প্রতিভা বসু
ঘড়ি পরার অভ্যাস ছিল না প্রতিভা বসুর। সেই ছেলেবেলায় গান শুনে এক সাহেব সোনার মেডেলের বদলে একটা সোনার ঘড়ি উপহার দিয়েছিলেন। কিন্তু কখনোই সেটা হাতে পরেননি প্রতিভা বসু। ভীষণ রোগা ছিলেন বলে ঘড়ি হাতে দিলে বেমানান লাগবে—এই ছিল ভয়।
ঘড়িটার প্রতি মায়া জন্মে গিয়েছিল। বেশ যত্ন করতেন। কোনো দিন চাবি দিতে ভুল হতো না।
একদিন সেই ঘড়ি হারিয়ে গেল। বাক্স তেমনই আছে, ভেতরে ঘড়িটি নেই। কে নেবে? বাড়িতে বাবা, মা আর প্রতিভা। আর রয়েছে পুরোনো রাঁধুনি কামিনী আর তাঁর ১০-১১ বছর বয়সী ছেলে মাখনধলা।
প্রতিভা খুবই স্নেহ করেন ছেলেটিকে।
এখন ঘড়িটি কে চুরি করতে পারে, তা নিয়ে ভাবা শুরু হলো। মাখনধলার প্রতিই উঠছে সন্দেহের আঙুল। কারণ এরই মধ্যে খবর এসেছে, স্কুলের বেতন দিয়ে পরোটা-কাবাব খেয়ে ফেলছে ছেলেটা, বেতন দিচ্ছে না। একদিন স্কুল থেকেই তাকে বের করে দেওয়া হয়েছে।
প্রতিভার এক আত্মীয়-ভ্রাতা এল বেড়াতে। সে বলল, ‘মাখনধলাকে কষে মার দিলেই ঘড়ি বেরিয়ে যাবে।’
অপমানেই বুঝি কামিনী তাঁর ছেলেকে নিয়ে চলে গেলেন গ্রামে। আর ফিরলেন না। প্রতিভা মাখনকে জিজ্ঞেস করেছিলেন; কিন্তু মাখন হেসে বলল, ‘ধ্যাত, তোমার ঘড়ি আমি কেন নিতে যাব?’
কামিনীর জায়গায় যে দাসী এল, সেই পুনার মা বলল, ‘মৈশন্ডির কেশব ঠাকুরের কাছে যাও, গুনে বলে দেবে কে ঘড়ি নিয়েছে।’
কৌতূহলী হয়ে একবার যাওয়া হলো তাঁর কাছে এবং তিনি যে বর্ণনা দিলেন, তাতে বোঝা গেল আত্মীয়-ভ্রাতা শম্ভুই ঘড়িটি নিয়ে গেছে।
চিঠি লেখা হলো শম্ভুর জ্যাঠামশাইয়ের কাছে। বলা হলো, শম্ভু ভুল করে ঘড়িটা নিয়ে গেছে কি না, দেখতে। তিনি খোঁজ নিয়ে দেখলেন, সত্যিই শম্ভুর হাতে সেই ঘড়ি! তাঁকে শম্ভু মিথ্যে বলেছে। বলেছে, কোনো বন্ধু তাকে উপহার দিয়েছে।
এর ছয় মাস পর ঘড়িটি ফেরত পেয়েছিলেন প্রতিভা।
সূত্র: প্রতিভা বসু, স্মৃতি সতত সুখের, পৃষ্ঠা ৩০-৩৩
ঘড়ি পরার অভ্যাস ছিল না প্রতিভা বসুর। সেই ছেলেবেলায় গান শুনে এক সাহেব সোনার মেডেলের বদলে একটা সোনার ঘড়ি উপহার দিয়েছিলেন। কিন্তু কখনোই সেটা হাতে পরেননি প্রতিভা বসু। ভীষণ রোগা ছিলেন বলে ঘড়ি হাতে দিলে বেমানান লাগবে—এই ছিল ভয়।
ঘড়িটার প্রতি মায়া জন্মে গিয়েছিল। বেশ যত্ন করতেন। কোনো দিন চাবি দিতে ভুল হতো না।
একদিন সেই ঘড়ি হারিয়ে গেল। বাক্স তেমনই আছে, ভেতরে ঘড়িটি নেই। কে নেবে? বাড়িতে বাবা, মা আর প্রতিভা। আর রয়েছে পুরোনো রাঁধুনি কামিনী আর তাঁর ১০-১১ বছর বয়সী ছেলে মাখনধলা।
প্রতিভা খুবই স্নেহ করেন ছেলেটিকে।
এখন ঘড়িটি কে চুরি করতে পারে, তা নিয়ে ভাবা শুরু হলো। মাখনধলার প্রতিই উঠছে সন্দেহের আঙুল। কারণ এরই মধ্যে খবর এসেছে, স্কুলের বেতন দিয়ে পরোটা-কাবাব খেয়ে ফেলছে ছেলেটা, বেতন দিচ্ছে না। একদিন স্কুল থেকেই তাকে বের করে দেওয়া হয়েছে।
প্রতিভার এক আত্মীয়-ভ্রাতা এল বেড়াতে। সে বলল, ‘মাখনধলাকে কষে মার দিলেই ঘড়ি বেরিয়ে যাবে।’
অপমানেই বুঝি কামিনী তাঁর ছেলেকে নিয়ে চলে গেলেন গ্রামে। আর ফিরলেন না। প্রতিভা মাখনকে জিজ্ঞেস করেছিলেন; কিন্তু মাখন হেসে বলল, ‘ধ্যাত, তোমার ঘড়ি আমি কেন নিতে যাব?’
কামিনীর জায়গায় যে দাসী এল, সেই পুনার মা বলল, ‘মৈশন্ডির কেশব ঠাকুরের কাছে যাও, গুনে বলে দেবে কে ঘড়ি নিয়েছে।’
কৌতূহলী হয়ে একবার যাওয়া হলো তাঁর কাছে এবং তিনি যে বর্ণনা দিলেন, তাতে বোঝা গেল আত্মীয়-ভ্রাতা শম্ভুই ঘড়িটি নিয়ে গেছে।
চিঠি লেখা হলো শম্ভুর জ্যাঠামশাইয়ের কাছে। বলা হলো, শম্ভু ভুল করে ঘড়িটা নিয়ে গেছে কি না, দেখতে। তিনি খোঁজ নিয়ে দেখলেন, সত্যিই শম্ভুর হাতে সেই ঘড়ি! তাঁকে শম্ভু মিথ্যে বলেছে। বলেছে, কোনো বন্ধু তাকে উপহার দিয়েছে।
এর ছয় মাস পর ঘড়িটি ফেরত পেয়েছিলেন প্রতিভা।
সূত্র: প্রতিভা বসু, স্মৃতি সতত সুখের, পৃষ্ঠা ৩০-৩৩
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৫ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৫ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৫ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫