সম্পাদকীয়
বিজ্ঞানের আবিষ্কার যদি মানুষের কুকর্ম ধরতে পারে, সে তো খুবই ভালো কথা! বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এ রকম কিছুই করতে যাচ্ছে। আসনসংখ্যার বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি, সনদ-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ব্যবস্থাপনাকে অটোমেশনের আওতায় আনবে ইউজিসি। একটি সফটওয়্যার তৈরি করে এর মাধ্যমে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় তদারকির এসব কার্যক্রম চলবে।
আজকের পত্রিকায় এ রকম একটি খবর পড়ে যখন মন ভালো হয়ে যায়, তখন অন্য আরেকটি খবর পড়ে মন খারাপও হয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই) গডফাদার নামে পরিচিত জিওফ্রে হিন্টন বলেছেন, এই মুহূর্তে এআই মানুষের চেয়ে বেশি বুদ্ধিমান না হলেও খুব দ্রুতই তারা বুদ্ধিমত্তার দিক দিয়ে আমাদের ছাড়িয়ে যাবে। এমনটা হলে কী হতে পারে, ভাবতে পারেন!
হিন্টন এআইকে নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে গুগলের চাকরি থেকেও অব্যাহতি নিয়েছেন। এআই প্রযুক্তির ব্যাপক উন্নতির পেছনে বিশাল অবদান রয়েছে বলেই এই বিজ্ঞানীকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার গডফাদার বলা হয়। খোদ হিন্টন যেখানে বলছেন ভবিষ্যতে এআই প্রযুক্তি মানবজাতির জন্য হুমকি হতে পারে, সেখানে আমাদের মন খারাপ করাটা খুব স্বাভাবিক।
এআই দিন দিন মানুষের বুদ্ধিমত্তাকে ছাড়িয়ে গেলে এবং কোনো ‘দুষ্ট’ লোকের দ্বারা ব্যবহৃত হলে কী হতে পারে, তার নমুনা হয়তো অসংখ্য বিজ্ঞানভিত্তিক চলচ্চিত্রে দেখানো হয়েছে। হতে পারে সেসব নমুনা কল্পনাপ্রসূত। কিন্তু হিন্টনের শঙ্কা প্রকাশ অমূলক নয়।
হিন্টন ছোট্ট একটা উদাহরণ দিয়ে বলেছেন, কোনো ‘মন্দ লোক’ যদি রোবটকে নিজস্ব লক্ষ্য ঠিক করার ক্ষমতা দিয়ে দেয়, তাহলে শেষ পর্যন্ত সেই নিজস্ব লক্ষ্য হয়ে দাঁড়াবে এ রকম, ‘আমার আরও ক্ষমতা চাই’। আর ক্ষমতার লোভে পড়ে যে কেউ উন্মাদ হয়ে যেতে পারে, তা নিশ্চয়ই নতুন করে বলার কিছু নেই।
২০০৪ সালে মুক্তি পাওয়া হলিউডি সিনেমা ‘আই, রোবট’ দেখলে ধারণা পাওয়া যায়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার রোবট ব্যবহার করে ভালো ও মন্দ দুই রকম কাজই করানো যায়। সেটা নির্ভর করে অবশ্যই ব্যবহারকারীর ওপর।
এখন আমরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে নিয়ে যেসব ভালো খবর শুনছি, সেগুলো একদিকে যেমন আশাজাগানিয়া, তেমনি খারাপ খবরগুলো হতাশার। ইদানীং আলোচনার শীর্ষে আছে এ ব্যাপারটি যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণে বেকারত্ব বেড়ে যাবে পুরো পৃথিবীতে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাই যদি সব কাজ করে দেয়, তাহলে আর মানুষের কাজ কী!
আরেকটি চলচ্চিত্রের কথা মনে পড়ে, ‘ওয়াল-ই’। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি যখন মানুষকে অলস বানিয়ে দেয়, তখন মানুষ নিজে থেকে কিছু করতে পারে না। সিনেমার মতো এ রকমটা যেন বাস্তবে না হয়, এই আশা থাকবে।
আণবিক বোমার জনক রবার্ট ওপেনহেইমার একবার ভগবদ্গীতার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছিলেন, ‘এখন আমি মৃত্যুর কারণ হতে পারি, বিশ্বকে ধ্বংস করে দিতে পারি।’ এ রকমটা বলে যেন হিন্টন আফসোস করতে না পারেন, সে জন্য ‘দুষ্ট’ লোকের হাতে এআই না পৌঁছানোই ভালো।
বিজ্ঞানের আবিষ্কার যদি মানুষের কুকর্ম ধরতে পারে, সে তো খুবই ভালো কথা! বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এ রকম কিছুই করতে যাচ্ছে। আসনসংখ্যার বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি, সনদ-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ব্যবস্থাপনাকে অটোমেশনের আওতায় আনবে ইউজিসি। একটি সফটওয়্যার তৈরি করে এর মাধ্যমে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় তদারকির এসব কার্যক্রম চলবে।
আজকের পত্রিকায় এ রকম একটি খবর পড়ে যখন মন ভালো হয়ে যায়, তখন অন্য আরেকটি খবর পড়ে মন খারাপও হয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই) গডফাদার নামে পরিচিত জিওফ্রে হিন্টন বলেছেন, এই মুহূর্তে এআই মানুষের চেয়ে বেশি বুদ্ধিমান না হলেও খুব দ্রুতই তারা বুদ্ধিমত্তার দিক দিয়ে আমাদের ছাড়িয়ে যাবে। এমনটা হলে কী হতে পারে, ভাবতে পারেন!
হিন্টন এআইকে নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে গুগলের চাকরি থেকেও অব্যাহতি নিয়েছেন। এআই প্রযুক্তির ব্যাপক উন্নতির পেছনে বিশাল অবদান রয়েছে বলেই এই বিজ্ঞানীকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার গডফাদার বলা হয়। খোদ হিন্টন যেখানে বলছেন ভবিষ্যতে এআই প্রযুক্তি মানবজাতির জন্য হুমকি হতে পারে, সেখানে আমাদের মন খারাপ করাটা খুব স্বাভাবিক।
এআই দিন দিন মানুষের বুদ্ধিমত্তাকে ছাড়িয়ে গেলে এবং কোনো ‘দুষ্ট’ লোকের দ্বারা ব্যবহৃত হলে কী হতে পারে, তার নমুনা হয়তো অসংখ্য বিজ্ঞানভিত্তিক চলচ্চিত্রে দেখানো হয়েছে। হতে পারে সেসব নমুনা কল্পনাপ্রসূত। কিন্তু হিন্টনের শঙ্কা প্রকাশ অমূলক নয়।
হিন্টন ছোট্ট একটা উদাহরণ দিয়ে বলেছেন, কোনো ‘মন্দ লোক’ যদি রোবটকে নিজস্ব লক্ষ্য ঠিক করার ক্ষমতা দিয়ে দেয়, তাহলে শেষ পর্যন্ত সেই নিজস্ব লক্ষ্য হয়ে দাঁড়াবে এ রকম, ‘আমার আরও ক্ষমতা চাই’। আর ক্ষমতার লোভে পড়ে যে কেউ উন্মাদ হয়ে যেতে পারে, তা নিশ্চয়ই নতুন করে বলার কিছু নেই।
২০০৪ সালে মুক্তি পাওয়া হলিউডি সিনেমা ‘আই, রোবট’ দেখলে ধারণা পাওয়া যায়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার রোবট ব্যবহার করে ভালো ও মন্দ দুই রকম কাজই করানো যায়। সেটা নির্ভর করে অবশ্যই ব্যবহারকারীর ওপর।
এখন আমরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে নিয়ে যেসব ভালো খবর শুনছি, সেগুলো একদিকে যেমন আশাজাগানিয়া, তেমনি খারাপ খবরগুলো হতাশার। ইদানীং আলোচনার শীর্ষে আছে এ ব্যাপারটি যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণে বেকারত্ব বেড়ে যাবে পুরো পৃথিবীতে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাই যদি সব কাজ করে দেয়, তাহলে আর মানুষের কাজ কী!
আরেকটি চলচ্চিত্রের কথা মনে পড়ে, ‘ওয়াল-ই’। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি যখন মানুষকে অলস বানিয়ে দেয়, তখন মানুষ নিজে থেকে কিছু করতে পারে না। সিনেমার মতো এ রকমটা যেন বাস্তবে না হয়, এই আশা থাকবে।
আণবিক বোমার জনক রবার্ট ওপেনহেইমার একবার ভগবদ্গীতার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছিলেন, ‘এখন আমি মৃত্যুর কারণ হতে পারি, বিশ্বকে ধ্বংস করে দিতে পারি।’ এ রকমটা বলে যেন হিন্টন আফসোস করতে না পারেন, সে জন্য ‘দুষ্ট’ লোকের হাতে এআই না পৌঁছানোই ভালো।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১১ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫