রেজা করিম, ঢাকা
১৫ বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি বিভিন্ন সময়ে নানাভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে। দীর্ঘ সময়ে ভোটে ও মাঠে—দুই ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হয়েছে দলটি। মাঝে করোনার ধাক্কা মাঠে সক্রিয় হওয়ার ক্ষেত্রে অনেকটা পিছিয়ে দিয়েছে তাদের। অন্যদিকে দুর্বল নেতৃত্ব এবং সাংগঠনিক ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে থাকা বিএনপির ঘুরে দাঁড়ানো ছিল কঠিন। বিদায়ী বছরে ঝিমিয়ে পড়া দলটি একটু গা ঝাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো নিয়ে।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গত ১৩ নভেম্বর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর লিভার সিরোসিস শনাক্ত হয়েছে। এর আগে তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। বিদেশে চিকিৎসার জন্য তাঁর পরিবার ও দলের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে বারবার আবেদন করা হলেও তা নাকচ হয়েছে। ফলে দাবি আদায়ের জন্য বড় আন্দোলনের পথে হাঁটার চিন্তা করে বিএনপি। এরই ধারাবাহিকতায় বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো দেশব্যাপী নানা কর্মসূচি পালন করছে। ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের ৩২টি জেলায় সমাবেশ করবে বিএনপি। পরবর্তী সময়ে বাকি জেলায়ও পর্যায়ক্রমে এমন কর্মসূচি পালনের কথা রয়েছে।
বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আসছে বছরের শুরু থেকে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে মাঠ গরম করার কথা ছিল। কিন্তু খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় থাকায় সেই পরিকল্পনা বদলাতে হয়েছে। অনেকটা আগাম মাঠে নামতে হয়েছে। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে খালেদা জিয়ার জন্য সারা দেশে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। তাঁরা বলছেন, এসব কর্মসূচির মধ্য দিয়ে খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার দাবি আদায় হলেও চলমান আন্দোলনে ভাটা পড়বে না। দাবি আদায় হলেও চলমান আন্দোলনের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে তা আরও বেগবান করা হবে আগামী দিনের কঠোর আন্দোলনের জন্য। ওই আন্দোলন হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের, আন্দোলন হবে সরকার পতনের। আর খালেদা জিয়াকে ঘিরে জনগণকে সম্পৃক্ত করে ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়াতে চায় বিএনপি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ২৮ ডিসেম্বর নওগাঁয় বলেছেন, ‘আমরা গণতান্ত্রিক ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে পথ চলতে চাই। সেই পথে চলতে গিয়ে যখন বাধাপ্রাপ্ত হব, তখন আর নিয়মের তোয়াক্কা করব না।’
বিএনপির চলমান আন্দোলনকে ‘কমপ্লিট প্যাকেজ’ বলছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তাঁর মতে, বিএনপির চলমান আন্দোলন কেবল খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে নয়। একই সঙ্গে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠারও আন্দোলন।
বিএনপির বর্তমান কর্মসূচির বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক গোবিন্দ চক্রবর্তী আজকের পত্রিকাকে বলেন, খালেদা জিয়ার ইস্যুটা স্পর্শকাতর। রাজনৈতিক সার্কেলে খালেদা জিয়াকে সমীহ করা হয়। তাঁর রাজনৈতিক সংগ্রামের ইতিহাস আছে। তাঁকে সামনে এনে বিএনপি ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের আরেক শিক্ষক সাব্বির আহমেদের মতে, খালেদা জিয়ার মুক্তি ও চিকিৎসার দাবিতে বিএনপি আন্দোলন করছে, এটা একটা দৃশ্যমান ইস্যু। এই ইস্যুটাকে তারা মানবিকভাবে জনগণের সামনে উপস্থাপন করতে চায়। এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে তারা তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রমকে চাঙা করতে চায়। তবে তাঁর মতে, এই ইস্যুকে ক্যাশ করে রাজনৈতিকভাবে বেশি দূর যাওয়া যাবে না। যতক্ষণ না বিএনপি জনগণকে সম্পৃক্ত করতে পারবে।
১৫ বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি বিভিন্ন সময়ে নানাভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে। দীর্ঘ সময়ে ভোটে ও মাঠে—দুই ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হয়েছে দলটি। মাঝে করোনার ধাক্কা মাঠে সক্রিয় হওয়ার ক্ষেত্রে অনেকটা পিছিয়ে দিয়েছে তাদের। অন্যদিকে দুর্বল নেতৃত্ব এবং সাংগঠনিক ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে থাকা বিএনপির ঘুরে দাঁড়ানো ছিল কঠিন। বিদায়ী বছরে ঝিমিয়ে পড়া দলটি একটু গা ঝাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো নিয়ে।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গত ১৩ নভেম্বর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর লিভার সিরোসিস শনাক্ত হয়েছে। এর আগে তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। বিদেশে চিকিৎসার জন্য তাঁর পরিবার ও দলের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে বারবার আবেদন করা হলেও তা নাকচ হয়েছে। ফলে দাবি আদায়ের জন্য বড় আন্দোলনের পথে হাঁটার চিন্তা করে বিএনপি। এরই ধারাবাহিকতায় বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো দেশব্যাপী নানা কর্মসূচি পালন করছে। ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের ৩২টি জেলায় সমাবেশ করবে বিএনপি। পরবর্তী সময়ে বাকি জেলায়ও পর্যায়ক্রমে এমন কর্মসূচি পালনের কথা রয়েছে।
বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আসছে বছরের শুরু থেকে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে মাঠ গরম করার কথা ছিল। কিন্তু খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় থাকায় সেই পরিকল্পনা বদলাতে হয়েছে। অনেকটা আগাম মাঠে নামতে হয়েছে। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে খালেদা জিয়ার জন্য সারা দেশে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। তাঁরা বলছেন, এসব কর্মসূচির মধ্য দিয়ে খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার দাবি আদায় হলেও চলমান আন্দোলনে ভাটা পড়বে না। দাবি আদায় হলেও চলমান আন্দোলনের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে তা আরও বেগবান করা হবে আগামী দিনের কঠোর আন্দোলনের জন্য। ওই আন্দোলন হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের, আন্দোলন হবে সরকার পতনের। আর খালেদা জিয়াকে ঘিরে জনগণকে সম্পৃক্ত করে ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়াতে চায় বিএনপি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ২৮ ডিসেম্বর নওগাঁয় বলেছেন, ‘আমরা গণতান্ত্রিক ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে পথ চলতে চাই। সেই পথে চলতে গিয়ে যখন বাধাপ্রাপ্ত হব, তখন আর নিয়মের তোয়াক্কা করব না।’
বিএনপির চলমান আন্দোলনকে ‘কমপ্লিট প্যাকেজ’ বলছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তাঁর মতে, বিএনপির চলমান আন্দোলন কেবল খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে নয়। একই সঙ্গে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠারও আন্দোলন।
বিএনপির বর্তমান কর্মসূচির বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক গোবিন্দ চক্রবর্তী আজকের পত্রিকাকে বলেন, খালেদা জিয়ার ইস্যুটা স্পর্শকাতর। রাজনৈতিক সার্কেলে খালেদা জিয়াকে সমীহ করা হয়। তাঁর রাজনৈতিক সংগ্রামের ইতিহাস আছে। তাঁকে সামনে এনে বিএনপি ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের আরেক শিক্ষক সাব্বির আহমেদের মতে, খালেদা জিয়ার মুক্তি ও চিকিৎসার দাবিতে বিএনপি আন্দোলন করছে, এটা একটা দৃশ্যমান ইস্যু। এই ইস্যুটাকে তারা মানবিকভাবে জনগণের সামনে উপস্থাপন করতে চায়। এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে তারা তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রমকে চাঙা করতে চায়। তবে তাঁর মতে, এই ইস্যুকে ক্যাশ করে রাজনৈতিকভাবে বেশি দূর যাওয়া যাবে না। যতক্ষণ না বিএনপি জনগণকে সম্পৃক্ত করতে পারবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪