Ajker Patrika

আগের এক্স-রে মেশিন নষ্ট নতুনগুলোও বাক্সবন্দী

লক্ষ্মীপুর ও রায়পুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১৪ জানুয়ারি ২০২২, ১০: ৫৩
আগের এক্স-রে মেশিন নষ্ট নতুনগুলোও বাক্সবন্দী

লক্ষ্মীপুরের চার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্স-রে মেশিনগুলো কোনো কাজে আসছে না। প্রথম দফায় পাওয়া মেশিনগুলো নষ্ট হওয়ার পর দ্বিতীয় দফায়ও এই চার হাসপাতালে এক্স-রে মেশিন বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু এবারও টেকনিশিয়ান না থাকায় মেশিনগুলো চালু করা সম্ভব হচ্ছে না।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, লক্ষ্মীপুরের রায়পুর, রামগতি, কমলনগর ও রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আগের চারটি এক্স-রে মেশিন এক যুগের বেশি সময় ধরে পড়ে থেকে অকেজো হয়ে যায়। এরপর গত অর্থবছরে আবারও এই চার হাসপাতালে চারটি এক্স-রে মেশিন দেওয়া হয়। কিন্তু এসবের কোনোটি এক দিনের জন্যও ব্যবহার করা হয়নি।

গত বৃহস্পতিবার দুপুরে রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এক্স-রে করতে আসা রায়পুর পৌরসভার কাঞ্চনপুর এলাকার নুর নবী জানান, মাসখানেক আগে দুর্ঘটনায় তাঁর এক হাত ভেঙে যায়। এরপর রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কয়েকবার এসেও হাতের এক্স-রে করা সম্ভব হয়নি। বাইরে এক্স-রে করতে অনেক টাকা লাগে। সেই টাকা তাঁর কাছে নেই। তাই বাধ্য হয়ে এই হাসপাতালে আসেন তিনি। কিন্তু এক্স-রে কক্ষ বন্ধ থাকে সব সময়।

এক্স-রে করাতে আসা ইসমাইল হোসেন জানান, তিনি চরাঞ্চল থেকে এসেছেন। দিনের পর দিন ভাঙা পা ও হাত নিয়ে অনেক কষ্ট করতে হচ্ছে। এই হাসপাতালে এক্স-রে করাতে এসেও ফিরে যেতে হচ্ছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।

রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ২০০৬ সালের অক্টোবরে ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। পরের বছরের জুন মাসে একটি নতুন এক্স-রে মেশিন দেওয়া হয়। কিন্তু টেকনিশিয়ান না থাকায় সেটি আর চালু করা সম্ভব হয়নি। এক যুগের বেশি সময় ধরে পড়ে থাকার পর সেটি অকেজো হয়ে যায়। টেকনিশিয়ান পদটি পূরণ না করেই ২০২০ সালের ডিসেম্বরে আবারও একটি এক্স-রে মেশিন দেওয়া হয়। এটি বাক্সবন্দী হয়ে পড়ে থাকে ১০ মাস। পরবর্তী সময়ে কক্ষে স্থাপনের পর এক্স-রে মেশিনটি আর চালু করা হয়নি।

রামগতি, কমলনগর ও রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিত্রও একই। টেকনিশিয়ান না থাকায় এক্স-রে মেশিন বন্ধ রয়েছে ওই তিন হাসপাতালেও।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবদুল গফ্ফার বলেন, টেকনিশিয়ান পদে জনবল না থাকায় এসব এক্স-রে মেশিন চালু করা যাচ্ছে না। প্রতি মাসেই জনবল চেয়ে তালিকা পাঠানো হয়। টেকনিশিয়ান না থাকায় চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। মাস্টার রোলে কিছু লোক নিয়োগ দেওয়া গেলে সমস্যার কিছুটা সমাধান হতো।

লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন বলেন, ইতিমধ্যে হাসপাতালগুলোতে আইসিইউ বিভাগ স্থাপন করা হয়েছে। পাশাপাশি অ্যাম্বুলেন্স সুবিধা দেওয়ার পাশাপাশি অনেক সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে টেকনিশিয়ান নিয়োগসহ এসব সমস্যারও সমাধানের আশ্বাস দেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত