বিষয়টি অস্বাভাবিক কিছু না। তবে গত বন্যায় অস্বাভাবিকভাবে পানি হওয়ায় আমাদের অঞ্চলের কৃষি খাতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সেটি আমাদের এখনো শঙ্কিত করে তুলছে।

জেলার মৎস্য খামারি সোহেল রানা বলেন, ‘আমরা চিন্তাও করতে পারিনি এই সময়ে এত বড় বন্যা হবে। এই বন্যায় আমার ৩টা পুকুরের মাছ ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। আমরা বন্যার প্রস্তুতিও নিইনি। তবে আবারও বন্যা হবে আমরা শুনেছি। এখন আমাদের প্রস্তুতি আছে। মাছের ঘেরে নেট দিয়ে ঘেরাও করে রেখেছি।’

পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শামসুদ্দোহা গতকাল শনিবার বিকেলে বলেন, ‘আগামী ৪৮ ঘণ্টার ভারতের মেঘালয়ে বৃষ্টিপাত হবে। থেমে থেমে ১৫ জুন পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে। এই সময়ে নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত