আয়শা সিদ্দিকা আকাশী, মাদারীপুর
সকালের নির্মল হাওয়া আর বিকেলের পায়চারি। মাদারীপুর শহরবাসীর ক্লান্তি দূর করার অন্যতম জায়গা শকুনি লেক। একটু প্রশান্তির খোঁজে সকাল-বিকেল অনেকে ছুটে আসে কৃত্রিম এ লেকের ধারে। শহরের প্রাণকেন্দ্রে বিশাল এলাকাজুড়ে এই লেকের সৌন্দর্য মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। লেকটি পরিণত হয়েছে অন্যতম বিনোদনকেন্দ্রে।
একসময় নগরায়ণের প্রয়োজনে লেকটি খনন করা হয়। বর্তমানে এর মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য মানুষের মন কেড়ে নিয়েছে। সৌন্দর্য আরও বহুগুণ বৃদ্ধি করেছে পৌর কর্তৃপক্ষ। ২০১৭ সালে পৌরসভার তত্ত্বাবধানে সাড়ে ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে লেকের সৌন্দর্যবর্ধন করা হয়। লেকটি হয়ে ওঠে আরও দৃষ্টিনন্দন। এখন সৌন্দর্যপিপাসু বহু মানুষ দূরদূরান্ত থেকে প্রতিদিন ছুটে আসে লেকের পাড়ে। এমনকি রাত ১১টা পর্যন্ত মানুষের আনাগোনা থাকে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৩৭-৩৮ সালের দিকে পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁ নদীর ভাঙা-গড়ার খেলায় মাদারীপুর মূল শহরের অস্তিত্ব যখন বিলীন হতে থাকে, তখন নতুন করে শহর স্থানান্তরের জন্য মাটির প্রয়োজনে ১৯৪২-৪৩ সালে এ লেক খনন করা হয়। এলাকাটি ছিল জনমানবহীন এবং বনজঙ্গলে ভরা নিম্নভূমি। নদীভাঙনকবলিত তৎকালীন মহকুমা শহরের কোর্ট-কাছারি, অফিস-আদালত, হাসপাতাল, থানা, জেলখানাসহ সরকারি কর্মকর্তাদের বাংলো স্থানান্তরের জন্য এলাকাটি বেছে নেওয়া হয়। সমতলে এসব স্থাপনা তৈরির জন্য প্রচুর মাটির প্রয়োজন হয়। তাই তৎকালীন ব্রিটিশ সরকারের মাদারীপুর মহকুমা প্রশাসন লেকটি খনন করে মাটির চাহিদা পূরণ করে।
এ ব্যাপারে মাদারীপুরের ইতিহাসবিষয়ক গবেষক ও সাংবাদিক সুবল বিশ্বাস বলেন, গত শতকের চল্লিশের দশকে বিশাল লেকটি খনন করতে বহু মাটিকাটা শ্রমিকের দরকার হয়। কিন্তু এত বিপুলসংখ্যক শ্রমিক এ অঞ্চলে না থাকায় ভারতের বিহার ও ওডিশা অঞ্চল থেকে দুই হাজার শ্রমিক আনা হয়। প্রায় ৯ মাসে লেকের খননকাজ সম্পন্ন করা হয়। শেষ মুহূর্তে কলেরায় সাত শ্রমিক মারা গেলে অন্য শ্রমিকেরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এবং কোনো এক রাতের আঁধারে তাঁরা পালিয়ে যান।
সেদিনের সেই কৃত্রিম লেক আজ এক দৃষ্টিনন্দন সরোবর। এলাকার একমাত্র বিনোদনকেন্দ্র। বহিরাগত যে কেউ মাদারীপুর শহরে প্রবেশ করেই এই লেকের মনোরম দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, লেকের পশ্চিম পাড়ে লেক ভিউ ক্লাব, ডিসি একাডেমি, ঐতিহাসিক জামে মসজিদ ও ময়দান, সিভিল সার্জন ও সড়ক বিভাগের কর্মকর্তাদের বাসভবন রয়েছে। দক্ষিণে সার্কিট হাউস, মুক্তিযোদ্ধা মিলনায়তন, জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর ভবন ও চৌধুরী ক্লিনিক। লেকের পূর্ব পাড়ে জেলা পরিষদের ডাকবাংলো, সদর হাসপাতাল, সিভিল সার্জন ভবন, পুলিশ লাইনস ময়দান। উত্তরে বঙ্গবন্ধু ল কলেজ, সরকারি পাবলিক লাইব্রেরি, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, শিশুপার্ক, স্বাধীনতা অঙ্গন, মাদারীপুর সরকারি সমন্বিত অফিস ভবন ও শহীদ কানন চত্বর।
দুই সন্তানকে নিয়ে ঘুরতে আসা লামিয়া আক্তার বলেন, ‘শহরে চিত্তবিনোদনের তেমন কোনো স্থান নেই। বিনোদন বলতেই আমরা বুঝি এই শকুনি লেক। তা ছাড়া শিশুদের জন্যও তেমন কিছু নেই। এখানেই একটি ছোট শিশুপার্ক নির্মাণ করায় আমরা ছুটে আসি। বলতে গেলে মাদারীপুরের প্রাণ হচ্ছে এই শকুনি লেক।’
সকালের নির্মল হাওয়া আর বিকেলের পায়চারি। মাদারীপুর শহরবাসীর ক্লান্তি দূর করার অন্যতম জায়গা শকুনি লেক। একটু প্রশান্তির খোঁজে সকাল-বিকেল অনেকে ছুটে আসে কৃত্রিম এ লেকের ধারে। শহরের প্রাণকেন্দ্রে বিশাল এলাকাজুড়ে এই লেকের সৌন্দর্য মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। লেকটি পরিণত হয়েছে অন্যতম বিনোদনকেন্দ্রে।
একসময় নগরায়ণের প্রয়োজনে লেকটি খনন করা হয়। বর্তমানে এর মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য মানুষের মন কেড়ে নিয়েছে। সৌন্দর্য আরও বহুগুণ বৃদ্ধি করেছে পৌর কর্তৃপক্ষ। ২০১৭ সালে পৌরসভার তত্ত্বাবধানে সাড়ে ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে লেকের সৌন্দর্যবর্ধন করা হয়। লেকটি হয়ে ওঠে আরও দৃষ্টিনন্দন। এখন সৌন্দর্যপিপাসু বহু মানুষ দূরদূরান্ত থেকে প্রতিদিন ছুটে আসে লেকের পাড়ে। এমনকি রাত ১১টা পর্যন্ত মানুষের আনাগোনা থাকে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৩৭-৩৮ সালের দিকে পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁ নদীর ভাঙা-গড়ার খেলায় মাদারীপুর মূল শহরের অস্তিত্ব যখন বিলীন হতে থাকে, তখন নতুন করে শহর স্থানান্তরের জন্য মাটির প্রয়োজনে ১৯৪২-৪৩ সালে এ লেক খনন করা হয়। এলাকাটি ছিল জনমানবহীন এবং বনজঙ্গলে ভরা নিম্নভূমি। নদীভাঙনকবলিত তৎকালীন মহকুমা শহরের কোর্ট-কাছারি, অফিস-আদালত, হাসপাতাল, থানা, জেলখানাসহ সরকারি কর্মকর্তাদের বাংলো স্থানান্তরের জন্য এলাকাটি বেছে নেওয়া হয়। সমতলে এসব স্থাপনা তৈরির জন্য প্রচুর মাটির প্রয়োজন হয়। তাই তৎকালীন ব্রিটিশ সরকারের মাদারীপুর মহকুমা প্রশাসন লেকটি খনন করে মাটির চাহিদা পূরণ করে।
এ ব্যাপারে মাদারীপুরের ইতিহাসবিষয়ক গবেষক ও সাংবাদিক সুবল বিশ্বাস বলেন, গত শতকের চল্লিশের দশকে বিশাল লেকটি খনন করতে বহু মাটিকাটা শ্রমিকের দরকার হয়। কিন্তু এত বিপুলসংখ্যক শ্রমিক এ অঞ্চলে না থাকায় ভারতের বিহার ও ওডিশা অঞ্চল থেকে দুই হাজার শ্রমিক আনা হয়। প্রায় ৯ মাসে লেকের খননকাজ সম্পন্ন করা হয়। শেষ মুহূর্তে কলেরায় সাত শ্রমিক মারা গেলে অন্য শ্রমিকেরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এবং কোনো এক রাতের আঁধারে তাঁরা পালিয়ে যান।
সেদিনের সেই কৃত্রিম লেক আজ এক দৃষ্টিনন্দন সরোবর। এলাকার একমাত্র বিনোদনকেন্দ্র। বহিরাগত যে কেউ মাদারীপুর শহরে প্রবেশ করেই এই লেকের মনোরম দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, লেকের পশ্চিম পাড়ে লেক ভিউ ক্লাব, ডিসি একাডেমি, ঐতিহাসিক জামে মসজিদ ও ময়দান, সিভিল সার্জন ও সড়ক বিভাগের কর্মকর্তাদের বাসভবন রয়েছে। দক্ষিণে সার্কিট হাউস, মুক্তিযোদ্ধা মিলনায়তন, জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর ভবন ও চৌধুরী ক্লিনিক। লেকের পূর্ব পাড়ে জেলা পরিষদের ডাকবাংলো, সদর হাসপাতাল, সিভিল সার্জন ভবন, পুলিশ লাইনস ময়দান। উত্তরে বঙ্গবন্ধু ল কলেজ, সরকারি পাবলিক লাইব্রেরি, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, শিশুপার্ক, স্বাধীনতা অঙ্গন, মাদারীপুর সরকারি সমন্বিত অফিস ভবন ও শহীদ কানন চত্বর।
দুই সন্তানকে নিয়ে ঘুরতে আসা লামিয়া আক্তার বলেন, ‘শহরে চিত্তবিনোদনের তেমন কোনো স্থান নেই। বিনোদন বলতেই আমরা বুঝি এই শকুনি লেক। তা ছাড়া শিশুদের জন্যও তেমন কিছু নেই। এখানেই একটি ছোট শিশুপার্ক নির্মাণ করায় আমরা ছুটে আসি। বলতে গেলে মাদারীপুরের প্রাণ হচ্ছে এই শকুনি লেক।’
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১১ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫