Ajker Patrika

শুষ্ক মৌসুমের আগেই মেঘনায় নাব্যতা-সংকট

খান রফিক, বরিশাল
শুষ্ক মৌসুমের আগেই মেঘনায় নাব্যতা-সংকট

শুষ্ক মৌসুমের আগেই ঢাকা-বরিশাল নৌপথের মেঘনায় নাব্যতা-সংকট দেখা দিয়েছে। এ পথের চাঁদপুর অংশের তিনটি স্থানে পানি কমে যাওয়ায় ভাটার সময় লঞ্চ কিংবা জাহাজ থামিয়ে রাখতে হচ্ছে। জোয়ারের অপেক্ষা করতে হয় মাঝনদীতে। নৌযানসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, দ্রুত খনন না করলে যেকোনো সময় বন্ধ হতে পারে এ নৌপথ। বিআইডব্লিউটিএ বিষয়টি স্বীকার করে জানিয়েছে, তারা শিগগির নাব্যতা-সংকট এলাকায় খনন করবে।

ঢাকা-বরিশাল নৌপথের সুন্দরবন-১০ লঞ্চের মাস্টার মজিবর রহমান বলেন, ১৫ দিন ধরে মেঘনার হিজলারটেক থেকে মেহেন্দীগঞ্জের আলিগঞ্জ দুই কিলোমিটার, মল্লিকপুরের তিন কিলোমিটার এবং শেওড়া এলাকায় নদীর পানি কমে গেছে। সবশেষ গত সপ্তাহে হিজলারটেকে ভাটার সময় পানির গভীরতা পেয়েছেন ১ দশমিক ৭ মিটার। যাত্রীবাহী লঞ্চের পানির গভীরতা দরকার আড়াই থেকে তিন মিটার। শেষ ভাটায় পানি কমে যাওয়ায় অনেক সময় লঞ্চ থামিয়ে রাখতে হয়। রাত ৯টা বা ১০টায় মাঝনদীতে এ ঘটনা ঘটে।

মজিবর রহমান আরও বলেন, নাব্যতা-সংকটের এমন সমস্যা তাঁরা বিআইডব্লিউটিএর চাঁদপুরের নৌ নিরাপত্তা বিভাগকে জানিয়েছেন। তাঁরা স্থানগুলো পরিদর্শনও করেছেন, কিন্তু সমাধান হয়নি। এ নৌপথের মালবাহী জাহাজের মাস্টার মো. শাজাহান বলেন, রাত তিনটার দিকে কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে। তার ওপর শুষ্ক মৌসুমের আগেই মেঘনায় নাব্যতা-সংকট দেখা দিয়েছে। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়ছে মালবাহী জাহাজগুলো।

শাজাহান আরও বলেন, ঢাকা থেকে বরিশাল, পায়রা, খুলনা, মোংলা এমনকি অনেক মালবাহী জাহাজ ভারতেও যায়। বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে তাদের জোয়ারের অপেক্ষায় জাহাজ থামিয়ে রাখতে হয়। চাঁদপুরের পাইলট ইন্সপেক্টর হারুন অর রশিদ বলেন, তিনটি স্থানে পানি কিছুটা কমে গেছে। হিজলা, মল্লিকপুর ও শেওড়ায় তাঁরা পরিদর্শন করে নতুন লাইটেট স্থাপন করেছেন। এই লাইটেট অনুসরণ করে লঞ্চ ও জাহাজ চলাচল করলে তেমন ঝুঁকিতে পড়তে হবে না বলে আশা করেন তিনি। মালবাহী জাহাজ চলাচলের ক্ষেত্রে আরও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, শিগগির জরিপ করে এসব স্থানে খনন শুরু হবে।

নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের চাঁদপুরের উপপরিচালক মো. বাকের হোসেন বলেন, তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নতুন বয়া স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন। কর্তৃপক্ষকে অবস্থা জানিয়ে জরিপ ও খনন করার জন্য গত পরশু চিঠি দেওয়া হয়েছে। মাস্টাররা তলদেশ থেকে নদীর তীর পর্যন্ত যে গভীরতা দেখায়, তাতে আপাতত জাহাজ চলতে পারবে। তবে কুয়াশার সময় সতর্ক হতে হবে। যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাকা দিয়ে নারীর চাবুকের ঘা খাচ্ছিলেন পুরুষ, দুজন গ্রেপ্তার

মানবিক করিডর না ভূরাজনৈতিক কৌশল? সীমান্তে যুক্তরাষ্ট্রের তৎপরতায় উদ্বেগ

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে স্টারলিংকের প্রস্তাবিত কার্যক্রমের বিস্তারিত চায় ভারত

নির্দেশনা মানেননি পাইলট, মদিনা–ঢাকা ফ্লাইটকে নামতে হলো সিলেটে

ভারত–বাংলাদেশ বাণিজ্য বিধিনিষেধের মূল্য গুনছেন ব্যবসায়ীরা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত